ঢাকা ১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫

ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল জঞ্জালে সৃষ্টি হয় মানসিক চাপ

  • আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্যও পরিচর্যা ডেস্ক : নানান স্ক্রিনশট, না খোলা ক্ষুদে বার্তা বা ইমেইল এবং বিভিন্ন নোটিফিকেইশন’য়ে প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে ফোনের জায়গা। অথচ পরিষ্কার করার নাম নেই। ডিজিটাল যুগে এই সমস্যা যাদের রয়েছে তারা মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন- এমন মন্তব্য করছেন ওহিও’তে অবস্থিত ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিষ্ঠানের মনোবিজ্ঞানী ডা. সুসান অ্যালবার্স সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, জমিয়ে রাখা ইমেইল, ছবি বা ট্যাব- এই ধরনের ডিজিটাল বিষয়গুলো যদি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে তবে বুঝতে হবে এসব আপনকে বিপর্যস্ত করছে। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের এই রকম সমস্যায় পড়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সময় এগিয়েছে। ডিজিটাল যন্ত্রের এই ডিজিটাল জঞ্জাল কোনো না কোনো সময় সবাইকেই ভুগতে হয়। আর কোনো কোনো সময় সাধারণ স্বভাবও মানসিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আমাদের গবেষণায় সেটাই বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ডিজিটাল জঞ্জাল বনাম ডিজিটাল সঞ্চয়: যদি দেখতে পান যেটা প্রয়োজনীয় সেটা অনেক ফাইল বা ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বা মনোযোগ হারাচ্ছে মানসিক শক্তি খরচ হচ্ছে, তাহলে হয়ত আপনি রয়েছেন অধিক পরিমাণে ডিজিটাল জঞ্জালের মধ্যে- মন্তব্য করেন অ্যালবার্স। তিনি আরও বলেন, বাস্তব জীবনের জটিলতার মতোই মানসিক চাপ তৈরি করে ডিজিটাল জঞ্জাল। আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় সরল ও স্বচ্ছ থাকতে অভ্যস্ত। তাই অনেক ‘ট্যাব’ খুলে রাখলে এরকম অনুভূত হতেই পারে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত নোটিফিকেশ আসলে বা একের পর এক ‘স্ট্রিম’ দেখতে থাকলে দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যায় আর মনোযোগের মাত্রা কমে। স্মরণীয় ছবি বা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় লেখাপড়ার বিষয় কিংবা পুরাতন চাকরির প্রয়োজনীয় কাগজ- এসব জমিয়ে রাখা স্বাভাবিক। “তবে কোনো কোনো সময় এই ধরনের বিষয়গুলো প্রচুর পরিমাণে জমিয়ে রাখলে, সেটাকে বলা হয় ডিজিটাল সঞ্চয়”- একই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র ডেভিড গিফেন স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মনোরোগ ও জীবস্বভাব বিষয়ক অধ্যাপক ডা. ইমানুয়েল মেইডেনবার্গ। “পরে খুঁজে পাব কি পাব না, কোথায় রাখবো? এই ধরনের ভবিষ্যতের ভয় থেকে জমানোর কাজ করে মানুষ। আর ডিজিটাল সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়েই ওঠে দুশ্চিন্তা থেকে”- বলেন তিনি। অগ্রাধিকার বা যেটা প্রয়োজন সেটাতে গুরুত্ব না দিয়ে বরং ডিজিটাল তথ্য জমানোর চাহিদা থেকে জন্ম নেয় ডিজিটাল সঞ্চয়ের প্রবণতা।
বস্টন ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ওসিডি ফাউন্ডেশন’য়ের মনোবিজ্ঞানী ও ‘ক্লিনিকাল অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাফেয়ার্স’য়ের পরিচালক ডা. সঞ্জয় সাক্সেনা বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা তিন থেকে পাঁচ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে। ব্যক্তির ওপর ডিজিটাল জঞ্জাল জমানোর বিষয়টা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রধান প্রভাব হল- প্রতিদিনের জীবনযাপনে এটা চাপ তৈরি করবে- বলেন ডা. সাক্সেনা। তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে, ডিজিটাল সঞ্চয় বা জঞ্জালের মানসিক চাপে কেউ ভুগছে কি-না?
ডা. সাক্সেনার উত্তর, যদি জঞ্জাল প্রচুর জায়গা দখল করে রাখে আর সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়টা খুঁজে না পান বা জঞ্জালের স্তুপে খুঁজতে গিয়ে দরকারী কাজ বা সামাজিক জীবন বাধা প্রাপ্ত হয়- তবে ধরে নিতে হবে আপনি অতিরিক্ত ‘ডিজিটাল ম্যাটেরিয়াল’ জমিয়ে রেখেছেন।
ডিজিটাল জঞ্জাল কমানোর পন্থা: মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে জাদুর কাঠির মতো কাজ করে জঞ্জাল সাফ করা- বলেন অ্যালবার্স। যারা এই ডিজিটাল ময়লা দূর করতে চান তবে সময় পান না, তবে তারা প্রতি সকালে মিনিট জঞ্জাল কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজন নেই এমন ইমেইল বা নোটিফিকেশন ‘ডিলিট’ করা দিয়ে শুরু করলে সারাদিনে আরও বেশি ফলপ্রসু কাজ করার প্রেরণা যোগানো যায়-এমনই পরামর্শ দিয়েছেন এই মনোচিকিৎসক।

আরও কিছু পদ্ধতি জানান তিনি। প্রয়োজন নয় এরকমন ‘নোটিফিকেশন’ বন্ধ করা এবং যে কোনো বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক ইমেইল বা পেইজ ‘আনসাবস্ক্রাইব’ করা। এগুলো হল ‘মানসিক মশা’ সারাক্ষণ ভনভন করতে থাকে। এগুলোর পরিমাণ কমালে অন্যান্য কাজে মনযোগও বাড়বে। সীমা নির্ধারণ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইমেইল’য়ের ‘নোটিফিকেশন’ বন্ধ রাখা যায় ‘সাইলেন্ট মোড’ বা ‘ডু নট ডিসটার্ব’ দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রয়োজনী পেইজ বা মানুষকে ‘আনফলো’ দিয়েও নোটিফিকেশনের মাত্রা কমানো যায়। যা ডিজিটাল জঞ্জাল কমাতে ভূমিকা রাখে। ফলে মানসিক শান্তি নিয়ে ‘স্ক্রোলিং’ও করা যায় যখন প্রয়োজন হয়। তৈরি করুন ‘ডিজিটাল ডিটক্স ডে’ বা ডিজিটাল বিষমুক্ত দিবস। অথবা অন্তত দিনের কিছু সময় ডিজিটাল বিশ্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ধারাবাহিক নোটিফিকেশনের হাত থেকে বাঁচা যাবে, জঞ্জালের পরিমাণ কমবে। ফলে বিচলিত হতে হবে কম। এছাড়া নিজস্ব পদ্ধতি খুঁজে বের করে প্রতিজ্ঞা করতে হবে দৈনিক অন্তত কিছু পরিমাণ ডিজিটাল জঞ্জাল পরিষ্কার করবো আর কিছুটা সময় হলেও ডিজিটাল জগৎ থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। আর অপ্রয়োনীয় কিছু জমাবো না।

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল জঞ্জালে সৃষ্টি হয় মানসিক চাপ

আপডেট সময় : ০৩:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যও পরিচর্যা ডেস্ক : নানান স্ক্রিনশট, না খোলা ক্ষুদে বার্তা বা ইমেইল এবং বিভিন্ন নোটিফিকেইশন’য়ে প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে ফোনের জায়গা। অথচ পরিষ্কার করার নাম নেই। ডিজিটাল যুগে এই সমস্যা যাদের রয়েছে তারা মানসিক ব্যাধিতে ভুগছেন- এমন মন্তব্য করছেন ওহিও’তে অবস্থিত ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’য়ের বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিষ্ঠানের মনোবিজ্ঞানী ডা. সুসান অ্যালবার্স সিএনএন ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, জমিয়ে রাখা ইমেইল, ছবি বা ট্যাব- এই ধরনের ডিজিটাল বিষয়গুলো যদি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা তৈরি করে তবে বুঝতে হবে এসব আপনকে বিপর্যস্ত করছে। তিনি বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষদের এই রকম সমস্যায় পড়ার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সময় এগিয়েছে। ডিজিটাল যন্ত্রের এই ডিজিটাল জঞ্জাল কোনো না কোনো সময় সবাইকেই ভুগতে হয়। আর কোনো কোনো সময় সাধারণ স্বভাবও মানসিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আমাদের গবেষণায় সেটাই বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
ডিজিটাল জঞ্জাল বনাম ডিজিটাল সঞ্চয়: যদি দেখতে পান যেটা প্রয়োজনীয় সেটা অনেক ফাইল বা ছবির মধ্যে থেকে খুঁজে পাচ্ছেন না বা মনোযোগ হারাচ্ছে মানসিক শক্তি খরচ হচ্ছে, তাহলে হয়ত আপনি রয়েছেন অধিক পরিমাণে ডিজিটাল জঞ্জালের মধ্যে- মন্তব্য করেন অ্যালবার্স। তিনি আরও বলেন, বাস্তব জীবনের জটিলতার মতোই মানসিক চাপ তৈরি করে ডিজিটাল জঞ্জাল। আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় সরল ও স্বচ্ছ থাকতে অভ্যস্ত। তাই অনেক ‘ট্যাব’ খুলে রাখলে এরকম অনুভূত হতেই পারে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত নোটিফিকেশ আসলে বা একের পর এক ‘স্ট্রিম’ দেখতে থাকলে দৃষ্টি অন্যদিকে সরে যায় আর মনোযোগের মাত্রা কমে। স্মরণীয় ছবি বা শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় লেখাপড়ার বিষয় কিংবা পুরাতন চাকরির প্রয়োজনীয় কাগজ- এসব জমিয়ে রাখা স্বাভাবিক। “তবে কোনো কোনো সময় এই ধরনের বিষয়গুলো প্রচুর পরিমাণে জমিয়ে রাখলে, সেটাকে বলা হয় ডিজিটাল সঞ্চয়”- একই প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া’র ডেভিড গিফেন স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের মনোরোগ ও জীবস্বভাব বিষয়ক অধ্যাপক ডা. ইমানুয়েল মেইডেনবার্গ। “পরে খুঁজে পাব কি পাব না, কোথায় রাখবো? এই ধরনের ভবিষ্যতের ভয় থেকে জমানোর কাজ করে মানুষ। আর ডিজিটাল সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়েই ওঠে দুশ্চিন্তা থেকে”- বলেন তিনি। অগ্রাধিকার বা যেটা প্রয়োজন সেটাতে গুরুত্ব না দিয়ে বরং ডিজিটাল তথ্য জমানোর চাহিদা থেকে জন্ম নেয় ডিজিটাল সঞ্চয়ের প্রবণতা।
বস্টন ভিত্তিক ‘ইন্টারন্যাশনাল ওসিডি ফাউন্ডেশন’য়ের মনোবিজ্ঞানী ও ‘ক্লিনিকাল অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাফেয়ার্স’য়ের পরিচালক ডা. সঞ্জয় সাক্সেনা বলেন, বিশ্বের জনসংখ্যা তিন থেকে পাঁচ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে। ব্যক্তির ওপর ডিজিটাল জঞ্জাল জমানোর বিষয়টা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে প্রধান প্রভাব হল- প্রতিদিনের জীবনযাপনে এটা চাপ তৈরি করবে- বলেন ডা. সাক্সেনা। তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে, ডিজিটাল সঞ্চয় বা জঞ্জালের মানসিক চাপে কেউ ভুগছে কি-না?
ডা. সাক্সেনার উত্তর, যদি জঞ্জাল প্রচুর জায়গা দখল করে রাখে আর সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয়টা খুঁজে না পান বা জঞ্জালের স্তুপে খুঁজতে গিয়ে দরকারী কাজ বা সামাজিক জীবন বাধা প্রাপ্ত হয়- তবে ধরে নিতে হবে আপনি অতিরিক্ত ‘ডিজিটাল ম্যাটেরিয়াল’ জমিয়ে রেখেছেন।
ডিজিটাল জঞ্জাল কমানোর পন্থা: মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে জাদুর কাঠির মতো কাজ করে জঞ্জাল সাফ করা- বলেন অ্যালবার্স। যারা এই ডিজিটাল ময়লা দূর করতে চান তবে সময় পান না, তবে তারা প্রতি সকালে মিনিট জঞ্জাল কমানোর চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজন নেই এমন ইমেইল বা নোটিফিকেশন ‘ডিলিট’ করা দিয়ে শুরু করলে সারাদিনে আরও বেশি ফলপ্রসু কাজ করার প্রেরণা যোগানো যায়-এমনই পরামর্শ দিয়েছেন এই মনোচিকিৎসক।

আরও কিছু পদ্ধতি জানান তিনি। প্রয়োজন নয় এরকমন ‘নোটিফিকেশন’ বন্ধ করা এবং যে কোনো বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক ইমেইল বা পেইজ ‘আনসাবস্ক্রাইব’ করা। এগুলো হল ‘মানসিক মশা’ সারাক্ষণ ভনভন করতে থাকে। এগুলোর পরিমাণ কমালে অন্যান্য কাজে মনযোগও বাড়বে। সীমা নির্ধারণ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইমেইল’য়ের ‘নোটিফিকেশন’ বন্ধ রাখা যায় ‘সাইলেন্ট মোড’ বা ‘ডু নট ডিসটার্ব’ দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপ্রয়োজনী পেইজ বা মানুষকে ‘আনফলো’ দিয়েও নোটিফিকেশনের মাত্রা কমানো যায়। যা ডিজিটাল জঞ্জাল কমাতে ভূমিকা রাখে। ফলে মানসিক শান্তি নিয়ে ‘স্ক্রোলিং’ও করা যায় যখন প্রয়োজন হয়। তৈরি করুন ‘ডিজিটাল ডিটক্স ডে’ বা ডিজিটাল বিষমুক্ত দিবস। অথবা অন্তত দিনের কিছু সময় ডিজিটাল বিশ্ব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। এতে ধারাবাহিক নোটিফিকেশনের হাত থেকে বাঁচা যাবে, জঞ্জালের পরিমাণ কমবে। ফলে বিচলিত হতে হবে কম। এছাড়া নিজস্ব পদ্ধতি খুঁজে বের করে প্রতিজ্ঞা করতে হবে দৈনিক অন্তত কিছু পরিমাণ ডিজিটাল জঞ্জাল পরিষ্কার করবো আর কিছুটা সময় হলেও ডিজিটাল জগৎ থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। আর অপ্রয়োনীয় কিছু জমাবো না।