পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ফসলি জমির প্রধান কালভার্টের মুখ বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করায় পানিতে তলিয়ে গেছে একটি গ্রামের ৬০০ বিঘা ফসলি জমি। এতে শঙ্কায় পড়েছে ২০০ কৃষক পরিবার। অন্যদিকে কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় একমুখী পানির চাপে প্রায় হাফ কিলোমিটার দূরে থাকা একটি সেতুসহ দুইটি পুরাতন কালভার্ট প্রায় ভেঙে যাওয়ার অবস্থা। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ফসলি জমির পাশাপাশি পানির চাপে ভেঙে পড়বে ডাহুক নদীর সুরক্ষা বাঁধের রাস্তা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে স্থানীয়ভাবে কোনো সমাধান না পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছে ওই গ্রামের ২০০ কৃষক পরিবার। ঘটনাটি উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কালদাসপাড়া গ্রামের। স্থানীয়দের অভিযোগ, কালদাসপাড়া গ্রাম রাস্তা সংলগ্ন কালদাসপাড়া ডাঙ্গী বস্তি পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ৪০-৫০ বছর আগে রাস্তার পশ্চিমাংশে সরকারিভাবে একটি সেতু/কালভার্ট করা হয়। কালভার্টটি প্রায় ৫০০-৬০০ বিঘা জমির ফসল ফলানোর সুবিধার্থে নির্মাণ করা হয়। এতে পানি সঞ্চালন ও নিষ্কাশনের সু-ব্যবস্থাসহ ফসল ফলানো সম্ভব ছিল। এ অবস্থায় হঠাৎ করে আবু বক্করের ছেলে অভিযুক্ত আমির হাজমা কালভার্টের পশ্চিমাংশে ইটের হাফ দালান উপরে টিনসেড দিয়ে মুরগির খামারের জন্য ঘর তৈরি করে কালভার্টটির মুখ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমির হাজমা উল্টাপাল্টা কথা বলা শুরু করে। একই সঙ্গে বিষয়টি সমাধানে একাধিক বার বলা হলে তিনি স্থানীয়দের বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। কোনো সমাধান না পেয়ে স্থানীয় ওই পরিবারের লোকেরা গত ১১ আগস্ট গণস্বাক্ষরিত এক অভিযোগ জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করে। স্থানীয় নুর মোহাম্মদ, মকবুল হোসেন বলেন, আমির হাজমা কালভার্টের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের এলাকাবাসীর প্রায় ৬০০ বিঘা জমিসহ ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। সকলেই আমরা কালভার্টটির মুখ খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন আমির হামজা। আমরা স্থানীয় হিসেবে জমিসহ ফসল রক্ষায় প্রশাসনের মাধ্যমে কালভার্টটির মুখ খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বিষয়টি জানার পর সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।