ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ঢাকায় মুগ্ধ সুমন বললেন, বাংলাদেশই আমার গানের দেশ

  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশই আমার গানের দেশ’। গত সোমবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে গিয়ে এভাবেই নিজের মুগ্ধতার কথা ফেসবুকের পাতায় প্রকাশ করলেন ওপার বাংলার বিখ্যাত গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক কবীর সুমন। দীর্ঘ এক যুগ পর গত ১৩ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
কবীর সুমন এবার ঢাকায় এসেছিলেন তারই প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’-এর ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। সেখানে টানা তিন দিন তিনি গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেন বাংলাদেশি দর্শকদের। সেই অনুষ্ঠান শেষে এবং আরও কিছু কাজ সমাধা করে ফিরে গেলেন একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সুমন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কলকাতায় যে অল্প কজন আমায় বাঁচিয়ে রাখেন তাঁদের অভাব অনুভব করেছি ১৩ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর। কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে এসে আমার হৃদয় আমায় বলে দিচ্ছে আমার গান, আমার গানের সুর তাল ছন্দ লয় লিরিক গায়কি, আমার কীবোর্ডস বাজানোর দেশ আসলে বাংলাদেশ। সেখানেই আমি এই চলতি তিয়াত্তরে আমার শ্রোতাদের খুঁজে পেয়েছি।’
সুমন লেখেন, ‘তাঁরা আমার ধর্ম, আমার ধর্মান্তরিত ধর্ম, আমার রাজনৈতিক মতবাদের রঙ, আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী নন। তাঁরা আমার গানবাজনা শুনতে আগ্রহী। জীবনে প্রথম দেখলাম নানান বয়সের মানুষ দুলে দুলে আমার গান শুনছেন-একটি কথা নেই, কোথাও কোনো ফোন বেজে উঠছে না। জীবনে প্রথম মনে হলো এঁদের শোনানোর জন্যই আমায় এখনও আরও রেয়াজ করতে হবে, শিখতে হবে, সৃষ্টি করতে হবে, শরীর ও কণ্ঠ ঠিক রাখতে হবে, কীবোর্ডসে দখল আরও বাড়াতে হবে, গান গাওয়ার ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।’
সুমনের এই পোস্টে নিচে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক জ.ই. মামুন। তিনি লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সুমন, আপনার জন্য আপনার গানের জন্য। এবার ঢাকায় গান গেয়ে আপনি আমাদের ৩০ বছর আগের প্রথম যৌবনে নিয়ে গিয়েছিলেন। আপনার মঙ্গল হোক।’
আরেক সাংবাদিক মুন্নী সাহা লিখেছেন, ‘আবার আসবেন সুমন। আপনার বায়লোজিক্যাল বয়স যাই-ই হোক, আপনার গানের বয়স ৩০ই। মানে আপনার গান, বাংলাদেশে আপনার শ্রোতাদের সবারই, ৩০ এ নিয়ে যায়। দুটো অনুষ্ঠান দেখেছি সামনে বসেই। খেয়ালটা অদ্ভুত, আহা। বেঁচে থাক গানের সুমন।’
এর আগে কবীর সুমন ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালের অক্টোবরে। সে বার তার গানের প্রোগ্রাম ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। কিন্তু সেখানে গান গাইতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান না করেই ফিরে যান কলকাতায়।
সেই অভিমান চেপে রেখেই নাকি এক যুগের বেশি সময় ঢাকায় আসেননি কবীর সুমন। ওপার বাংলার বিখ্যাত এই সংগীত তারকা এবার ঢাকায় আসার আগে বলেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, কোনো অভিমানের কারণে নয়, গত এক যুগে নাকি তাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
অবশেষে কবীর সুমন এলেন, গান গেয়ে আরও একবার জয় করলেন বাংলাদেশি দর্শকদের মন। আবার ফিরেও গেলেন নিজের দেশে। সঙ্গে নিয়ে গেলেন একরাশ মুগ্ধতা। সেটারই জানান দিলেন মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় মুগ্ধ সুমন বললেন, বাংলাদেশই আমার গানের দেশ

আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

বিনোদন প্রতিবেদক : ‘বাংলাদেশই আমার গানের দেশ’। গত সোমবার ঢাকা থেকে কলকাতায় ফিরে গিয়ে এভাবেই নিজের মুগ্ধতার কথা ফেসবুকের পাতায় প্রকাশ করলেন ওপার বাংলার বিখ্যাত গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক কবীর সুমন। দীর্ঘ এক যুগ পর গত ১৩ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন তিনি।
কবীর সুমন এবার ঢাকায় এসেছিলেন তারই প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’-এর ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। সেখানে টানা তিন দিন তিনি গান শুনিয়ে মুগ্ধ করেন বাংলাদেশি দর্শকদের। সেই অনুষ্ঠান শেষে এবং আরও কিছু কাজ সমাধা করে ফিরে গেলেন একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় সুমন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘কলকাতায় যে অল্প কজন আমায় বাঁচিয়ে রাখেন তাঁদের অভাব অনুভব করেছি ১৩ অক্টোবর থেকে ২৪ অক্টোবর। কিন্তু বাংলাদেশ ছেড়ে এসে আমার হৃদয় আমায় বলে দিচ্ছে আমার গান, আমার গানের সুর তাল ছন্দ লয় লিরিক গায়কি, আমার কীবোর্ডস বাজানোর দেশ আসলে বাংলাদেশ। সেখানেই আমি এই চলতি তিয়াত্তরে আমার শ্রোতাদের খুঁজে পেয়েছি।’
সুমন লেখেন, ‘তাঁরা আমার ধর্ম, আমার ধর্মান্তরিত ধর্ম, আমার রাজনৈতিক মতবাদের রঙ, আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আগ্রহী নন। তাঁরা আমার গানবাজনা শুনতে আগ্রহী। জীবনে প্রথম দেখলাম নানান বয়সের মানুষ দুলে দুলে আমার গান শুনছেন-একটি কথা নেই, কোথাও কোনো ফোন বেজে উঠছে না। জীবনে প্রথম মনে হলো এঁদের শোনানোর জন্যই আমায় এখনও আরও রেয়াজ করতে হবে, শিখতে হবে, সৃষ্টি করতে হবে, শরীর ও কণ্ঠ ঠিক রাখতে হবে, কীবোর্ডসে দখল আরও বাড়াতে হবে, গান গাওয়ার ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।’
সুমনের এই পোস্টে নিচে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক জ.ই. মামুন। তিনি লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সুমন, আপনার জন্য আপনার গানের জন্য। এবার ঢাকায় গান গেয়ে আপনি আমাদের ৩০ বছর আগের প্রথম যৌবনে নিয়ে গিয়েছিলেন। আপনার মঙ্গল হোক।’
আরেক সাংবাদিক মুন্নী সাহা লিখেছেন, ‘আবার আসবেন সুমন। আপনার বায়লোজিক্যাল বয়স যাই-ই হোক, আপনার গানের বয়স ৩০ই। মানে আপনার গান, বাংলাদেশে আপনার শ্রোতাদের সবারই, ৩০ এ নিয়ে যায়। দুটো অনুষ্ঠান দেখেছি সামনে বসেই। খেয়ালটা অদ্ভুত, আহা। বেঁচে থাক গানের সুমন।’
এর আগে কবীর সুমন ঢাকায় এসেছিলেন ২০০৯ সালের অক্টোবরে। সে বার তার গানের প্রোগ্রাম ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। কিন্তু সেখানে গান গাইতে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান না করেই ফিরে যান কলকাতায়।
সেই অভিমান চেপে রেখেই নাকি এক যুগের বেশি সময় ঢাকায় আসেননি কবীর সুমন। ওপার বাংলার বিখ্যাত এই সংগীত তারকা এবার ঢাকায় আসার আগে বলেন ভিন্ন কথা। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, কোনো অভিমানের কারণে নয়, গত এক যুগে নাকি তাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
অবশেষে কবীর সুমন এলেন, গান গেয়ে আরও একবার জয় করলেন বাংলাদেশি দর্শকদের মন। আবার ফিরেও গেলেন নিজের দেশে। সঙ্গে নিয়ে গেলেন একরাশ মুগ্ধতা। সেটারই জানান দিলেন মঙ্গলবার ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে।