নিজস্ব প্রতিবেদক : এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৮৫৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৫৫৫ জন। এছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গুতে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগরের ৩৫৫ এবং ঢাকা বিভাগে ২০১ জন। এর বাইরে ট্টগ্রাম বিভাগে ৯৮ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল বিভাগে ৫৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৭ জন এবং রংপুর বিভাগে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুই জন নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৫৩ দশমিক ৪ শতাংশ নারী। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭৯৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫০৩ জন।
মশক নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ১০ ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান: মশা নিয়ন্ত্রণে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডিএসসিসির সকল ওয়ার্ডে দৈনন্দিন নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি সংস্থার স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সমন্বয়ে ০২, ১৮, ২৪, ২৫, ৩৪, ৪৯, ৬১, ৬২, ৬৩ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে এসব চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মুখপাত্র আবু নাছের বলেন, চিরুনি অভিযানে সকালে লার্ভিসাইডিং কার্যক্রম ও বিকালে এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে শতাধিক মশককর্মী এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১২৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অংশ নেয়। এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রেরিত গত ২৪ সেপ্টেম্বর তারিখের তালিকা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল ও চারপাশে বিশেষ লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমের মাধ্যমে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে। ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গতকাল সারা বাংলাদেশে মোট শনাক্তকৃত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ৮০১ জন। তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় রোগীর সংখ্যা ১৫৩ জন দেখানো হয়। কিন্তু তালিকা অনুযায়ী সরেজমিনে যাচাই-বাচাই শেষে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকার ৫৭ জন রোগী পাওয়া যায়। অন্যান্য রোগীরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন এলাকার বাইরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত এলাকায় আত্মীয়-স্বজন কিংবা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করছে।