নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার কিছু প্রশ্নপত্রে কয়েকটি প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি হয়েছে। যদিও সব প্রশ্নপত্রে এমনটি হয়নি বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার পর দেখা যায়, ‘এ’ সেটে চারটি প্রশ্ন এসেছে দুইবার করে। একই সমস্যা দেখা যায় ‘বি’ সেটেও। তবে দুটি সেটের সব প্রশ্নপত্রে আবার এমন পুনরাবৃত্তি নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পুনরাবৃত্তির সমস্যা ৫০/৬০টি প্রশ্নপত্রে হয়েছে। এতে ‘কোনো সমস্যা না হওয়ার’ আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন তারা।
‘এ’ সেটের একটি প্রশ্নপত্রে দেখা গেছে, অ্যাকাউন্টিং অংশে ২৫ নম্বরের প্রশ্নটি ৩৩ নম্বরেও এসেছে। ২৬ নম্বর প্রশ্নটি হুবহু হয়েছে ৩৪ নম্বরে। ২৭ নম্বর প্রশ্ন ও ৩৫ প্রশ্নই একই। এ ছাড়া ২৮ নম্বর প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি হয়েছে ৩৬ নম্বরে গিয়ে।
একই সমস্যা ‘বি’ সেটেও। ওই সেটের ২৯ ও ৩৩ নম্বরে একই প্রশ্ন হয়েছে। ৩০ ও ৩৪ নম্বরের প্রশ্নও একই। ২৮ নম্বর প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি হয়েছে ৩২ নম্বরে। আর ৩১ নম্বরের প্রশ্ন ফের এসেছে ৩৫ নম্বরে।
বিষয়টি নিয়ে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, এ রকম সমস্যা আমি আমার ফ্যাকাল্টিতে (কেন্দ্রে) একটিও পাইনি। কিন্তু ঘটনা হল কিছু প্রশ্নে সেটি হয়ত ৫০ থেকে ৬০টি প্রশ্নে হবে-এ’ সেটের প্রশ্ন ‘বি’ সেটে চলে গেছে, এবং ‘বি’ সেটের প্রশ্ন ‘এ’ সেটে চলে এসেছে। ১ শতাংশ শিক্ষার্থীদের মত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রদের কোনো ক্ষতি হবে না, এটি আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আমি এটিকে একটি পদ্ধতির মধ্য দিয়ে ‘টেককেয়ার’ করব।
আমি এটা দেখব। যারা ভালো এবং পুনরাবৃত্তিওয়ালা প্রশ্ন পেয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনো বৈষম্য হবে না। আমরা বিষয়টি দেখব।
কোন পদ্ধতিতে বিষয়টির সমাধান হবে, এমন প্রশ্নে মাহমুদ ওসমান বলেন, “সেটি আমি এখন বলতে পারছি না। আমাদের কমিটির সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।”
‘সি’ ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসনের বিপরীতে মোট ৪১ হাজার ৮ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। ইউনিটটিতে ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্রদের জন্য ৯৩০টি, বিজ্ঞান শাখার জন্য ৯৫টি এবং মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন রয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কঠোর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে না। তারা যেন কোনোভাবেই মানসিক দুঃশ্চিন্তায় না পড়েন, সে বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে।