ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢাবিতে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিক্ষোভ, মোছা হলো সিরাজ সিকদারের ছবি

  • আপডেট সময় : ০৫:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের দেওয়ালে আঁকা সিরাজ সিকদারের চিত্রকর্মে জুতা নিক্ষেপ করেন। সেই চিত্রকর্ম মুছেও ফেলা হয়। 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।

সেখানে সমাবেশ শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের দেওয়ালে আঁকা সিরাজ সিকদারের চিত্রকর্মে জুতা নিক্ষেপ করেন। সেই চিত্রকর্ম মুছেও ফেলা হয়।

সত্তরের দশকে ‘পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিরাজ সিকদার। সিরাজ সিকদার পার্টির সদস্যদের নিয়ে যুদ্ধের পর তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আন্দোলন পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন।

সশস্ত্র সেই আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ‘রেড টেরর বিগান’ লেখা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তে থাকলে মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে আসেন একদল শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার মধ্যরাতের ওই বিক্ষোভে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে বহুবার লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়েছে তারা। সেই কুখ্যাত লাল সন্ত্রাসীরা সহিংসতার ঘোষণা দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুখ্যাত লাল সন্ত্রাসী মেঘমল্লার বসুকে গ্রেফতার করতে হবে। গত পরশু হামলার সাথে (এনসিটিবির সামনে) মেঘমল্লার বসুর সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

এ বি জুবায়ের নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এনসিটিবিতে হামলার পর একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে- যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদের বাঁচিয়ে দিয়ে অন্যদের ফাঁসাতে। যাদের ইন্ধনে হামলা হয়েছে, তারাই আবার লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা দিচ্ছে। এভাবে প্রকাশ্যে লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা জঙ্গিবাদের প্রকাশ। অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

মাহিন সরকার বলেন, আমরা যারা ২৪ এর অভ্যুত্থানকে ধারণ করি, তাদের সাথে লাল সন্ত্রাসীদের আদর্শিক সংঘাত রয়েছে।

’৯২ সালের ডাকসু বন্ধেও এই লাল সন্ত্রাসের অবদান রয়েছে। লাল সন্ত্রাসের ঘোষণাকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বায়ুদূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর এক লাখেরও বেশি মৃত্যু

ঢাবিতে ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিক্ষোভ, মোছা হলো সিরাজ সিকদারের ছবি

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর একটি ফেসবুক পোস্ট নিয়ে মধ্যরাতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন।

সেখানে সমাবেশ শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের দেওয়ালে আঁকা সিরাজ সিকদারের চিত্রকর্মে জুতা নিক্ষেপ করেন। সেই চিত্রকর্ম মুছেও ফেলা হয়।

সত্তরের দশকে ‘পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিরাজ সিকদার। সিরাজ সিকদার পার্টির সদস্যদের নিয়ে যুদ্ধের পর তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলন শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং আন্দোলন পরিচালনা করতে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ১ জানুয়ারি গ্রেফতার হওয়ার পর কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন।

সশস্ত্র সেই আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শুক্রবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ‘রেড টেরর বিগান’ লেখা একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসু।

বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তে থাকলে মধ্যরাতে রাস্তায় নেমে আসেন একদল শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শনিবার মধ্যরাতের ওই বিক্ষোভে থাকা বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে বহুবার লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়েছে তারা। সেই কুখ্যাত লাল সন্ত্রাসীরা সহিংসতার ঘোষণা দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুখ্যাত লাল সন্ত্রাসী মেঘমল্লার বসুকে গ্রেফতার করতে হবে। গত পরশু হামলার সাথে (এনসিটিবির সামনে) মেঘমল্লার বসুর সম্পৃক্ততা আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

এ বি জুবায়ের নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এনসিটিবিতে হামলার পর একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে- যারা প্রকৃত অপরাধী, তাদের বাঁচিয়ে দিয়ে অন্যদের ফাঁসাতে। যাদের ইন্ধনে হামলা হয়েছে, তারাই আবার লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা দিচ্ছে। এভাবে প্রকাশ্যে লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা জঙ্গিবাদের প্রকাশ। অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

মাহিন সরকার বলেন, আমরা যারা ২৪ এর অভ্যুত্থানকে ধারণ করি, তাদের সাথে লাল সন্ত্রাসীদের আদর্শিক সংঘাত রয়েছে।

’৯২ সালের ডাকসু বন্ধেও এই লাল সন্ত্রাসের অবদান রয়েছে। লাল সন্ত্রাসের ঘোষণাকারীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে।