ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দুজনের

  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরা ও সুত্রাপুরে ছুরিকাঘাতে দুইজনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার প্রথম প্রহরে রামপুরায় অটোরিকশাচালক মামুন হাওলাদার (৪৫) এবং সুত্রাপুরে জাবেদ আলী (৩৬) নামে এক ভবঘুরে খুন হন। মামুন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার দিকে অটোরিকশা চালক মামুন তালতলা মার্কেটের সামনে মিজানুর (২৫) নামে এক দৃর্বৃত্তের কবলে পড়েন। “মামুন যাত্রী নামিয়ে পাশের দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে আবার সিএনজিতে গিয়ে বসার সময় মিজানুর তার কাছে চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা চায়। টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনের পেটে উপর্যুপরি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পনেরশত টাকা ছিনিয়ে নেয়।”
পালিয়ে যাওয়ার সময় মিজানকে ধরে ফেলে টহল পুলিশ। আর মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভোর সোয়া চারটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি। মামুনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। এদিকে সূত্রাপুর থানার এসআই আব্দুল আউয়াল জানান, ধোলাইখালের রোকনপুর এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাবেদ আলী (৩৬) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিহত হয়েছে। “রোকনপুরের বাসার কাছে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল জাবেদ। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত বলে জানায়।” তাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে ধারণা করে এসআই আউয়াল বলেন, পুলিশ আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। পাওয়া গেলে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা সহজ হবে। জাবেদ মাদকাসক্ত ছিল উল্লেখ করে তার মামা আজিম উদ্দিন পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি কখনও কখনও নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে কাটা ছেঁড়া করতেন। তবে আজিম উদ্দিন এও অভিযোগ করেছেন, শাওন নামে এলাকার এক যুবক তার ভাগ্নেকে ছুরিকাঘাত করতে পারে, আর এই আশঙ্কার কথা জাবেদ তাকে আগে বলেছিল। পুলিশ বলছে, তারা এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে অবিবাহিত জাবেদ ছিল সবার ছোট।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল দুজনের

আপডেট সময় : ০১:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর রামপুরা ও সুত্রাপুরে ছুরিকাঘাতে দুইজনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার প্রথম প্রহরে রামপুরায় অটোরিকশাচালক মামুন হাওলাদার (৪৫) এবং সুত্রাপুরে জাবেদ আলী (৩৬) নামে এক ভবঘুরে খুন হন। মামুন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার দিকে অটোরিকশা চালক মামুন তালতলা মার্কেটের সামনে মিজানুর (২৫) নামে এক দৃর্বৃত্তের কবলে পড়েন। “মামুন যাত্রী নামিয়ে পাশের দোকান থেকে সিগারেট নিয়ে আবার সিএনজিতে গিয়ে বসার সময় মিজানুর তার কাছে চাকুর ভয় দেখিয়ে টাকা চায়। টাকা দিকে অস্বীকৃতি জানালে মিজান ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনের পেটে উপর্যুপরি ছুরি দিয়ে আঘাত করে পনেরশত টাকা ছিনিয়ে নেয়।”
পালিয়ে যাওয়ার সময় মিজানকে ধরে ফেলে টহল পুলিশ। আর মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভোর সোয়া চারটার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি। মামুনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। এদিকে সূত্রাপুর থানার এসআই আব্দুল আউয়াল জানান, ধোলাইখালের রোকনপুর এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জাবেদ আলী (৩৬) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রি নিহত হয়েছে। “রোকনপুরের বাসার কাছে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল জাবেদ। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার মৃত বলে জানায়।” তাকে ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে ধারণা করে এসআই আউয়াল বলেন, পুলিশ আশেপাশের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। পাওয়া গেলে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা সহজ হবে। জাবেদ মাদকাসক্ত ছিল উল্লেখ করে তার মামা আজিম উদ্দিন পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি কখনও কখনও নিজের শরীর ব্লেড দিয়ে কাটা ছেঁড়া করতেন। তবে আজিম উদ্দিন এও অভিযোগ করেছেন, শাওন নামে এলাকার এক যুবক তার ভাগ্নেকে ছুরিকাঘাত করতে পারে, আর এই আশঙ্কার কথা জাবেদ তাকে আগে বলেছিল। পুলিশ বলছে, তারা এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে অবিবাহিত জাবেদ ছিল সবার ছোট।