ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে অর্ধশত

  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ৫০ জনের। এর মধ্যে চলতি মাসেই মারা গেছে ২৯ জন। এই মৃত্যুর বড় অংশই ঢাকা মহানগর ও কক্সবাজার জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৯২ জন ও ঢাকার বাইরের ৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৫১৪ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার জন। এত দিন ধারণা ছিল, ডেঙ্গু জ্বর ঢাকা মহানগরকেন্দ্রিক। কিন্তু চলতি বছর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এ শিবিরগুলোতে নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থাকছে। পাশাপাশি মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা মারার উদ্যোগ কম। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনতারও অভাব রয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার বর্ষাকালীন মশা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা বা শূককীট পাওয়া গেছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে পাওয়া গেছে প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে। জরিপে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে দক্ষিণ সিটির কমলাপুর, মতিঝিল, নবাবপুর, বংশাল, ওয়ারী ও নারিন্দা এলাকায়। আর উত্তর সিটির সেনপাড়া পর্বতা, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ও আগারগাঁওয়ে। সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস মূল মৌসুম। চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি। সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৩ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮১৯ জন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে অর্ধশত

আপডেট সময় : ০৯:০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হলো ৫০ জনের। এর মধ্যে চলতি মাসেই মারা গেছে ২৯ জন। এই মৃত্যুর বড় অংশই ঢাকা মহানগর ও কক্সবাজার জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৯২ জন ও ঢাকার বাইরের ৩৩ জন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ১ হাজার ৫১৪ জন ডেঙ্গু রোগী। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ হাজার জন। এত দিন ধারণা ছিল, ডেঙ্গু জ্বর ঢাকা মহানগরকেন্দ্রিক। কিন্তু চলতি বছর কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। কক্সবাজারে এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মহানগরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘনবসতিপূর্ণ এ শিবিরগুলোতে নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে থাকছে। পাশাপাশি মশার লার্ভা ও উড়ন্ত মশা মারার উদ্যোগ কম। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনতারও অভাব রয়েছে।
১৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ তৎপর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার বর্ষাকালীন মশা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ১৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা বা শূককীট পাওয়া গেছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে পাওয়া গেছে প্রায় ১২ শতাংশ বাড়িতে। জরিপে মশার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে দক্ষিণ সিটির কমলাপুর, মতিঝিল, নবাবপুর, বংশাল, ওয়ারী ও নারিন্দা এলাকায়। আর উত্তর সিটির সেনপাড়া পর্বতা, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মহাখালী, বেগুনবাড়ি, তেজগাঁও শিল্প এলাকা ও আগারগাঁওয়ে। সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর—এই চার মাস মূল মৌসুম। চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়েছে সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি। সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৩ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮১৯ জন।