প্রত্যাশা ডেস্ক: সারা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা। এই তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে যথাক্রমে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি ও ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। বায়ুর মান ও দূষণের শহর র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এই তথ্য জানা গেছে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার পর বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) স্কোর ২৮৩ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। একিউআই সূচক অনুযায়ী, জনবহুল এই শহরের রোববারের বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে একিউআই স্কোর ৬৫৯ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এসেছে কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি। আর একিউআই স্কোর ৬০০ নিয়ে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রাচীন শহর বাগদাদ।
মূলত একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। আর একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। অন্যদিকে ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্টের ওপর ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম-১০ ও পিএম-২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।
মূলত ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, শুধুমাত্র বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৭০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
সমাধানের উপায় কী: প্রতিবছর শীত এলেই ঢাকায় বাড়ে বায়ুদূষণ। চলতি বছর শুষ্ক মৌসুম শুরুর সঙ্গেই নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে ধুলার দুর্ভোগ। সঙ্গে কলকারখানার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া, বিষাক্ত সীসায় দূষিত হচ্ছে ঢাকার বায়ু। দূষিত বায়ুতে শ্বাস নিয়েই চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে। গত নভেম্বর মাসেও বায়ুদূষণ ছিল আট বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রচণ্ড শীতে দূষণ আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) এক গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ঢাকার মানুষ একদিনও ভালো বা নির্মল বায়ুতে নিশ্বাস নিতে সক্ষম হয়নি। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ১ দিনের বায়ুমান ছিল ‘মধ্যম’ প্রকৃতির, ৪ দিন ছিল ‘সতর্কতামূলক’, ১২ দিন ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ এবং ১৩ দিন বায়ুর মান ছিল ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।
ঢাকার আমেরিকান দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত ২০১৬ থেকে ২০২৪ সালের বায়ুমান সূচক বা একিউআইয়ের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) জানিয়েছে, বিগত নয় বছরের নভেম্বর মাসের মধ্যে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাস বায়ুদূষণের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে।
দেখা গেছে, ঢাকায় বায়ুমান সূচক গত আট বছরের (২০১৬-২০২৩) নভেম্বর মাসের গড় মানের (১৭৬ দশমিক ৬৬) তুলনায় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের গড় দূষণ ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে দূষণ ১১ দশমিক ০৫ শতাংশ বেড়েছে। গত নয় বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে ঢাকার নভেম্বর মাসের বায়ুমান সূচকের গড় ছিল ১৬৯, ২০১৭ সালে ১৭৮, ২০১৮ সালে ১৯৭, ২০১৯ সালে ১৫৯, ২০২০ সালে ১৬৩, ২০২১ সালে ১৯৪ দশমিক ৮, ২০২২ সালে ১৭৬ এবং ২০২৩ সালে ছিল ১৭৫ দশমিক ৬। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের বায়ুমান সূচক বেড়ে ১৯৫ হয়েছে।
গবেষণার প্রধান ক্যাপসের চেয়ারম্যান ও স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এসব কারণ দুই বছর থেকেই বলে আসছি। এগুলোর সমাধান হলেই নগরবাসী ভালো থাকতে পারবে। এবার ভারি শীতে দূষণ গতবারের চেয়েও বেশি হতে পারে। আমরা লক্ষ্য করেছি, আইনের বাস্তবায়ন কম। এছাড়া বায়ুদূষণের সোর্সগুলো এখনো দৃশ্যমান। কলকারখানার ধোঁয়া থেকে শুরু করে রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে আইন কিছুই মানা হচ্ছে না।
অধ্যাপক আহমেদ কামরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, গণপূর্ত, ওয়াসা, পরিবেশ অধিদপ্তর যদি সমন্বয় করে কাজ করতো তাহলে এ উৎসগুলো থেকে দূষণ হতো না।
সংবাদসংস্থাটি সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে জানিয়েছে, যত্রতত্র রাস্তা নির্মাণের কাজ, কলকারখানার ধোঁয়া, গাড়ির কালো ধোঁয়া, ধূমপান, যেখানে-সেখানে কাগজ, আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার ফলে বায়ুদূষণ হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ রেলগেট সংলগ্ন এলাকায়ও একই অবস্থা দেখা গেছে। এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলার কারণে এক বছর থেকেই এ এলাকায় ধুলাবালির প্রকোপ বেড়ে যায় বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা। মৌচাকের বাসিন্দা মাহফুজ হোসেন। মালিবাগ, বাড্ডা ও মোহাম্মদপুরে তার দৈনন্দিন যাতায়াত। বায়ুদূষণের ফলে নানান দুর্ভোগে ভুগছেন তিনি। মাহফুজ বলেন, কোনো মৌসুমেই নিরাপদভাবে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারি না। বর্ষাকালে মৌচাক-শান্তিনগরে ভুগতে হয়েছে জলাবদ্ধতায়। এখন আবার শীতকালে পোহাতে হচ্ছে ধুলার দুর্ভোগ। মাস্ক পরেও নিস্তার নেই। মাঝেমধ্যে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। মালিবাগ বাজার, ওয়্যারলেস রেলগেট এলাকায় বাজার করতে যাই। সেখানেও একই অবস্থা।
মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের রাস্তাজুড়ে ধুলাবালি আর কারখানার ধোঁয়ায় চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন রাকিব হোসেন। তিনি বলেন, বাদামতলীতে কাজ করি, খুবই কষ্ট হয়। প্রতিদিন লেগুনায় করে কাজে যাই। এই গাড়িতে কোনো জানালা নেই। সারা গায়ে ধুলাবালির আবরণ পড়ে যায়। পুরো শীতকাল জুড়ে এই অবস্থা থাকে। শীতকালেও দুবার গোসল করতে হয়।
দূষণে ঘন কুয়াশা বাড়ার শঙ্কা: আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, বায়ুদূষণের কারণে কুয়াশা বেড়ে যায়। কুয়াশা বেড়ে গেলে দিনের তাপমাত্রা কমে যায়। অনেক সময় দেখা যায়, শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও প্রচণ্ড শীত অনুভূত হয়। মূলত দূষিত বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধূলিকণা মিশে যায় যা মেঘ কুয়াশা তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে। গত বছরের তুলনায় এবার শীত কিছুটা আগে এসেছে। সে কারণে কুয়াশার সঙ্গে দূষণ মিশে দিনের দৃশ্য বা আলো কমে যাবে। খোলা আকাশ কম দেখা যাবে। শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে।
বাড়ছে রোগ-বালাই: স্টেট অব গ্লোবাল এয়ারের (এসওজিএ) ২০২৪ সালের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়াসহ পূর্ব-পশ্চিম, মধ্য এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় আফ্রিকার দেশগুলোতে বায়ুদূষণজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। শুধু ২০২১ সালেই বাংলাদেশে দুই লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মৃত্যুর কারণ ছিল এই বায়ুদূষণ, যা জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। বায়ুদূষণের কারণে ওই বছর দেশে ১৯ হাজারেরও বেশি পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।
রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বায়ুদূষণজনিত রোগের বেশি শিকার হয়ে থাকে। এর প্রভাবে অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ, কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়।
শ্যামলীর ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, শীত এলেই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি, এই তিন মাসে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে। বহির্বিভাগে দুই-তিন মাস আগে প্রতিদিন রোগী হতো ২০০ থেকে ৩০০। এখন শীতে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ রোগী হচ্ছে। কিছুদিন পর ৬০০ পার হতে পারে। এখানে ঋতু পরিবর্তন আর বায়ুদূষণ মূল ফ্যাক্টর। শীত যদি আরও বেড়ে যায়, দূষণও বাড়বে, রোগীও বাড়তে পারে। তিনি আরও বলেন, এই দূষণের ফলে যারা হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। দূষণ যেহেতু দূর হচ্ছে না, এখন জনগণের সচেতন হওয়াটা জরুরি। মানুষকে নাক-মুখ ঢেকে বা মাস্ক পরে বাইরে যেতে হবে। তাহলে দূষণ থেকে দূরে থাকা যায়।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু ফয়সাল জামিল বলেন, প্রতিবছর শীত আসে। দূষণ বেড়ে যায়। আমরা কথা বলি। আপনারা লেখেন। কিন্তু কোনো সমাধান কি হচ্ছে? সুতরাং এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি মানুষকে সতর্ক হতে হবে। প্রতিটি মানুষ রাস্তায় বের হলেই মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলক। ঠিক কোভিড-১৯ এর সময় যেভাবে মাস্ক পরেছিলাম, সেভাবে। না হলে এই দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। মাস্ক পরার জন্য স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করতে হবে। মানুষের আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে। দরকার হলে মাস্ক পরার বিষয়ে শাস্তি বা আইনের বিধান রাখতে হবে।
‘আমরা দূষণ কমাতে পারছি না, অন্যদিকে রোগবালাই বাড়ছে। শিশু এবং বৃদ্ধদের রোগ প্রকট আকার ধারণ করছে। সেক্ষেত্রে আমরা জনগণই সচেতন হবো বলেন ফয়সাল জামিল।
কী ব্যবস্থা নেবে সিটি করপোরেশন: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন দুইবেলা পানি ছিটাচ্ছি। এখন শুষ্ক মৌসুম, ধুলা হয়। ঘণ্টায় ঘণ্টায় তো আর পানি দেওয়া সম্ভব না। বায়ুদূষণের যে সোর্স রয়েছে, সেখানে আমরা সব সময় মনিটর করে এনফোর্স করি। নির্মাণাধীন স্থান আমরা সব সময় ঢেকে রাখতে বলি। প্রচারণা করি। অনেক সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। কিন্তু এত বিরাট এলাকা কাভারেজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সক্ষমতাও কম।
ঢাকায় দেড় কোটির বেশি মানুষ। এত মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাতে গিয়েই দূষণ করছে। ঢাকা থেকে মানুষ কমাতে হবে। লাখ লাখ মানুষ রয়েছে, যাদের রান্নার গ্যাস নেই। অনেকে লাকড়ির চুলা ব্যবহার করেন। অসংখ্য ফিটনেসবিহীন বাস। এভাবে নাগরিকরা প্রতিটি ক্ষেত্রে দূষণে প্রভাব রাখছেন। তাই দূষণের সোর্স পরিবর্তন করতে হবে, যোগ করেন মীর খায়রুল আলম।
পরিবেশ অধিদপ্তর কী করবে: পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচালক মো. জিয়াউল হক বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি অ্যাকশন প্ল্যান করা হয়েছে। বিষয়টা হলো প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা রাস্তার ধুলা। এটা নিয়ন্ত্রণ করবে কে? একইভাবে বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এসব নিয়ে আইনও রয়েছে। এসব আইন কড়াকড়িভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তাছাড়া যথেষ্ট আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগটা দুর্বল। জিয়াউল হক আরও বলেন, বায়ুদূষণ খুব জটিল জিনিস। এটা বিভিন্ন সোর্স থেকে আসে। খালি চোখে দেখা যায় না। আমাদের প্রতিবেশী দেশে থেকেও ২০-৩০ ভাগ দূষণ আসে। সব মিলিয়ে আমরা (নিয়ন্ত্রণের) চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, জনগণ বা সরকারি-বেসরকারি যেসব পর্যায়ে দূষণ করছে তাদের দূষণ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে হবে। সার্বিকভাবে সব কিছুতে শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে সরকারি প্রতিষ্ঠান জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো পর্যায়ে কি আমরা আছি? সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধান কিংবা কোনো সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ ব্যাপার না।