নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘আমরা শহীদ পরিবারের প্রতিনিধিরা ‘ভিক্ষার ঝুড়ি’ নিয়ে গত রোববার গিয়েছিলাম আমাদের সরকার প্রধান ড. ইউনূস সাহেবের দরজায়। উনার সহকারী শাব্বীর ভাই বলল, গত ৩০ তারিখের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে আমাদের দেখার ব্যবস্থা করে দেবেন। পরে উনি মেসেজ দিয়েছেন-ড. ইউনূসের নাকি শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় নেই! তাহলে শহীদ পরিবার কোথায় যাবে?’
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনে এমন আক্ষেপের কথা জানান শহীদ ইমাম হাসান তাইমের ভাই মো. রবিউল আউয়াল।
রবিউল আউয়াল বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে প্রত্যেকটা হত্যার বিচারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তরে দৌড়াচ্ছি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও বলেছে-মাত্র ৩৫ জন আসামি গ্রেফতার কেন? ট্রাইব্যুনাল থেকে বলেছিল এ নিয়ে দরখাস্ত করার জন্য। আমি নিজে ট্রাইব্যুনালে দরখাস্ত করতে গেলে আমাকে একজন প্রসিকিউটর বললেন, এগুলো কি করা যাবে নাকি? তখন আমি বললাম, আমি এজলাসে ছিলাম, বিচারপতিরা বলেছিলেন আসামিদের গ্রেফতার না করলে দরখাস্ত করার জন্য।’
উনি (একজন প্রসিকিউটর) বললেন, ‘বিচারপতিদের কি মাথা ঠিক আছে?’
শহীদ পরিবারের এই প্রতিনিধি বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের প্রতি আমাদের এত বিশ্বাস কিন্তু ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে যদি এমন কথা বলে, তাহলে বিচারের জন্য আমরা কোথায় যাব? ২০০০ হত্যাকাণ্ডে ৩৫ জন আসামি গ্রেফতার কী আমাদের প্রাপ্ত ছিল? এই সরকারটা আমাদের। এখন যদি বিচারের জন্য পদে পদে হেনস্তা হতে হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমাদের কেন রাস্তায় নেমে আসতে হলো? শহীদদের স্বীকৃতি কি? শেখ হাসিনা ফিরে এলে তাদেরকে সন্ত্রাসী বলে উপাধি দেবে। বিচার নামে রঙ্গমঞ্চ তৈরি করার মানেটা কী?’
আগে বিচার পরে সংস্কার-নির্বাচন: সংস্কার ও নির্বাচনের আগে প্রত্যেক শহীদদের স্বীকৃতি এবং প্রতিটি হত্যার বিচার করতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০০ সন্তানের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। ঐক্য হবে, সংস্কার হবে, নির্বাচন হবে কিন্তু তার আগে প্রত্যেকটা হত্যার বিচার করতে হবে। আগে শহীদদের স্বীকৃতি ও হত্যার বিচার করতে হবে।