ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা লিগ : ব্যাটিং-বোলিংয়ে যারা আলো ছড়িয়েছেন

  • আপডেট সময় : ১২:১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ১২২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ স্পনসরড বাই ওয়ালটন-এ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। সব মিলিয়ে দেশের শীর্ষ ক্রিকেট লিগে এটি তাদের ২১তম শিরোপা। ৩১ মে থেকে শুরু হয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এই আসরটি। ব্যাট-বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও রেখেছেন স্বাক্ষর। পাঠকদের জন্য সেরা ৫ ব্যাটসম্যান ও ৫ বোলারের পারফরম্যান্স তুলে ধরা হলো।
সেরা ৫ ব্যাটসম্যান
মিজানুর রহমান : ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মিজানুর রহমান এবারের আসরের সেরা ব্যাটসম্যান। ৫২.২৫ গড়ে প্রথম পর্বের ১১ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০০। শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ৬৫ বলে চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে মিজানুরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া হাফসেঞ্চুরি করেন ৩টি ম্যাচে। ১১ ম্যাচে মিজানুর চার মেরেছেন ৪৪টি আর ছয় ১৪টি। মিজানুর আসরের সেরা ব্যাটসম্যান হলেও তার দল সুপার লিগে উঠতে পারেনি।
মাহমুদুল হাসান জয় : রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ওল্ড ডিওএইচএসে খেলা এই ব্যাটসম্যান ২ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৯২ রান করেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। জয় ২৪টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ১৭টি ছয়। ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে নামা জয়ের ব্যাটিং গড় ৪৩.২৫।
নুরুল হাসান সোহান : এবারের আসরে দারুণ করেছেন নুরুল হাসান সোহান। বারবার দলের ক্রান্তিলগ্নে নেমে খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। তার ব্যাটে ছিল ক্ষিপ্রতা , পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি সুলভ। সোহান ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৮৯ রান করে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। সোহান এবার কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন তা বোঝা যায় চারের চেয়েও ছয়ের সংখ্যা বেশি দেখলে। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ১৯টি চার ও ২৬টি ছয়। তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৯.৬১ স্ট্রাইকরেটে।
মুমিনুল হক : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিভৃতে রান করে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের এই অধিনায়ক রান রান সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন। তিনি ১৭ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৩৮৫ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ২টি। মুমিনিলের মোট চারের মার ৪৭টি আর ছয়ের মার মাত্র ২টি। সর্বোচ্চ খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। মুমিনুল ব্যাটিং করেছেন ১১৭.৭৩ স্ট্রাইকরেটে।
মোহাম্মদ নাঈম শেখ : সেরা পাঁচের পঞ্চম স্থানে আছেন চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিনি ১৬ ম্যাচ খেলে ১৫ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭৫ রান করেন। ১২৩.৭৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এই আসরে। সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরি মাত্র ১টি।
সেরা ৫ বোলার
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন : আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বল হাতে বড় অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৬ ম্যাচে তিনি ২৬ উইকেট নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ১৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও তিনি ৪ উইকেট নেন। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭৯ করে।
কামরুল ইসলাম রাব্বি : সাইফউদিন থেকে ১ উইকেট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনি ১ ম্যাচ বেশি খেলে (১৭) নিয়েছেন ২৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট। মোটা ২বার তিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৩৮ করে।
শরিফুল ইসলাম : প্রাইম ব্যাংকের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার শরিফুল ইসলাম ১৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২২ উইকেট। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করা এই পেসার ওভার প্রতি দিয়েছেন ৭.১৩ রান করে। সর্বোচ্চ ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
মাহেদী হাসান : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মাহেদী হাসান ১৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৬.২৪ রান করে। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ১২ রান দিয়ে।
তানভীর ইসলাম : শাইন পুকুরে খেলা এই বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার ১১ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২০টি উইকেট। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ২৩ রান দিয়ে। সেরা ৫ বোলারদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে কম রান দেন ওভার প্রতি (৪.৭৯)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা লিগ : ব্যাটিং-বোলিংয়ে যারা আলো ছড়িয়েছেন

আপডেট সময় : ১২:১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ স্পনসরড বাই ওয়ালটন-এ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। সব মিলিয়ে দেশের শীর্ষ ক্রিকেট লিগে এটি তাদের ২১তম শিরোপা। ৩১ মে থেকে শুরু হয়ে ২৬ জুন পর্যন্ত চলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অনুষ্ঠিত এই আসরটি। ব্যাট-বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও রেখেছেন স্বাক্ষর। পাঠকদের জন্য সেরা ৫ ব্যাটসম্যান ও ৫ বোলারের পারফরম্যান্স তুলে ধরা হলো।
সেরা ৫ ব্যাটসম্যান
মিজানুর রহমান : ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক মিজানুর রহমান এবারের আসরের সেরা ব্যাটসম্যান। ৫২.২৫ গড়ে প্রথম পর্বের ১১ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৪১৮ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ১০০। শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাবের বিপক্ষে মাত্র ৬৫ বলে চলতি আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটি আসে মিজানুরের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া হাফসেঞ্চুরি করেন ৩টি ম্যাচে। ১১ ম্যাচে মিজানুর চার মেরেছেন ৪৪টি আর ছয় ১৪টি। মিজানুর আসরের সেরা ব্যাটসম্যান হলেও তার দল সুপার লিগে উঠতে পারেনি।
মাহমুদুল হাসান জয় : রান সংগ্রাহকের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ওল্ড ডিওএইচএসে খেলা এই ব্যাটসম্যান ২ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৯২ রান করেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। জয় ২৪টি চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ১৭টি ছয়। ১৩ ম্যাচের ১২ ইনিংসে নামা জয়ের ব্যাটিং গড় ৪৩.২৫।
নুরুল হাসান সোহান : এবারের আসরে দারুণ করেছেন নুরুল হাসান সোহান। বারবার দলের ক্রান্তিলগ্নে নেমে খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস। তার ব্যাটে ছিল ক্ষিপ্রতা , পুরোপুরি টি-টোয়েন্টি সুলভ। সোহান ১৬ ম্যাচ খেলে ৩৮৯ রান করে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। সোহান এবার কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন তা বোঝা যায় চারের চেয়েও ছয়ের সংখ্যা বেশি দেখলে। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ১৯টি চার ও ২৬টি ছয়। তিনি ব্যাটিং করেছেন ১৪৯.৬১ স্ট্রাইকরেটে।
মুমিনুল হক : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিভৃতে রান করে গেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের এই অধিনায়ক রান রান সংগ্রাহকের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন। তিনি ১৭ ম্যাচে ৩৫ গড়ে ৩৮৫ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেছেন ২টি। মুমিনিলের মোট চারের মার ৪৭টি আর ছয়ের মার মাত্র ২টি। সর্বোচ্চ খেলেন অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস। মুমিনুল ব্যাটিং করেছেন ১১৭.৭৩ স্ট্রাইকরেটে।
মোহাম্মদ নাঈম শেখ : সেরা পাঁচের পঞ্চম স্থানে আছেন চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তিনি ১৬ ম্যাচ খেলে ১৫ ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭৫ রান করেন। ১২৩.৭৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন এই আসরে। সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। হাফসেঞ্চুরি মাত্র ১টি।
সেরা ৫ বোলার
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন : আবাহনীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বল হাতে বড় অবদান রেখেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৬ ম্যাচে তিনি ২৬ উইকেট নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ১৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও তিনি ৪ উইকেট নেন। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭৯ করে।
কামরুল ইসলাম রাব্বি : সাইফউদিন থেকে ১ উইকেট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তিনি ১ ম্যাচ বেশি খেলে (১৭) নিয়েছেন ২৫ উইকেট। সর্বোচ্চ ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট। মোটা ২বার তিনি ৪ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৭.৩৮ করে।
শরিফুল ইসলাম : প্রাইম ব্যাংকের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার শরিফুল ইসলাম ১৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২২ উইকেট। শুরু থেকেই দারুণ বোলিং করা এই পেসার ওভার প্রতি দিয়েছেন ৭.১৩ রান করে। সর্বোচ্চ ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
মাহেদী হাসান : গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মাহেদী হাসান ১৭ ম্যাচে নিয়েছেন ১৮ উইকেট। ওভার প্রতি দিয়েছেন ৬.২৪ রান করে। সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ১২ রান দিয়ে।
তানভীর ইসলাম : শাইন পুকুরে খেলা এই বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার ১১ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২০টি উইকেট। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ২৩ রান দিয়ে। সেরা ৫ বোলারদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে কম রান দেন ওভার প্রতি (৪.৭৯)।