ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

ডিসেম্বরে ইউনিক আইডি পেতে পারে স্কুলশিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : ০১:২৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ইউনিক আইডি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর আগেই দফায় দফায় ইউনিক আইডির তথ্য সংগ্রহের সময় বাড়ানো হয়। তথ্য গরমিল হওয়ায় এ সময় বৃদ্ধি করা হয় বলে জানা গেছে। তবে নতুন করে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। এ মেয়াদে এ বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইউনিক আইডি সরবরাহ করা হতে পারে বলে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে জানা গেছে। প্রকল্পটির উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় এ আইডিতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফলাফল, রক্তের গ্রুপ, বই সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি-উপবৃত্তির অর্থ নেওয়া অর্থাৎ যত ধরনের সেবা আছে তার সবকিছুই পাওয়ার কথা রয়েছে। আইইআইএমএস (এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, ডিজঅ্যাবিলিটি, রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশকিছু তথ্য যুক্ত থাকবে। বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্তের তথ্যসহ সর্বমোট ১৫ ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেসময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ব্যানবেইস)।
ইউনিক আইডি সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘আইইআইএমএস’-এর উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি জানান, মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তার মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ২৫৮ জনের। ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থীর তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ইউনিক আইডির জন্য ব্যবহার উপযোগী তথ্য রয়েছে ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থীর। নানা কারণে তথ্যে গরমিল রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬০ জনের। তিনি বলেন, প্রথমদিকে প্রকল্পে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সব সমস্যা কমে এসেছে। আমরা আশা করছি এ বছরের ডিসেম্বরেই শিক্ষার্থীদের হাতে ইউআইডি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিসেম্বরে ইউনিক আইডি পেতে পারে স্কুলশিক্ষার্থীরা

আপডেট সময় : ০১:২৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া ইউনিক আইডি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। এর আগেই দফায় দফায় ইউনিক আইডির তথ্য সংগ্রহের সময় বাড়ানো হয়। তথ্য গরমিল হওয়ায় এ সময় বৃদ্ধি করা হয় বলে জানা গেছে। তবে নতুন করে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়। এ মেয়াদে এ বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ইউনিক আইডি সরবরাহ করা হতে পারে বলে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) থেকে জানা গেছে। প্রকল্পটির উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় এ আইডিতে শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলের ফি, পরীক্ষার ফলাফল, রক্তের গ্রুপ, বই সংগ্রহ, রেজিস্ট্রেশন, বৃত্তি-উপবৃত্তির অর্থ নেওয়া অর্থাৎ যত ধরনের সেবা আছে তার সবকিছুই পাওয়ার কথা রয়েছে। আইইআইএমএস (এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, ডিজঅ্যাবিলিটি, রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশকিছু তথ্য যুক্ত থাকবে। বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্তের তথ্যসহ সর্বমোট ১৫ ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে অভিভাবকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেসময় প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ৩৫৩ কোটি ২১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (ব্যানবেইস)।
ইউনিক আইডি সংক্রান্ত কাজের অগ্রগতি ও প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ‘আইইআইএমএস’-এর উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. নাসির উদ্দিন গনি জানান, মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। তার মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৯৭ লাখ ১৬ হাজার ২৫৮ জনের। ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৯ জন শিক্ষার্থীর তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। এদের মধ্যে ইউনিক আইডির জন্য ব্যবহার উপযোগী তথ্য রয়েছে ৬৯ লাখ ২৬ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থীর। নানা কারণে তথ্যে গরমিল রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৯৩ হাজার ৫৬০ জনের। তিনি বলেন, প্রথমদিকে প্রকল্পে অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সব সমস্যা কমে এসেছে। আমরা আশা করছি এ বছরের ডিসেম্বরেই শিক্ষার্থীদের হাতে ইউআইডি তুলে দেওয়া সম্ভব হবে।