ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রী আড়াইগুণ হলেও বাড়েনি বাস

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরে যেতে সময় লেগে যেতো দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাস চলাচলে সময় কমে ২৫ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার বাস চলাচলের উদ্বোধনের দিনে ২৯টি ট্রিপে এক হাজার ৮০০ টিকেট বিক্রি হয়। কিন্তু তিন দিনের মাথায় গত বুধবার ৫০টি ট্রিপে যাত্রী সংখ্যা আড়াইগুণের বেশি বেড়ে টিকেট বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৮০০টি। আড়াইগুণের বেশি যাত্রী বাড়লেও বাস বেড়েছে মাত্র দুটি। প্রথমদিনে আটটি বাস নিয়ে ছেড়ে তৃতীয়দিনে বাস চলেছে ১০টি। প্রথমদিনে যেখানে রাজস্ব আয় হয় ৬৮ হাজার টাকা, সেখানে তৃতীয় দিনে আয় হয়েছে একলাখ ৭২ হাজার ৯১ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার খেজুরবাগানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, একেকটি বাস ছাড়তে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসগুলো উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে যাত্রীদের তুলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সরাসরি ফার্মগেট আসবে। অন্যদিকে ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণী থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে বিশেষ এই বাস সার্ভিসটি।
ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যেতে এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে বিআরটিসি বাসগুলো ১২ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিচ্ছে। তবে ফার্মগেটের র‌্যাম্প থেকে নেমে সংসদ ভবন এলাকার খেজুর বাগান থেকে যাত্রী নিচ্ছে। তারপর বিজয় সরণী থেকে র‌্যাম্পে উঠতে বিজয় সরণী মোড়ে যানজট পড়তে হচ্ছে ১৫-২০ মিনিট।

ফলে একটি বাস ছাড়ার পরে আরেকটি বাস ছাড়তে সময় নিচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট। বিআরটিসির বাসের সংখ্যা না বাড়ানোয় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আশিক কুÐু নামের এক যাত্রী বলেন, ১৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, এখনও কোনো বাস আসেনি। যদি পাঁচ মিনিট পরপর বাস চলতো, তাহলে যাত্রীরা দ্রæততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। সবুজ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, আগে ফার্মগেইট থেকে উত্তরা যেতে প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত। এখন ২০-২৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সময় মতো বাস পাওয়া যাচ্ছে না। বাস পাওয়া গেলে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ই-টিকেটিং ব্যবস্থার কারণে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ না থাকায় যাত্রী বাড়ছে। যাত্রী বাড়লে বাস বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফার্মগেট থেকে প্রগতি সরণী কিংবা পূর্বাচল রুটেও বাস দেওয়া হবে কী না সে সম্পর্কে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, এসব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরআগে, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথমাংশ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে যানবাহন চালু হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
তবে ভ‚মি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় চারবার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাত্রী আড়াইগুণ হলেও বাড়েনি বাস

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দরে যেতে সময় লেগে যেতো দুই থেকে তিন ঘণ্টা। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বাস চলাচলে সময় কমে ২৫ মিনিটে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার বাস চলাচলের উদ্বোধনের দিনে ২৯টি ট্রিপে এক হাজার ৮০০ টিকেট বিক্রি হয়। কিন্তু তিন দিনের মাথায় গত বুধবার ৫০টি ট্রিপে যাত্রী সংখ্যা আড়াইগুণের বেশি বেড়ে টিকেট বিক্রি হয়েছে চার হাজার ৮০০টি। আড়াইগুণের বেশি যাত্রী বাড়লেও বাস বেড়েছে মাত্র দুটি। প্রথমদিনে আটটি বাস নিয়ে ছেড়ে তৃতীয়দিনে বাস চলেছে ১০টি। প্রথমদিনে যেখানে রাজস্ব আয় হয় ৬৮ হাজার টাকা, সেখানে তৃতীয় দিনে আয় হয়েছে একলাখ ৭২ হাজার ৯১ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার খেজুরবাগানের বিআরটিসির বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, একেকটি বাস ছাড়তে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় যাত্রীরা বিরক্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাসগুলো উত্তরার জসীমউদ্দীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে যাত্রীদের তুলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সরাসরি ফার্মগেট আসবে। অন্যদিকে ফার্মগেটে যাত্রী নামিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি ও বিজয় সরণী থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী যাত্রী নেবে বিশেষ এই বাস সার্ভিসটি।
ফার্মগেট থেকে বিমানবন্দর যেতে এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে বিআরটিসি বাসগুলো ১২ থেকে ১৫ মিনিট সময় নিচ্ছে। তবে ফার্মগেটের র‌্যাম্প থেকে নেমে সংসদ ভবন এলাকার খেজুর বাগান থেকে যাত্রী নিচ্ছে। তারপর বিজয় সরণী থেকে র‌্যাম্পে উঠতে বিজয় সরণী মোড়ে যানজট পড়তে হচ্ছে ১৫-২০ মিনিট।

ফলে একটি বাস ছাড়ার পরে আরেকটি বাস ছাড়তে সময় নিচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ মিনিট। বিআরটিসির বাসের সংখ্যা না বাড়ানোয় ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। আশিক কুÐু নামের এক যাত্রী বলেন, ১৫ মিনিট লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, এখনও কোনো বাস আসেনি। যদি পাঁচ মিনিট পরপর বাস চলতো, তাহলে যাত্রীরা দ্রæততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। সবুজ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, আগে ফার্মগেইট থেকে উত্তরা যেতে প্রায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় লাগত। এখন ২০-২৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সময় মতো বাস পাওয়া যাচ্ছে না। বাস পাওয়া গেলে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে। বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ই-টিকেটিং ব্যবস্থার কারণে বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগ না থাকায় যাত্রী বাড়ছে। যাত্রী বাড়লে বাস বাড়ানোর বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ফার্মগেট থেকে প্রগতি সরণী কিংবা পূর্বাচল রুটেও বাস দেওয়া হবে কী না সে সম্পর্কে বিআরটিসি চেয়ারম্যান বলেন, এসব বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরআগে, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথমাংশ বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরের দিন থেকে যানবাহন চালু হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার। র‌্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
তবে ভ‚মি অধিগ্রহণ, নকশা বদল, অর্থ সংস্থানের জটিলতায় চারবার সময় বৃদ্ধির ফলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায়।