ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫

ঢাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের ফাঁসির রায়

  • আপডেট সময় : ০৫:১৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার বছর আগে রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম বুধবার (১৯ মার্চ) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামি জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহস না পায়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি উচ্চ আদালত তাকে খালাস দেবে।

রায় ঘোষণা সময় জাহিদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে যান গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তারা গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি বের হয়ে যেতে দেখেন। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই জাহিদুল ইসলামকে আসামি করেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত আসামি জাহিদুলকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার রায় দিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

দেশে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত, পাশের দেশের প্রয়োজন নেই: উপদেষ্টা

ঢাকায় সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষকের ফাঁসির রায়

আপডেট সময় : ০৫:১৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: চার বছর আগে রাজধানীর বনশ্রীতে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের দায়ে গৃহশিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম বুধবার (১৯ মার্চ) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসামি জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. সাজ্জাদ হোসেন (সবুজ) রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষকের কোনো প্রকার ছাড় নেই। সকল ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যেন কেউ আর ধর্ষণ করার সাহস না পায়।

অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ইমরান হোসেন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব। আশা করছি উচ্চ আদালত তাকে খালাস দেবে।

রায় ঘোষণা সময় জাহিদুলকে কারাগারে থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবারও কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

দণ্ডিত জাহিদুল ইসলাম বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুকে বাসায় পড়াতে যান গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম। ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিশুটির বাবা-মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তারা গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি বের হয়ে যেতে দেখেন। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। পরে শিশুটি জানায়, তার শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৪ জুলাই জাহিদুল ইসলামকে আসামি করেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার।

পরের বছরের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। বিচার চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত আসামি জাহিদুলকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার রায় দিলেন।