সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হেফাজতে বাবুল সরদার (৫৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি ডিবি পুলিশের। গতকাল রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বাবুল সরদার দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জুড়োন সরদারের ছেলে। বাবুল সরদারের মেয়ে দেবহাটা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ফলপ্রার্থী সুলতানা মুন্নী বলেন, শনিবার সকাল ১০টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে চার-পাঁচজন লোক আমাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা একজন নারী সোর্সকে ঘরের মধ্যে পাঠান। ওই নারী কয়েক বোতল ফেনসিডিল ঘরের মধ্যে রেখে আসেন। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা আমার বাবাকে নিয়ে ঘরের ভেতর যান। সেখানে তারা ওই নারীর রেখে আসা ৪৫ বোতল ফেনসিডিল পান। ঘর তল্লাশি করে ৩৫ হাজার টাকাও নিয়ে নেন তারা। সুলতানা মুন্নী আরও বলেন, তারা কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি মর্মে বাবার কাছ থেকে ভিডিও করে নেন। পরে তারা আমার বাবাকে হাতকড়া পরিয়ে সাতক্ষীরা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে বাবার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এরপর বাবার মৃত্যু হলে রোববার সকালে আমার মাকে যেতে বলা হয়। খবর পেয়ে মা শাহানারা বেগম ডিবি কার্যালয়ে যান। এ সময় আমাদের জানানো হয় আমার বাবার কোমরে থাকা সুতালী (ঘুনসি) দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কীভাবে একজন সুতালী (ঘুনসি) দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে আমার জানা নেই। সেখানেও মায়ের কাছ থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী বলেন, শনিবার ৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী বাবলু সরদারকে বসন্তপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর তাকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল। ভোরে ডিবি অফিসের গারদের ভেতর গ্রিলের সঙ্গে কোমরে থাকা সুতালী দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।