ঢাকা ০১:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

ঢাকার অদূরে হবে স্থায়ী ‘কৃষকের বাজার’

  • আপডেট সময় : ০১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থায়নে শেরেবাংলা নগরে সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য স্থাপিত ‘কৃষকের বাজার’ রাজধানীর অদূরে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করবে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহায়তায় বর্তমানে এ বাজারে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন। এ জন্য তাদের দিতে হয় না কোনো দোকানভাড়া কিংবা পরিবহন খরচ। বাজারটিতে পটল, লাউ, বেগুন, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, মরিচ, পেঁপে, বেগুনসহ নানান জাতের শাকসবজি বিক্রি করছেন কৃষকরা। তবে দাম অন্য বাজারের মতোই। ক্রেতারা বলছেন, দাম অন্য বাজারের মতোই তবে যেহেতু কৃষকরা সরাসরি বাজারে সবজি আনছেন, তাই এগুলো বিষমুক্ত ও নিরাপদ। এখান থেকে ‘কৃষকের বাজার’ স্থানান্তর করে ঢাকার অদূরে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করবে সরকার। এফএওর অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হবে। করোনার কারণে সাপ্লাই চেইন নষ্ট হচ্ছে। নিরাপদ পণ্য উৎপাদন ও গ্রুপ মার্কেটিংয়ের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ‘ফার্মার্স মার্কেট সেফ হর্টিকালচার ক্রপ প্রডাকশন ইন প্রি আরবান এরিয়াস অ্যান্ড মার্কেটিং ইন ঢাকা সিটি, ইমপ্যাক্ট টু কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে ২ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। সব অর্থায়ন করবে এফএও। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপদ শাক-সবজি ও ফলমূল সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি নিরাপদ কাঁচাবাজার স্থাপন করা হবে ঢাকার অদূরে। সেক্ষেত্রে ঢাকার সাভার, নরসিংদীর বেলাবো ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর বেছে নেওয়া হবে নতুন করে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ৪৫০ জন কৃষককে বাজারভিত্তিক কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া বাজার পণ্যের নিরাপদ ও পুষ্টিগুন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৬০ জন দোকান মালিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের সমন্বয়ক কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, করোনার সময় পণ্য সরবরাহ বিঘœ ঘটে। এটা সচল রাখার জন্য এফএওর অর্থায়নে কৃষকের স্থায়ী বাজার নির্মাণ করা হবে। সেচ ভবন থেকে কৃষকের বাজার স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সেমিপাকা করে শেড ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। যেখানে কৃষকেরা নিরাপদ কৃষি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।’ তিনি আরো বলেন, কোভিডের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকে। কৃষি বিপনন অধিদপ্তর থেকে ভ্যান দেয়া হবে। কৃষক দল করে সকল ধরণের সাপোর্ট দেবো ‘

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও পরিবারের ৫৭৬ কোটি টাকা ফ্রিজ

ঢাকার অদূরে হবে স্থায়ী ‘কৃষকের বাজার’

আপডেট সময় : ০১:২৩:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থায়নে শেরেবাংলা নগরে সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য স্থাপিত ‘কৃষকের বাজার’ রাজধানীর অদূরে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করবে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহায়তায় বর্তমানে এ বাজারে মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদীসহ কয়েকটি জেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করেন। এ জন্য তাদের দিতে হয় না কোনো দোকানভাড়া কিংবা পরিবহন খরচ। বাজারটিতে পটল, লাউ, বেগুন, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, মরিচ, পেঁপে, বেগুনসহ নানান জাতের শাকসবজি বিক্রি করছেন কৃষকরা। তবে দাম অন্য বাজারের মতোই। ক্রেতারা বলছেন, দাম অন্য বাজারের মতোই তবে যেহেতু কৃষকরা সরাসরি বাজারে সবজি আনছেন, তাই এগুলো বিষমুক্ত ও নিরাপদ। এখান থেকে ‘কৃষকের বাজার’ স্থানান্তর করে ঢাকার অদূরে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করবে সরকার। এফএওর অর্থায়নে এটি নির্মাণ করা হবে। করোনার কারণে সাপ্লাই চেইন নষ্ট হচ্ছে। নিরাপদ পণ্য উৎপাদন ও গ্রুপ মার্কেটিংয়ের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। করোনা পরিস্থিতির কারণে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ পরিকল্পনা সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। ‘ফার্মার্স মার্কেট সেফ হর্টিকালচার ক্রপ প্রডাকশন ইন প্রি আরবান এরিয়াস অ্যান্ড মার্কেটিং ইন ঢাকা সিটি, ইমপ্যাক্ট টু কোভিড-১৯ ক্রাইসিস’ প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ কাজে ২ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। সব অর্থায়ন করবে এফএও। চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। নিরাপদ শাক-সবজি ও ফলমূল সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি নিরাপদ কাঁচাবাজার স্থাপন করা হবে ঢাকার অদূরে। সেক্ষেত্রে ঢাকার সাভার, নরসিংদীর বেলাবো ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর বেছে নেওয়া হবে নতুন করে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর জানায়, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ৪৫০ জন কৃষককে বাজারভিত্তিক কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া বাজার পণ্যের নিরাপদ ও পুষ্টিগুন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ৬০ জন দোকান মালিককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের সমন্বয়ক কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ বলেন, করোনার সময় পণ্য সরবরাহ বিঘœ ঘটে। এটা সচল রাখার জন্য এফএওর অর্থায়নে কৃষকের স্থায়ী বাজার নির্মাণ করা হবে। সেচ ভবন থেকে কৃষকের বাজার স্থানান্তর করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সেমিপাকা করে শেড ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। যেখানে কৃষকেরা নিরাপদ কৃষি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।’ তিনি আরো বলেন, কোভিডের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকে। কৃষি বিপনন অধিদপ্তর থেকে ভ্যান দেয়া হবে। কৃষক দল করে সকল ধরণের সাপোর্ট দেবো ‘