নিজস্ব প্রতিবেদক : পর্যটনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণের মধ্যকার যোগাযোগ ও বোঝাপড়াকে শক্তিশালী করা গেলে তা ধাপে ধাপে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিক্ষাসহ অন্যান্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির অংশ হিসেবে তুর্কি ট্রাভেলার্স ক্লাবের সঙ্গে যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ: কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় এক উদীয়মান পর্যটন গন্তব্য’ শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। ইস্তাম্বুলস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
কনস্যুলেট থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কনসাল জেনারেল মোহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কোভিড-পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় যে খাতগুলো দ্রুততার সঙ্গে ঘুরে দাঁড়াবে এবং অর্থনীতিতে কার্যকর অবদান রাখবে, এরমধ্যে পর্যটন খাত অন্যতম। তুর্কি ট্রাভেলার্স ক্লাবের সদস্যরা বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর পাশাপাশি এর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সম্পর্কে জানতে পেরে বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তারা বাংলাদেশ-তুরস্কের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য কনস্যুলেটকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। উপস্থিত অতিথিদের তুর্কি ভাষায় অনূদিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ বাংলাদেশের পর্যটন সম্পর্কিত তথ্য-সহায়িকা ও লিফলেট প্রদান করা হয়।