ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় নতুন প্রযুক্তি

  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভংশ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির স্মৃতি,বুদ্ধি, ও ব্যক্তিত্ব ক্রমান্বয়ে লোপ পায়। সাধারণত প্রবীণদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি দেখা যায় এবং হঠাৎ করে অনেক কিছুই মনে করতে পারে না। ফলে তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। ডিমেনশিয়ার কারণে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, এইডস,থাইরয়েডের সমস্যা,দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান বা মদ্যপান,আলঝেইমার,শরীরে ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি,ভিটামিন বি এর অভাব,কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়া,মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের নানা রোগ হতে পারে। তবে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, তা এবার আগে থেকেই টের পাওয়া যাবে। এমনই প্রযুক্তি নিয়ে এলেন কানাডার চিকিৎকেরা। এখনও পর্যন্ত ডিমেনশিয়ার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু গোড়ার দিকে এই সমস্যা ধরা পড়লে, চিকিৎসা করে তাকে অনেকটা ঠেকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যয়াম, খাবার গ্রহণে সচেতন হলে এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে ডিমেনশিয়াকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা যায়।
এই সমস্যা এড়াতে ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে নতুন এই প্রযুক্তি। ডিমেনশিয়া ক্যালকুলেটর। এমনি বলা হচ্ছে একে। কানাডার ওটাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওটাওয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মিলে এই ‘ডিমেনশিয়া ক্যালকুলেটর’ তৈরি করেছেন। এটি আসলে একটি ওয়েবসাইট। যেখানে বয়স, বাসস্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস, কোনও নেশার অভ্যাস আছে কি না, স্বাস্থ্যের হাল কেমন, পড়াশোনা কত দূর পর্যন্ত ইত্যাদি তথ্য দিয়ে দিলে ওয়েবসাইট নির্ণয় করে দেবে ওই ব্যক্তির ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা। এর ফলে চিকিৎসাও শুরু করা যাবে অনেক দ্রুত এবং সমস্যাটি গোড়াতেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে বলে আশা চিকিৎসকদের। যদিও সাধারণ মানুষের জন্য এখনই এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে না। পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে ওটাওয়া হাসপাতালের রোগীদের ক্ষেত্রে। আগামী সময়ে সাধারণ মানুষ এর ব্যবহার করতে পারবেন এবং তার সুফল পাবেন বলে আশা চিকিৎসকদের। ২০৫০ সাল নাগাদ ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওষুধ ছাড়াও ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় কিছু বিষয় অপরিহার্য যেমন- খাদ্যে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন প্রদান, বিহেভিয়ারাল থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, নিয়মিত ব্যায়াম, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ইত্যাদি। বংশগত মস্তিষ্কের ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে স্টেম সেল থেরাপি কার্যকর বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চিকিৎসা সফল হলে চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় নতুন প্রযুক্তি

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভংশ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির স্মৃতি,বুদ্ধি, ও ব্যক্তিত্ব ক্রমান্বয়ে লোপ পায়। সাধারণত প্রবীণদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি দেখা যায় এবং হঠাৎ করে অনেক কিছুই মনে করতে পারে না। ফলে তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। ডিমেনশিয়ার কারণে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, এইডস,থাইরয়েডের সমস্যা,দীর্ঘমেয়াদি ধূমপান বা মদ্যপান,আলঝেইমার,শরীরে ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি,ভিটামিন বি এর অভাব,কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়া,মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল কমে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের নানা রোগ হতে পারে। তবে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না, তা এবার আগে থেকেই টের পাওয়া যাবে। এমনই প্রযুক্তি নিয়ে এলেন কানাডার চিকিৎকেরা। এখনও পর্যন্ত ডিমেনশিয়ার ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু গোড়ার দিকে এই সমস্যা ধরা পড়লে, চিকিৎসা করে তাকে অনেকটা ঠেকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক ব্যয়াম, খাবার গ্রহণে সচেতন হলে এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনলে ডিমেনশিয়াকে কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করা যায়।
এই সমস্যা এড়াতে ডিমেনশিয়ার চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে নতুন এই প্রযুক্তি। ডিমেনশিয়া ক্যালকুলেটর। এমনি বলা হচ্ছে একে। কানাডার ওটাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওটাওয়া হাসপাতালের চিকিৎসকেরা মিলে এই ‘ডিমেনশিয়া ক্যালকুলেটর’ তৈরি করেছেন। এটি আসলে একটি ওয়েবসাইট। যেখানে বয়স, বাসস্থানের ভৌগোলিক পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস, কোনও নেশার অভ্যাস আছে কি না, স্বাস্থ্যের হাল কেমন, পড়াশোনা কত দূর পর্যন্ত ইত্যাদি তথ্য দিয়ে দিলে ওয়েবসাইট নির্ণয় করে দেবে ওই ব্যক্তির ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা। এর ফলে চিকিৎসাও শুরু করা যাবে অনেক দ্রুত এবং সমস্যাটি গোড়াতেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে বলে আশা চিকিৎসকদের। যদিও সাধারণ মানুষের জন্য এখনই এই প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে না। পরীক্ষামূলক ভাবে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে ওটাওয়া হাসপাতালের রোগীদের ক্ষেত্রে। আগামী সময়ে সাধারণ মানুষ এর ব্যবহার করতে পারবেন এবং তার সুফল পাবেন বলে আশা চিকিৎসকদের। ২০৫০ সাল নাগাদ ডিমেনশিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওষুধ ছাড়াও ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় কিছু বিষয় অপরিহার্য যেমন- খাদ্যে পর্যাপ্ত পুষ্টি ও ভিটামিন প্রদান, বিহেভিয়ারাল থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, নিয়মিত ব্যায়াম, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা ইত্যাদি। বংশগত মস্তিষ্কের ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় বর্তমানে স্টেম সেল থেরাপি কার্যকর বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চিকিৎসা সফল হলে চিকিৎসাবিজ্ঞান ডিমেনশিয়া রোগের চিকিৎসায় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।