ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

‘ডেলটা প্লাস’ মোকাবিলার উপায় জানালেন ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা

  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার নতুন ধরন ‘ডেলটা প্লাস’ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। এ অবস্থায় করোনার এই ধরনটি মোকাবিলার উপায় বাতলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ডেলটা প্লাস’ ধরনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকা নিতে হবে। সঙ্গে মাস্ক পরাসহ সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলো পরিপালন করতে হবে।
রাশিয়ায় ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি মেলিতা ভজনোভিচ একটি লাইভ ইউটিউব শোতে এসে এ কথা বলেছেন। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে মেলিতা বলেন, টিকা নিতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরতে হবে। করোনার ধরনটির বিরুদ্ধে শুধু টিকা যথেষ্ট নয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকে অপরিহার্য হিসেবে বর্ণনা করেন মেলিতা ভজনোভিচ। কারণ, টিকা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা কমায়। গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়। মেলিতা ভজনোভিচের মতে, শুধু টিকা নিলেই হবে না। করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অন্য পদক্ষেপগুলো গ্রহণেরও দরকার আছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনার ডেলটা ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। ভারতে সন্ধান পাওয়া করোনার বি.১.৬১৭.২ ধরন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নামকরণ করেছে ‘ডেলটা’, তারই নতুন পরিবর্তিত রূপ ‘ডেলটা প্লাস’। ভারত ছাড়াও পরিবর্তিত এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রাশিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা স্তিমিত হলেও মাস দেড়েকের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা জাগছে। দেশটিতে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ করে তুলতে পারে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ডেলটা প্লাস’। ভারতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষের শরীরে করোনার এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ভারতের কোভিড টাস্কফোর্সের পরিচালক ভি কে পাল সম্প্রতি জানিয়েছেন, মার্চ মাস থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ডেলটা প্লাস প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই প্রজাতি সম্পর্কে খুব একটা তথ্য বিশেষজ্ঞদের জানা নেই। এই ভাইরাসের চরিত্র কেমন, কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে এখনো বিশেষ কিছু জানা যায়নি। প্রচলিত টিকা এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে, তা-ও এই মুহূর্তে অজানা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘ডেলটা প্লাস’ মোকাবিলার উপায় জানালেন ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ১১:৪৯:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনার নতুন ধরন ‘ডেলটা প্লাস’ নিয়ে বিশ্বে উদ্বেগ বাড়ছে। এ অবস্থায় করোনার এই ধরনটি মোকাবিলার উপায় বাতলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ডেলটা প্লাস’ ধরনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকা নিতে হবে। সঙ্গে মাস্ক পরাসহ সুরক্ষামূলক পদক্ষেপগুলো পরিপালন করতে হবে।
রাশিয়ায় ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি মেলিতা ভজনোভিচ একটি লাইভ ইউটিউব শোতে এসে এ কথা বলেছেন। এনডিটিভি অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। এ প্রসঙ্গে মেলিতা বলেন, টিকা নিতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরতে হবে। করোনার ধরনটির বিরুদ্ধে শুধু টিকা যথেষ্ট নয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকে অপরিহার্য হিসেবে বর্ণনা করেন মেলিতা ভজনোভিচ। কারণ, টিকা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা কমায়। গুরুতর অসুস্থতার ঝুঁকি কমায়। মেলিতা ভজনোভিচের মতে, শুধু টিকা নিলেই হবে না। করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অন্য পদক্ষেপগুলো গ্রহণেরও দরকার আছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনার ডেলটা ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ডব্লিউএইচও। ভারতে সন্ধান পাওয়া করোনার বি.১.৬১৭.২ ধরন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যার নামকরণ করেছে ‘ডেলটা’, তারই নতুন পরিবর্তিত রূপ ‘ডেলটা প্লাস’। ভারত ছাড়াও পরিবর্তিত এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, রাশিয়া, চীন প্রভৃতি দেশে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা স্তিমিত হলেও মাস দেড়েকের মধ্যে তৃতীয় ঢেউ আসার শঙ্কা জাগছে। দেশটিতে সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউ ভয়াবহ করে তুলতে পারে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ‘ডেলটা প্লাস’। ভারতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষের শরীরে করোনার এই প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে।
ভারতের কোভিড টাস্কফোর্সের পরিচালক ভি কে পাল সম্প্রতি জানিয়েছেন, মার্চ মাস থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ডেলটা প্লাস প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই প্রজাতি সম্পর্কে খুব একটা তথ্য বিশেষজ্ঞদের জানা নেই। এই ভাইরাসের চরিত্র কেমন, কী ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, সেসব বিষয়ে এখনো বিশেষ কিছু জানা যায়নি। প্রচলিত টিকা এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর হবে, তা-ও এই মুহূর্তে অজানা।