প্রত্যাশা ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহতদের সাহায্য করার জন্য ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত কিছু সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ চূড়ান্ত হয়েছে।
দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানায়, আমরা আশা করছি দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক – যাদের বার্ন ইউনিটে কাজ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আছে, তারা নার্সদের একটি ছোট টিম নিয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ঢাকায় পৌঁছে যাবেন। ওই সূত্র আরো জানায়, পাঠানো হচ্ছে মেডিক্যাল ইকুইপমেন্টও। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী আরো চিকিৎসকরাও যাবেন।
জানা যায়, সোমবারের ওই দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পরই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টকে ফোন করেন এবং যেকোনো দরকারে ভারত সর্বতোভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানান।
সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ওই বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় তার শোক ব্যক্ত করেন এবং জানান, এই সংকটে ‘ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে এবং সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিতেও প্রস্তুত’।
এরপর থেকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে দুই সরকারের মধ্যে সারাক্ষণই যোগাযোগ ছিল। ঢাকায় সরকারের পক্ষ থেকে দিল্লিতে জানানো হয়েছিল, বেশির ভাগ ভিক্টিমেরই শরীর পুড়ে গেছে – তাই এই দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ দল, ইকুইপমেন্ট ও অত্যাধুনিক ওষুধপত্র পেলে সবচেয়ে সুবিধা হবে। সেই অনুরোধ অনুযায়ী দিল্লিও সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয় এবং নার্সসহ দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ঢাকায় ভারত থেকে আরো ডাক্তার ও নার্স পাঠানোর প্রক্রিয়াও চলমান আছে বলে দু’দেশের কূটনৈতিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বিগত প্রায় এক বছর ধরে একটা ‘কূটনৈতিক শৈত্য’ দেখা গেলেও সংকটের মুহূর্তে দুই দেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে কাছাকাছি আসতে পারল, পর্যবেক্ষকরা সেটিকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা