ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ডিসির দরজা যেন সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে: হাই কোর্ট

  • আপডেট সময় : ০২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষ সমস্যা নিয়ে যাতে সহজে জেলা প্রশাসকের কাছে যেতে পারেন, সেজন্য ডিসি অফিসের ‘দরজা-জানালা’ খোলা রাখতে বলল হাই কোর্ট। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক অভিযোগে কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপিসহ চার কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চে হাজির হলে আদালত এ নির্দেশনা দেয়।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও বাকিদের ২৪ অক্টোবর ফের হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগের বিষয়ে ওইদিন পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ডিসি সাইদুল ইসলামকে বলেন, “আপনাকে আদালতে আসতে হবে না। তবে আপনাকে সতর্ক করছি, সাধারণ জনগণের জন্য আপনাদের দরজা খোলা রাখবেন। দরজা জানালায় কোনো পর্দা থাকবে না।
“মানুষ যাতে আপনাকে দেখতে পারে। সব শ্রেণির মানুষ যাতে আপনাকে দেখতে পারে- আপনি বসে কাজ করছেন। লুঙ্গি পরেও যেন একজন মানুষ আপনার কাছে যেতে পারে।”
বিচারক বলেন, “আপনারা লাক্সারিয়াস জীবনযাপন করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আপনাদের তেমন যোগাযোগ থাকে না। ডিসি হল সরকারের হার্ট। আপনাকে জনগণের জন্য সেভাবে কাজ করতে হবে।” আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনকারী আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, “এক সম্পদের নিলামের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাই কোর্টের রিট দায়ের করেছিলাম, সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
“হাই কোর্টের এ আদেশের পরও নিলামক্রেতা লোকজন নিয়ে গিয়ে নিলামকৃত সম্পত্তি দখল করেন।” আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা হয় জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, “এরপর আদালত ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কুষ্টিয়ার ডিসি এসপিসহ সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির হন।”
জেলা প্রশাসক ছাড়া আদালত অবমাননায় অন্য বিবাদীরা হলেন- কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন, সদর থানার ওসি সাব্বিরুল আলম, নিলাম ক্রেতা রশিদ অ্যগ্রো ফুড লিমিটেডের মালিক আব্দুর রশিদ। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওসি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আদালতে ডিসি ও এসপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান ও আইনজীবী ইউসুফ খান, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। অপরদিকে অভিযোগকারী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ১৫ কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করার অভিযোগে গত ১১ অগাস্ট কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপিসহ ওই পাঁচ জনকে তলব করে হাই কোর্ট। সেই অনুযায়ী তারা রোববার আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। এরপর একই বিষয়ে সোমবারও শুনানি নেয় আদালত।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দিতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ডিসির দরজা যেন সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকে: হাই কোর্ট

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ মানুষ সমস্যা নিয়ে যাতে সহজে জেলা প্রশাসকের কাছে যেতে পারেন, সেজন্য ডিসি অফিসের ‘দরজা-জানালা’ খোলা রাখতে বলল হাই কোর্ট। আদালত অবমাননা সংক্রান্ত এক অভিযোগে কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপিসহ চার কর্মকর্তা গতকাল সোমবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চে হাজির হলে আদালত এ নির্দেশনা দেয়।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিলেও বাকিদের ২৪ অক্টোবর ফের হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযোগের বিষয়ে ওইদিন পরবর্তী শুনানি হবে। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ডিসি সাইদুল ইসলামকে বলেন, “আপনাকে আদালতে আসতে হবে না। তবে আপনাকে সতর্ক করছি, সাধারণ জনগণের জন্য আপনাদের দরজা খোলা রাখবেন। দরজা জানালায় কোনো পর্দা থাকবে না।
“মানুষ যাতে আপনাকে দেখতে পারে। সব শ্রেণির মানুষ যাতে আপনাকে দেখতে পারে- আপনি বসে কাজ করছেন। লুঙ্গি পরেও যেন একজন মানুষ আপনার কাছে যেতে পারে।”
বিচারক বলেন, “আপনারা লাক্সারিয়াস জীবনযাপন করেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আপনাদের তেমন যোগাযোগ থাকে না। ডিসি হল সরকারের হার্ট। আপনাকে জনগণের জন্য সেভাবে কাজ করতে হবে।” আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনকারী আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী বলেন, “এক সম্পদের নিলামের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাই কোর্টের রিট দায়ের করেছিলাম, সেই রিটের শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত করে।
“হাই কোর্টের এ আদেশের পরও নিলামক্রেতা লোকজন নিয়ে গিয়ে নিলামকৃত সম্পত্তি দখল করেন।” আদালতের আদেশ অমান্য করার বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা হয় জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, “এরপর আদালত ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে হাজির হতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কুষ্টিয়ার ডিসি এসপিসহ সংশ্লিষ্টরা আদালতে হাজির হন।”
জেলা প্রশাসক ছাড়া আদালত অবমাননায় অন্য বিবাদীরা হলেন- কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার খাইরুল আলম, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসাইন, সদর থানার ওসি সাব্বিরুল আলম, নিলাম ক্রেতা রশিদ অ্যগ্রো ফুড লিমিটেডের মালিক আব্দুর রশিদ। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ওসি আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আদালতে ডিসি ও এসপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুন্সী মনিরুজ্জামান ও আইনজীবী ইউসুফ খান, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী। অপরদিকে অভিযোগকারী ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন রাগীব রউফ চৌধুরী। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকার পরও ১২৩ কোটি টাকার সম্পত্তি ১৫ কোটি টাকায় নিলামে বিক্রি করার অভিযোগে গত ১১ অগাস্ট কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপিসহ ওই পাঁচ জনকে তলব করে হাই কোর্ট। সেই অনুযায়ী তারা রোববার আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। এরপর একই বিষয়ে সোমবারও শুনানি নেয় আদালত।