নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২,৬৯৪ জন রোগী। তাদের নিয়ে এ বছর মশাবাহিত এ রোগে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়াল।
গতকাল সোমাবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু আড়াইশ ছাড়িয়ে গেল। বাংলাদেশে এর আগে কেবল ২০১৯ সাল এবং ২০২২ সালে এর চেয়ে বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর ২০২২ সালে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫১ হাজার ৮৩২ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে কেবল জুলাই মাসেই ৪৩ হাজার ৮৫৪ রোগী ভর্তি হয়েছে। আর এ বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ২৫১ জনের মধ্যে ২০৪ জনেরেই মৃত্যু হয়েছে চলতি জুলাই মাসে। গত একদিনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকার বাইরের রোগী বেশি। এই সময়ে ঢাকায় ১১৬৮ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫২৬ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯ হাজার ৩৮৬ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকায় ৫ হাজার ১১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় ৪ হাজার ৩৭৫ জন। মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন, মে মাসে এক হাজার ৩৬ জন এবং জুনে ৫ হাজার ৯৫৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে দুজন এবং জুনে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। এ বছর এডিস মশা শনাক্তে চালানো জরিপে ঢাকায় মশার যে উপস্থিতি দেখা গেছে, তাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করেছেন তারা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ বছর যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে মারা গেছেন। এডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৭৯ জনের।
ৃ