ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার দুই সেতু উড়িয়ে দিলো ইউক্রেন

  • আপডেট সময় : ০১:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ড্রোন হামলার মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। হামলায় যে দু’টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, বর্তমান বাজারের নিরিখে সেগুলো বেশ সস্তা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাশিয়া-ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ প্রদেশে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৫৮তম সেপারেট মটোরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ঘটিয়েছে এই হামলা। ব্রিগেডের একজন সেনা কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, “আমরা গোয়েন্দাসূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে বেলগোরোদের সীমান্তবর্তী সেতুর নিচে মাইন পেতেছে রুশ বাহিনী। ব্যাপারটি যাচাই করার জন্য প্রথমে একটি সাধারণ পর্যবেক্ষণ ড্রোন পাঠাই, কিন্তু ওই ড্রোন মাইনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি। পরে আমরা একটি ফার্স্ট-পারসন-ভিও ড্রোন পাঠাই। ওই ড্রোনই সেতুতে পেতে রাখা মাইনের ব্যাপারটি আমাদের নিশ্চিত করেছে।”

“এরপর আমরা আরেকটি সেতুতে বিশেষ ড্রোন পাঠাই এবং সেখানেও ড্রোন পেতে রাখার ব্যাপারে ব্যাপারে নিশ্চিত হই। রুশবাহিনী এমনভাবে সেতুর পিলারের নিচে মাইন পেতেছিল যে মানুষ তো দূর এমনকি সাধারণ কোনো পর্যবেক্ষন ড্রোনের পক্ষেও সেই মাইনের অস্তিত্ব বোঝা অনেক কঠিন।”

ধ্বংস হওয়া সেতুগুলো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাশিয়ার কাছে। বেলগোরোদ সীমান্তে অবস্থান নেওয়া রুশ সেনাদের কাছে খাদ্য ও রসদ পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল এটি। তবে সম্প্রতি বেলগোরোদ সীমান্তে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর সেতু দু’টির পিলারের নিচে মাইন ও শক্তিশালী বিস্ফোরক পাতে রুশ বাহিনী।

“রুশ বাহিনীর পরিকল্পনা ছিল, সীমান্ত পেরিয়ে যদি আমরা রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করি, তাহলে সেতু পেরোনোর সময়েই নিচে পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হবে। যে দু’টি ড্রোন আমরা পাঠিয়েছিলাম, সেগুলো সেই মাইনে আঘাত হেনেছে, এর ফলেই ঘটেছে বিস্ফোরণ।”

সিএনএনকে ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলায় ব্যহহৃত ড্রোন দু’টি দামী কোনো যুদ্ধাস্ত্র ছিল না। ড্রোনগুলোর বাজার মূল্য ৬০০ থেকে ৭২৫ ডলারের মধ্যে। তবে ড্রোনগুলো আমদানি করা, না কি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নিজেদের তৈরি— তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী; শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

এই প্রথম কমদামী যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করল ইউক্রেনীয় বাহিনী।

সূত্র : সিএনএন

ওআ/আপ্র/৩০/০৮/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার দুই সেতু উড়িয়ে দিলো ইউক্রেন

আপডেট সময় : ০১:২১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ড্রোন হামলার মাধ্যমে উড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। হামলায় যে দু’টি ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, বর্তমান বাজারের নিরিখে সেগুলো বেশ সস্তা ধরনের যুদ্ধাস্ত্র।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাশিয়া-ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ প্রদেশে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ৫৮তম সেপারেট মটোরাইজড ইনফ্যান্ট্রি ঘটিয়েছে এই হামলা। ব্রিগেডের একজন সেনা কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, “আমরা গোয়েন্দাসূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে বেলগোরোদের সীমান্তবর্তী সেতুর নিচে মাইন পেতেছে রুশ বাহিনী। ব্যাপারটি যাচাই করার জন্য প্রথমে একটি সাধারণ পর্যবেক্ষণ ড্রোন পাঠাই, কিন্তু ওই ড্রোন মাইনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে পারেনি। পরে আমরা একটি ফার্স্ট-পারসন-ভিও ড্রোন পাঠাই। ওই ড্রোনই সেতুতে পেতে রাখা মাইনের ব্যাপারটি আমাদের নিশ্চিত করেছে।”

“এরপর আমরা আরেকটি সেতুতে বিশেষ ড্রোন পাঠাই এবং সেখানেও ড্রোন পেতে রাখার ব্যাপারে ব্যাপারে নিশ্চিত হই। রুশবাহিনী এমনভাবে সেতুর পিলারের নিচে মাইন পেতেছিল যে মানুষ তো দূর এমনকি সাধারণ কোনো পর্যবেক্ষন ড্রোনের পক্ষেও সেই মাইনের অস্তিত্ব বোঝা অনেক কঠিন।”

ধ্বংস হওয়া সেতুগুলো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল রাশিয়ার কাছে। বেলগোরোদ সীমান্তে অবস্থান নেওয়া রুশ সেনাদের কাছে খাদ্য ও রসদ পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল এটি। তবে সম্প্রতি বেলগোরোদ সীমান্তে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার পর সেতু দু’টির পিলারের নিচে মাইন ও শক্তিশালী বিস্ফোরক পাতে রুশ বাহিনী।

“রুশ বাহিনীর পরিকল্পনা ছিল, সীমান্ত পেরিয়ে যদি আমরা রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করি, তাহলে সেতু পেরোনোর সময়েই নিচে পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হবে। যে দু’টি ড্রোন আমরা পাঠিয়েছিলাম, সেগুলো সেই মাইনে আঘাত হেনেছে, এর ফলেই ঘটেছে বিস্ফোরণ।”

সিএনএনকে ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, হামলায় ব্যহহৃত ড্রোন দু’টি দামী কোনো যুদ্ধাস্ত্র ছিল না। ড্রোনগুলোর বাজার মূল্য ৬০০ থেকে ৭২৫ ডলারের মধ্যে। তবে ড্রোনগুলো আমদানি করা, না কি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর নিজেদের তৈরি— তা স্পষ্ট করেননি তিনি।

কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের আবেদনকে ঘিরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী; শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।

এই প্রথম কমদামী যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ধ্বংস করল ইউক্রেনীয় বাহিনী।

সূত্র : সিএনএন

ওআ/আপ্র/৩০/০৮/২০২৫