ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় চিকিৎসকদের গড় বেতন মাত্র ৩০ হাজার টাকা

  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে চিকিৎসকদের গড় মাসিক বেতন এখনো মাত্র ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা পেশায় আসলেও স্বল্প বেতন ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে এই পেশার আকর্ষণ দ্রুত কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্য সেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে মেধাবী ছেলেরা ডাক্তারি পড়ে। আগে এটি পুরোপুরি সত্য ছিল, এখনও অনেকটা সত্য। কিন্তু চিকিৎসা পেশায় থেকে টিকে থাকার জন্য যে সুবিধা প্রয়োজন তা নেই। আমেরিকা-ইউরোপে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের মধ্যে থাকলেও, বাংলাদেশে একজন চিকিৎসকের গড় বেতন এখনো মাত্র ৩০ হাজার টাকা। ফলে এ পেশাকে আকর্ষণীয় মনে না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেতনের এই বৈষম্য।’

তিনি আরো বলেন, সরকারি চাকরিতে চিকিৎসকদের বেতন যদি অন্তত ৬০ হাজারে উন্নীত করা যায়, তবে বেসরকারি খাতও বাধ্য হবে অন্তত ৫০ হাজার দিতে। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাকর্মী ডাক্তার-নার্সদের অনেকেই ১২ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন, যা পেশা পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে ক্যাডার ব্যবস্থার বৈষম্য নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মতে, বিভিন্ন সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছেন স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা। সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করে কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও, সেটি সামগ্রিক চিত্র পাল্টানোর মতো নয়।

ডা. সাইদুর রহমান বলেন, প্রফেশন চেঞ্জ কোনো বাংলাদেশের একক সমস্যা নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। ব্রিটিশ ডাক্তাররা যেমন আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছেন, তেমনি বাংলাদেশি ডাক্তাররাও ভালো সুযোগের সন্ধানে অন্য পেশা বা অন্য দেশে যাচ্ছেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরসহ অন্য কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকায় চিকিৎসকদের গড় বেতন মাত্র ৩০ হাজার টাকা

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীতে চিকিৎসকদের গড় মাসিক বেতন এখনো মাত্র ৩০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা পেশায় আসলেও স্বল্প বেতন ও সীমিত সুযোগ-সুবিধার কারণে এই পেশার আকর্ষণ দ্রুত কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে ‘স্বাস্থ্য সেবায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা ধারণা আছে যে মেধাবী ছেলেরা ডাক্তারি পড়ে। আগে এটি পুরোপুরি সত্য ছিল, এখনও অনেকটা সত্য। কিন্তু চিকিৎসা পেশায় থেকে টিকে থাকার জন্য যে সুবিধা প্রয়োজন তা নেই। আমেরিকা-ইউরোপে চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ আয়ের পেশাজীবীদের মধ্যে থাকলেও, বাংলাদেশে একজন চিকিৎসকের গড় বেতন এখনো মাত্র ৩০ হাজার টাকা। ফলে এ পেশাকে আকর্ষণীয় মনে না করার অন্যতম কারণ হচ্ছে বেতনের এই বৈষম্য।’

তিনি আরো বলেন, সরকারি চাকরিতে চিকিৎসকদের বেতন যদি অন্তত ৬০ হাজারে উন্নীত করা যায়, তবে বেসরকারি খাতও বাধ্য হবে অন্তত ৫০ হাজার দিতে। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবাকর্মী ডাক্তার-নার্সদের অনেকেই ১২ হাজার টাকা বেতনে কাজ করছেন, যা পেশা পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্যখাতে ক্যাডার ব্যবস্থার বৈষম্য নিয়েও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার মতে, বিভিন্ন সরকারি ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছেন স্বাস্থ্য ক্যাডারের চিকিৎসকরা। সাম্প্রতিক সময়ে পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করে কিছুটা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও, সেটি সামগ্রিক চিত্র পাল্টানোর মতো নয়।

ডা. সাইদুর রহমান বলেন, প্রফেশন চেঞ্জ কোনো বাংলাদেশের একক সমস্যা নয়, এটা বিশ্বব্যাপী। ব্রিটিশ ডাক্তাররা যেমন আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাচ্ছেন, তেমনি বাংলাদেশি ডাক্তাররাও ভালো সুযোগের সন্ধানে অন্য পেশা বা অন্য দেশে যাচ্ছেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরসহ অন্য কর্মকর্তারা।