ঢাকা ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় চোরদের ডাটাবেজ হচ্ছে

  • আপডেট সময় : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি, বাসা-বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরির মতো অপরাধ রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। চোরদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একাধিক মামলা থাকার পরেও বিভিন্ন সময় গ্রেফতারের পর খুব সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এক কথায় তাদের বলা চলে পেশাদার চোর। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এসব চোর চক্রের সদস্যদের। ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, একের অধিক মামলা রয়েছে এমন চোরদের সংখ্যা নিরূপণ করে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তারা আরও বলেন, একাধিক মামলা থাকার কারণে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার সময় কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলছে চোর চক্রের সদস্যরা। যারা বিভিন্ন চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে তাদের ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আগে থানাগুলো এ ধরনের চোরচক্রের ডাটাবেজের কাজ করতো। এখন সেন্ট্রালি করা হচ্ছে। ডাটাবেজ হলে, কারা বিভিন্ন ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত সেসব বিষয়গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যেকোনও মামলার অপরাধী শনাক্তে এই ডাটাবেজ ভূমিকা রাখবে। যেকোনও অপরাধজনিত ঘটনার ক্লু বের করা, এভিডেন্স বের করা, কারা এ ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত এসব বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে থাকে। বিভিন্ন সময়ে অভিযানে বিভিন্ন চোরদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানতে পারেন, কিছু কিছু চোর রয়েছে যারা দিনে চুরি করে, তারা রাতে চুরি করে না। আবার কেউ কেউ রাতে করে, দিনে করে না। কিছু চোর রয়েছে যারা বিশেষ করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো খেয়াল করে। যেমন- মোটরসাইকেলে জিপিআরএস কিংবা প্রযুক্তিগত কোনো বিষয় থাকলে সেসব মোটরসাইকেল চুরি করে না। যদি কোনো অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে বা বিশেষ কোনো তালা থাকে যেগুলো ভাঙা সম্ভব না সেসব মোটরসাইকেল তারা চুরি করে না। শুধু অনিরাপদ ও অরক্ষিতভাবে পার্কিংয়ে থাকা বিভিন্ন মোটরসাইকেলই তাদের টার্গেট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, কোন চোর কী ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত, কোন এলাকা কিংবা কোন সময়গুলোকে চোররা বেছে নিচ্ছে এরকম নানা তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় চোরাই মোটরসাইকেল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির বিষয়গুলো নজরে এসেছে, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় চোরদের ডাটাবেজ হচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:০৯:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি, বাসা-বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরির মতো অপরাধ রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। চোরদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একাধিক মামলা থাকার পরেও বিভিন্ন সময় গ্রেফতারের পর খুব সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবারও একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এক কথায় তাদের বলা চলে পেশাদার চোর। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এসব চোর চক্রের সদস্যদের। ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, একের অধিক মামলা রয়েছে এমন চোরদের সংখ্যা নিরূপণ করে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তারা আরও বলেন, একাধিক মামলা থাকার কারণে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার সময় কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলছে চোর চক্রের সদস্যরা। যারা বিভিন্ন চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার হচ্ছে তাদের ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, আগে থানাগুলো এ ধরনের চোরচক্রের ডাটাবেজের কাজ করতো। এখন সেন্ট্রালি করা হচ্ছে। ডাটাবেজ হলে, কারা বিভিন্ন ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত সেসব বিষয়গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যেকোনও মামলার অপরাধী শনাক্তে এই ডাটাবেজ ভূমিকা রাখবে। যেকোনও অপরাধজনিত ঘটনার ক্লু বের করা, এভিডেন্স বের করা, কারা এ ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত এসব বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে থাকে। বিভিন্ন সময়ে অভিযানে বিভিন্ন চোরদের গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানতে পারেন, কিছু কিছু চোর রয়েছে যারা দিনে চুরি করে, তারা রাতে চুরি করে না। আবার কেউ কেউ রাতে করে, দিনে করে না। কিছু চোর রয়েছে যারা বিশেষ করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো খেয়াল করে। যেমন- মোটরসাইকেলে জিপিআরএস কিংবা প্রযুক্তিগত কোনো বিষয় থাকলে সেসব মোটরসাইকেল চুরি করে না। যদি কোনো অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে বা বিশেষ কোনো তালা থাকে যেগুলো ভাঙা সম্ভব না সেসব মোটরসাইকেল তারা চুরি করে না। শুধু অনিরাপদ ও অরক্ষিতভাবে পার্কিংয়ে থাকা বিভিন্ন মোটরসাইকেলই তাদের টার্গেট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, কোন চোর কী ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত, কোন এলাকা কিংবা কোন সময়গুলোকে চোররা বেছে নিচ্ছে এরকম নানা তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় চোরাই মোটরসাইকেল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির বিষয়গুলো নজরে এসেছে, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।