ক্রীড়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুর অভিযানে হোঁচট খেয়েছে পাকিস্তান। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা নিউজিল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। হেরেছে ৬০ রানে। পরাজয়ের পর স্বাগতিক অধিনায়ক রিজওয়ান ডেথ ওভারে দায়সারা বোলিং আর ফখর জামানের ইনজুরিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন। টস হেরে ব্যাট করে এক পর্যায়ে সফরকারীদের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১১৩। সেখান থেকেও ৫ উইকেটে ৩২০ রানের পাহাড় গড়েছে কিউই দল। যার পেছনে অবদান ওপেনার উইল ইয়াং ও ম্যাচসেরা টম ল্যাথামের। তার পর ফখর জামান ফিল্ডিংয়ের সময় ইনজুরিতে পড়ায় পাকিস্তান নিজেদের ব্যাটিং অর্ডারে অদল বদল করতে বাধ্য হয়েছে। ওপেন করতে পারেননি তিনি। সৌদ শাকিল, বাবর আজমের সঙ্গে ওপেন করতে নামলেও মাত্র ৬ রান করতে পেরেছেন।
ফখর চার নম্বরে নেমে করেছেন ২৪। ফখরের চোটকে গুরুত্ব দিয়ে রিজওয়ান পরে বলেছেন, ‘ইয়াং-ল্যাথামের পার্টনারশিপই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু তারা দারুণভাবে সেটার জবাব দিয়েছে। সে কারণেই বড় সংগ্রহ পেয়েছে। আমরা দু’বার মোমেন্টাম হারিয়েছি। প্রথমে ডেথে তার পর ব্যাট হাতে পাওয়ার প্লেতে। ৩২০ প্লাস স্কোর থাকলে তখনই মোমেন্টাম নেওয়ার সুযোগ। ফখর জামানকে ওপেনিংয়ে পাওয়াটা আমাদের জন্য ভীষণ জরুরি ছিল। কারণ সবাই জানে পাওয়ার প্লেতে সে কীভাবে ব্যাট করে।’
চীরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হতে পাকিস্তান এখন দুবাই উড়ে যাবে। আগামী রবিবার দুই দলের ম্যাচ। তার আগে রিজওয়ান অবশ্য চাপ নিতে নারাজ, ‘ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন এই কথা ভেবে চাপ নিতে চাই না। একটা ম্যাচ চলে গেছে, পরের ম্যাচটাও আমাদের জন্য সাধারণ একটা ম্যাচ।’ ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও স্বীকার করেছেন, তারাও বড় স্কোর আশা করেননি। বিশেষ করে শ্লথ গতির শুরুর পর। শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর পাওয়ায় ঝড়ো ব্যাটিং করা গ্লেন ফিলিপসকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি। ফিলিপস শেষ দিকে ৩৯ বলে ৬১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন, ‘আমরা আসলে ২৬০-২৮০ ভাবছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত এটাই প্রমাণিত হলো যদি সেই প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যায় এবং উইকেট থাকে তাহলে করা সম্ভব।’