ঢাকা ০১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের লংমার্চ

  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করছে ইনকিলাব মঞ্চ একটি সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা, কুমিল্লার টাউন হলে জনসভা করে বিবির বাজারে গিয়ে শেষ হবে এ কর্মসূচি। লংমার্চে যোগ দিতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শাহবাগে জড়ো হন। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ট্রাকে চড়ে লংমার্চ শুরু করেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এই লং মার্চ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হবে। বিবির বাজারে গিয়ে আমরা এর সমাপ্তি টানব। “ভারতের সাথে যে অসংখ্য্ নদী রয়েছে। সেখানে তারা বাঁধ নির্মাণের ফলে আমরা প্রতিবছর চরম প্রাকৃতিক দুযোর্গের মধ্যে পড়ছি। এর অবসান হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক নদীতে এভাবে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি কাজ করছে ভারত। এটা তাদেরকে বন্ধ করতে হবে।”
সম্প্রতি ত্রিপুরা থেকে আসা ঢলে দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। এ অঞ্চলের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি হয় বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে। তবে ভারত সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বাংলাদেশের বন্যা ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি।
ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া। জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-এ অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা এবং এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা। আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া। ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিবণ্টনে সব পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা। ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ গঠিত।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সোমবার

ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের লংমার্চ

আপডেট সময় : ০৯:০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডুম্বুর বাঁধ অভিমুখে লংমার্চ করছে ইনকিলাব মঞ্চ একটি সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর শাহবাগ থেকে এই লংমার্চ শুরু হয়। ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা, কুমিল্লার টাউন হলে জনসভা করে বিবির বাজারে গিয়ে শেষ হবে এ কর্মসূচি। লংমার্চে যোগ দিতে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ শাহবাগে জড়ো হন। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ট্রাকে চড়ে লংমার্চ শুরু করেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মীরা। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের এই লং মার্চ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হবে। বিবির বাজারে গিয়ে আমরা এর সমাপ্তি টানব। “ভারতের সাথে যে অসংখ্য্ নদী রয়েছে। সেখানে তারা বাঁধ নির্মাণের ফলে আমরা প্রতিবছর চরম প্রাকৃতিক দুযোর্গের মধ্যে পড়ছি। এর অবসান হওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক নদীতে এভাবে বাঁধ দিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি কাজ করছে ভারত। এটা তাদেরকে বন্ধ করতে হবে।”
সম্প্রতি ত্রিপুরা থেকে আসা ঢলে দেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। এ অঞ্চলের ১১ জেলায় বন্যা ছড়িয়ে পড়লে অন্তত ৭১ জনের মৃত্যু হয়। আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি হয় বলে সে সময় অভিযোগ ওঠে। তবে ভারত সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বাংলাদেশের বন্যা ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেওয়ার কারণে হয়নি।
ইনকিলাব মঞ্চের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া। জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-এ অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা এবং এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা। আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া। ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিবণ্টনে সব পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা। ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে ইনকিলাব মঞ্চ গঠিত।