ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫

ডিমের বাজারও সিন্ডিকেটের কালো থাবায় ক্ষত-বিক্ষত: বাংলাদেশ ন্যাপ

  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার এবার গরিবের আমিষ খ্যাত ডিমের বাজারও নিয়ন্ত্রণে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে ডিমের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হলেও কৃত্তিম সংকট তৈরি করে সরকারি দলের পৃষ্টপোষকতায় ডিম সিন্ডিকেট ডিমের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রান্তক জনগণের পকেট কেটে লুটপাট করছে। ডিমের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডিমের বাজারে বার বার অস্থিরতা সৃষ্টির ফলে কেবল নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারি দলের লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে ডিমের বাজারে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের নেতারাই। তারা ভোক্তার পকেট কাটতে আলুর হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত করছে ডিম। রাতারাতি সরবরাহ কমিয়ে অস্থির করা হয়েছে বাজার। শক্তিশালী চক্রটি প্রতিদিন আড়ত পর্যায়ে এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাড়তি দাম নির্ধারণ করছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরে যাক, তাতে তাদের কী? তারা শুধু আজিজ-বেনজির-মতিউর সৃষ্টিতে ব্যস্ত।
তারা আরও বলেন, ডিমের বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। গত বছরও মূল্যবৃদ্ধি করলে তদারকি সংস্থা তাদের ডেকেছিল, কিন্তু অপরাধী কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, করতেও পারে নাই। তাই এবারও তারাই ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। সিন্ডিকেটের মধ্যে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। তারা চাইলে মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়। আবার তারা তাদের ইচ্ছাতেই মূল্য কমিয়ে দেয়। প্রান্তিক খামারিরাও এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। নেতৃদ্বয় বলেন, ডিমের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের প্রশ্ন উঠলেও সেই সিন্ডিকেট ভাঙার কার্যকর উদ্যোগ নেই সরকারের। ফলে মাঝে মধ্যেই কথিত সিন্ডিকেটের থাবায় সাধারণ মানুষের প্রোটিনে টান পড়ছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে ডিম। সরকার দ্রুত ডিমসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হবে। মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচতে না পারলে সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন জনগণের হৃদয় স্পর্শ করতে পারবে না।

 

 

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ডিমের বাজারও সিন্ডিকেটের কালো থাবায় ক্ষত-বিক্ষত: বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০১:৪১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ সরকার এবার গরিবের আমিষ খ্যাত ডিমের বাজারও নিয়ন্ত্রণে পরিপূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, সরকারের ব্যর্থতার কারণে ডিমের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কালো থাবায় ডিমের মূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, প্রতিদিনের চাহিদার চেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হলেও কৃত্তিম সংকট তৈরি করে সরকারি দলের পৃষ্টপোষকতায় ডিম সিন্ডিকেট ডিমের মূল্যবৃদ্ধি করে প্রান্তক জনগণের পকেট কেটে লুটপাট করছে। ডিমের মূল্য অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডিমের বাজারে বার বার অস্থিরতা সৃষ্টির ফলে কেবল নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। নেতৃদ্বয় বলেন, সরকারি দলের লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে ডিমের বাজারে নৈরাজ্য চালাচ্ছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের নেতারাই। তারা ভোক্তার পকেট কাটতে আলুর হিমাগারে অবৈধভাবে মজুত করছে ডিম। রাতারাতি সরবরাহ কমিয়ে অস্থির করা হয়েছে বাজার। শক্তিশালী চক্রটি প্রতিদিন আড়ত পর্যায়ে এসএমএসের মাধ্যমে ডিমের বাড়তি দাম নির্ধারণ করছে। অথচ সরকার তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরে যাক, তাতে তাদের কী? তারা শুধু আজিজ-বেনজির-মতিউর সৃষ্টিতে ব্যস্ত।
তারা আরও বলেন, ডিমের বাজারে শক্তিশালী সিন্ডিকেট কাজ করছে এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। গত বছরও মূল্যবৃদ্ধি করলে তদারকি সংস্থা তাদের ডেকেছিল, কিন্তু অপরাধী কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, করতেও পারে নাই। তাই এবারও তারাই ডিমের বাজারে অস্থিরতা তৈরি করেছে। সিন্ডিকেটের মধ্যে ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ও করপোরেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠান জড়িত। তারা চাইলে মূল্যবৃদ্ধি করে দেয়। আবার তারা তাদের ইচ্ছাতেই মূল্য কমিয়ে দেয়। প্রান্তিক খামারিরাও এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়। নেতৃদ্বয় বলেন, ডিমের বাজার নিয়ে সিন্ডিকেটের প্রশ্ন উঠলেও সেই সিন্ডিকেট ভাঙার কার্যকর উদ্যোগ নেই সরকারের। ফলে মাঝে মধ্যেই কথিত সিন্ডিকেটের থাবায় সাধারণ মানুষের প্রোটিনে টান পড়ছে। ক্রয় ক্ষমতার বাইরে যাচ্ছে ডিম। সরকার দ্রুত ডিমসহ বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হবে। মানুষ খেয়ে পড়ে বাঁচতে না পারলে সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন জনগণের হৃদয় স্পর্শ করতে পারবে না।