প্রত্যাশা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা নিকোল পাউলিনো। সম্প্রতি নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে তিনি যে তথ্য জানতে পারেন, তাতে তাঁর মাথায় পুরো আকাশ ভেঙে পড়েছিল। তিন সন্তানের জননী এই নারী বলেন, জীবনে এতটা হতবাক তিনি আগে কখনো হননি।
কী কারণে নিকোল এতটা হতবাক হয়েছেন, তা জানলে আপনারও চোখ কপালে উঠে যাবে। পাউলিনো ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে গিয়ে জানতে পারেন, সরকারি নথিপত্রে তিনি একজন মৃত মানুষ। তাই আগে তাঁকে জীবিত থাকার প্রমাণপত্র দিতে হবে। তবেই কেবল তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন।
মুঠোফোনে এমন খুদে বার্তা পেয়ে নিজে ‘ভীত ও বিস্মিত’ হয়ে পড়েছিলেন বলে জানান নিকোল। তিনি বলেন, ‘সেখানে লেখা ছিল, মেরিল্যান্ড মোটর ভেহিকল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সিস্টেমে আমি মৃত। মিথ্যা বলব না, আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম, বিস্মিতও হয়েছিলাম। আমি তো জীবিত। আমি এখানেই আছি।’
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করতে হলে এখন নিকোলকে ইউএস ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস থেকে একটি প্রমাণপত্র নিতে হবে। কারণ, সেখানে তিনি এখন একজন ‘মৃত করদাতা’।
এ ঘটনা নিকোলের জীবনকে এলোমেলো করে দিয়েছে বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। কারণ, তিনি জানতে পারেন, তাঁর ও তাঁর তিন সন্তানের স্বাস্থ্যবিমাও বাতিল হয়ে গেছে। এতে তাঁর হাজার হাজার টাকার চিকিৎসা বিল জমা হয়েছে। এমনকি হাঁপানিতে আক্রান্ত এ নারী তাঁর ইনহেলার পর্যন্ত কিনতে পারছিলেন না।
কেন এত বড় ঝড় জীবনে উঠল, নিকোল যখন তার কারণ জানার চেষ্টা করছিলেন, সে সময় সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্যালয় থেকে তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। জানানো হয়, তাদের একটি অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণে (টাইপো) এমনটা হয়েছে।
সেখান থেকে বলা হয়, সোশ্যাল সিকিউরিটির ওয়েবসাইটে অন্য এক ব্যক্তির মৃত্যুর নিবন্ধন করতে গিয়ে নম্বরের গরমিলে নিকোলের সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়।
সোশ্যাল সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ এ দাবিও করেছে, তাদের এ ধরনের ভুল খুবই কম হয়। তারা বছরে ৩০ লাখ মৃত্যুর নিবন্ধন করে এবং ভুলের হার মাত্র শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ।
নিকোলের বিষয়ে তদন্ত শেষে সোশ্যাল সিকিউরিটি কর্তৃপক্ষ নিজেদের ভুল সংশোধন করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। তারা বলেছে, পাউলিনো এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জীবিত।