ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় ৯৫ শতাংশ বাস চলে গ্যাসে

  • আপডেট সময় : ০১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাস চালাচ্ছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ঢাকা মহানগরে সব রুটে সাড়ে ১২ হাজারের মতো বাস চলাচল করে। এর মধ্যে মাত্র ৬২৬টি ডিজেলচালিত। বাকি প্রায় ১২ হাজার অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ বাসই সিএনজিচালিত। অন্যদিকে সারাদেশে চলাচল করা ৭৮ হাজার বাসের মধ্যে ৪৬ হাজার ৮০০ বাস চলে গ্যাসে। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ডিজেলচালিত বাসের পাশাপাশি গ্যাসচালিত বাস চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্যাসচালিত বাসের ভাড়া কেন বাড়বে সেই প্রশ্নও সাধারণের মনে।
গ্যাসে চালিত বাসের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারাও সব বাসের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘গ্যাসের দাম যখন বাড়ে তখনো ঢাকায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়। এখন যখন ডিজেলের দাম বেড়েছে তখনো ঢাকায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে। এটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।’
ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে যান চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকরা। শুক্রবার থেকে চলা এই ধর্মঘট সারাদেশে চলছে তৃতীয় দিনের মতো চলছে। কিন্তু ভাড়া নিয়ে কোনো সুরাহা এখনো হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিআরটিএ ও বুয়েটের তথ্যমতে, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাসই চলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে। দূরপাল্লার বাসের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের চলাচলও গ্যাসনির্ভর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছাড়া দূরপাল্লার অন্য বাসের ৬০ শতাংশ গ্যাসে চলাচল করে। অন্যদিকে পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব গাড়িই ডিজেলে চলে। ভাড়া বাড়ানোর থেকে ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে জোর দিচ্ছেন পণ্যবাহী ট্রাকের মালিকরা। পণ্য ও গণপরিবহন মালিক সমিতির সূত্র বলছে, বর্তমানে পণ্য পরিবহন খাতে তিন লাখ ৫১ হাজার ৭৩টি নিবন্ধিত গাড়ি আছে। এর মধ্যে বাস ও মিনিবাস রয়েছে ৭৮ হাজার। এসবের প্রায় ৪০ শতাংশ ডিজেলে চলে। বাকি ৬০ শতাংশ বাস চলে গ্যাসে।
ঢাকায় বিআরটিএর অনুমোদিত বাস রয়েছে ১২ হাজার ৫২৬টি। বুয়েটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এসব বাসের ৯৫ শতাংশই চলে গ্যাসে। সেই হিসাবে ঢাকায় মাত্র ৬২৬টি বাস ডিজেলে চলাচল করে। বাকি ১১ হাজার ৯০০ বাস গ্যাসে চলে। আর ঢাকা থেকে দূরপাল্লায় চলাচল করে ১৬হাজার বাস। এদের মধ্যে গ্যাসে চলে ১১হাজার ২০০বাস। আর ডিজেলে চলে ৪হাজার ৮০০বাস। অন্যদিকে সারাদেশে চলাচল করা ৭৮হাজার বাসের মধ্যে গ্যাসে চলে ৪৬হাজার ৮০০বাস। আর ডিজেলে চলে ৩১হাজার ২০০বাস।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি বা ডিজেলের দাম কমানোর এই মারপ্যাঁচে ভুগছে সাধারণ মানুষ। কারণ ঢাকায় চলা ৯৫ শতাংশ বাসে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এগুলো সব গ্যাসে চলে। যেসব বাস ডিজেলে চলে সেগুলো সরকারকে চিহ্নিত করতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় ৯৫ শতাংশ বাস চলে গ্যাসে

আপডেট সময় : ০১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধিতে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে বাস চালাচ্ছেন না পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। ঢাকা মহানগরে সব রুটে সাড়ে ১২ হাজারের মতো বাস চলাচল করে। এর মধ্যে মাত্র ৬২৬টি ডিজেলচালিত। বাকি প্রায় ১২ হাজার অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ বাসই সিএনজিচালিত। অন্যদিকে সারাদেশে চলাচল করা ৭৮ হাজার বাসের মধ্যে ৪৬ হাজার ৮০০ বাস চলে গ্যাসে। কিন্তু ডিজেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ডিজেলচালিত বাসের পাশাপাশি গ্যাসচালিত বাস চালানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্যাসচালিত বাসের ভাড়া কেন বাড়বে সেই প্রশ্নও সাধারণের মনে।
গ্যাসে চালিত বাসের ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছেন পরিবহণ বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারাও সব বাসের ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করছেন।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘গ্যাসের দাম যখন বাড়ে তখনো ঢাকায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়। এখন যখন ডিজেলের দাম বেড়েছে তখনো ঢাকায় বাসের ভাড়া বাড়ানো হবে। এটা কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়।’
ডিজেলের দাম বাড়ানোর কারণে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে যান চলাচল বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে বাস ও পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকরা। শুক্রবার থেকে চলা এই ধর্মঘট সারাদেশে চলছে তৃতীয় দিনের মতো চলছে। কিন্তু ভাড়া নিয়ে কোনো সুরাহা এখনো হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিআরটিএ ও বুয়েটের তথ্যমতে, ঢাকা শহরের প্রায় ৯৫ শতাংশ বাসই চলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে। দূরপাল্লার বাসের মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসের চলাচলও গ্যাসনির্ভর। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছাড়া দূরপাল্লার অন্য বাসের ৬০ শতাংশ গ্যাসে চলাচল করে। অন্যদিকে পণ্য পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রায় সব গাড়িই ডিজেলে চলে। ভাড়া বাড়ানোর থেকে ডিজেলের দাম কমানোর বিষয়ে জোর দিচ্ছেন পণ্যবাহী ট্রাকের মালিকরা। পণ্য ও গণপরিবহন মালিক সমিতির সূত্র বলছে, বর্তমানে পণ্য পরিবহন খাতে তিন লাখ ৫১ হাজার ৭৩টি নিবন্ধিত গাড়ি আছে। এর মধ্যে বাস ও মিনিবাস রয়েছে ৭৮ হাজার। এসবের প্রায় ৪০ শতাংশ ডিজেলে চলে। বাকি ৬০ শতাংশ বাস চলে গ্যাসে।
ঢাকায় বিআরটিএর অনুমোদিত বাস রয়েছে ১২ হাজার ৫২৬টি। বুয়েটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এসব বাসের ৯৫ শতাংশই চলে গ্যাসে। সেই হিসাবে ঢাকায় মাত্র ৬২৬টি বাস ডিজেলে চলাচল করে। বাকি ১১ হাজার ৯০০ বাস গ্যাসে চলে। আর ঢাকা থেকে দূরপাল্লায় চলাচল করে ১৬হাজার বাস। এদের মধ্যে গ্যাসে চলে ১১হাজার ২০০বাস। আর ডিজেলে চলে ৪হাজার ৮০০বাস। অন্যদিকে সারাদেশে চলাচল করা ৭৮হাজার বাসের মধ্যে গ্যাসে চলে ৪৬হাজার ৮০০বাস। আর ডিজেলে চলে ৩১হাজার ২০০বাস।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘ভাড়া বৃদ্ধি বা ডিজেলের দাম কমানোর এই মারপ্যাঁচে ভুগছে সাধারণ মানুষ। কারণ ঢাকায় চলা ৯৫ শতাংশ বাসে ভাড়া বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। এগুলো সব গ্যাসে চলে। যেসব বাস ডিজেলে চলে সেগুলো সরকারকে চিহ্নিত করতে হবে।