ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫

ড. কামালকে অব্যাহতি দিয়ে একাংশের ঘোষণা আমরাই আসল গণফোরাম

  • আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান ঘোষিত গণফোরামের নতুন কমিটি ‘সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও অগণতান্ত্রিক’ বলে দাবি করেছে গণফোরাম একাংশ (মোস্তফা মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশ)। তাদের দাবি, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারাই আসল গণফোরাম। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। এসময় ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি ঘোষণা করেন তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও অগণতান্ত্রিক।’
তিনি বলেন, ‘গণফোরামের অচলাবস্থা নিরসনে এবং দলকে দেশব্যাপী সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ও সমর্থন নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে গণফোরামের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অধিবেশনে এক হাজার কাউন্সিলরের সক্রিয় অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্যবিশিষ্ট গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কহীন, দল থেকে পদত্যাগকারী, বিভেদ সৃষ্টিকারী ও নিষ্ক্রিয় কিছু ব্যক্তি নিয়ে গণফোরাম নাম দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারা কেউই গণফোরামের নির্বাচিত কমিটি থেকে পদত্যাগ না করে স্বঘোষিত একটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি দল গঠন করেন।’
জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘এমতাবস্থায় গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হলো।’
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি নিয়ে আসেন। আমরা কিন্তু কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করেছি। কিন্তু উনি (ড. কামাল) প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিচ্ছেন। এটা আপনারা দেখেছেন। একটা আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দিতে পারতেন। কিন্তু একটা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা কীভাবে দিতে পারেন, যাদের সারা বাংলাদেশে কমিটি আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুনদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটা পরিবর্তন কামনা করি। সেই পরিবর্তন হলো একটা সুস্থ রাজনীতির বিকাশ। যেটার জন্য গণফোরামের জন্ম হয়েছিল। আজ আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো। এখান থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং আমাদের পথও খোলা নেই। আমরা এর থেকে বিচ্যুত হবো না আমাদের সামনে যেই ব্যক্তিই আসুক না কেন? তিনি যত শ্রদ্ধেয় বা সমাদিত ব্যক্তিই হোক না কেন, আমরা কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের সঙ্গে আপস করবো না।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইদ, মহিউদ্দিন আ. কাদের, অধ্যাপক হাফিজ চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ড. কামালকে অব্যাহতি দিয়ে একাংশের ঘোষণা আমরাই আসল গণফোরাম

আপডেট সময় : ০২:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান ঘোষিত গণফোরামের নতুন কমিটি ‘সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও অগণতান্ত্রিক’ বলে দাবি করেছে গণফোরাম একাংশ (মোস্তফা মন্টুর নেতৃত্বাধীন অংশ)। তাদের দাবি, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারাই আসল গণফোরাম। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। এসময় ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাড. জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন ও মো. মিজানুর রহমান গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যে কমিটি ঘোষণা করেন তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও অগণতান্ত্রিক।’
তিনি বলেন, ‘গণফোরামের অচলাবস্থা নিরসনে এবং দলকে দেশব্যাপী সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ড. কামাল হোসেনের অনুমতি ও সমর্থন নিয়ে অত্যন্ত সফলভাবে গণফোরামের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ওই অধিবেশনে এক হাজার কাউন্সিলরের সক্রিয় অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে সভাপতি ও সাবেক নির্বাহী সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৭ সদস্যবিশিষ্ট গণফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবে গণফোরামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্কহীন, দল থেকে পদত্যাগকারী, বিভেদ সৃষ্টিকারী ও নিষ্ক্রিয় কিছু ব্যক্তি নিয়ে গণফোরাম নাম দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মো. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তারা কেউই গণফোরামের নির্বাচিত কমিটি থেকে পদত্যাগ না করে স্বঘোষিত একটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থি দল গঠন করেন।’
জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, ‘এমতাবস্থায় গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ড. কামাল হোসেনকে দলের প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। মো. মিজানুর রহমানকে সভাপতি পরিষদের সদস্য পদসহ দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকেও বহিষ্কার করা হলো।’
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, ‘কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি নিয়ে আসেন। আমরা কিন্তু কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি করেছি। কিন্তু উনি (ড. কামাল) প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে কমিটি ঘোষণা দিচ্ছেন। এটা আপনারা দেখেছেন। একটা আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দিতে পারতেন। কিন্তু একটা প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে একটা পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা কীভাবে দিতে পারেন, যাদের সারা বাংলাদেশে কমিটি আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নতুনদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটা পরিবর্তন কামনা করি। সেই পরিবর্তন হলো একটা সুস্থ রাজনীতির বিকাশ। যেটার জন্য গণফোরামের জন্ম হয়েছিল। আজ আমরা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো। এখান থেকে সরে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই এবং আমাদের পথও খোলা নেই। আমরা এর থেকে বিচ্যুত হবো না আমাদের সামনে যেই ব্যক্তিই আসুক না কেন? তিনি যত শ্রদ্ধেয় বা সমাদিত ব্যক্তিই হোক না কেন, আমরা কিন্তু জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের সঙ্গে আপস করবো না।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর আবু সাইদ, মহিউদ্দিন আ. কাদের, অধ্যাপক হাফিজ চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।