প্রত্যাশা ডেস্ক : ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা হবে এক রোগীর। সবকিছু ঠিকঠাক। চিকিৎসকেরাও প্রস্তুত। এমন সময়ে ড্রোনে করে উড়িয়ে আনা হলো ফুসফুস। সফল অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগী এখন সুস্থ। গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার টরন্টো শহরে।
গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, ড্রোনে ফুসফুস পরিবহন করে এনে প্রতিস্থাপনের ঘটনা এই প্রথম। এর আগেও ২০১৯ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেবার ড্রোনে উড়িয়ে আনা হয়েছিল কিডনি।
টরন্টোর ওয়েস্টার্ন হাসপাতাল থেকে ফুসফুসটি উড়িয়ে নেওয়া হয় কিছুটা দূরের টরন্টো জেনারেল হাসপাতালে। মাঝের ১ দশমিক ২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে ড্রোনটির সময় লেগেছে ১০ মিনিটের কম সময়। সাড়ে ১৫ কেজি ওজনের ড্রোনটি নির্মাণ করেছে কিউবেকভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইউনিদার বায়োইলেকট্রনিকস। সেটিতে সংযুক্ত ছিল একটি শীতলীকরণ কনটেইনার। তাতেই রাখা হয়েছিল ফুসফুসটি। এর আগে অবশ্য ড্রোন দিয়ে ফুসফুস বহনের প্রক্রিয়াটি আদতেই সম্ভব কি না, তা বুঝতে একাধিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ড্রোনের নকশায় আনতে হয়েছে নানা ধরনের পরিবর্তন। এমনকি অনুমতি নিতে হয়েছে স্বাস্থ্য ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষেরও। ড্রোন দিয়ে ফুসফুস বহনের ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয়েছিল সম্ভাব্য দুর্ঘটনার বিষয়টিও। বিরূপ পরিস্থিতিতে ক্ষতি এড়াতে সেটিতে ছিল প্যারাসুটের ব্যবস্থাও। এদিকে যাঁকে ঘিরে এত আয়োজন সেই রোগী পেশায় একজন প্রকৌশলী। শরীরে প্রতিস্থাপন হতে যাওয়া ফুসফুসটি ড্রোনে করে বহন করা হবে—বিষয়টি নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনিও। অস্ত্রোপচারের দুই দিন পরে অনেকটাই সেরে ওঠেন ৬৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নিয়েছিলেন মেয়ের বিয়েতেও।
ড্রোনে উড়ে এলো ফুসফুস
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ