ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

ডিজিটাল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত শিশু-কিশোর

  • আপডেট সময় : ০৭:৩০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক: কখনো কাজ তো কখনো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং, কখনো বা মুভি দেখা, কখনো আবার গেম খেলাÑ যে কারণেই হোক না কেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে লেগে থাকার কারণে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে অল্পবয়সীদের আক্রান্ত করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া।
আসলে ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং এর ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ শিশু-কিশোরদের এই রোগ হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের সমস্যা বাড়ছে। আজকাল ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার সমস্ত লক্ষণ তরুণ সম্প্রদায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে তাদের নিত্য দিনের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে লেখাপড়া আর কাজ করতেও ভালো লাগছে না।
সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, তরুণ সম্প্রদায়ের মস্তিষ্ক এবং মানসিকতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন। নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা টানা মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হচ্ছে। একই সঙ্গে ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, স্ক্রিন টাইম দিনে তিন ঘণ্টার বেশি হলে তা আসক্তি হয়ে যায়। স্ক্রিন টাইম ১২-১৫ ঘণ্টা হলে বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমায়। তাই নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং স্ক্রিন টাইম ৩ ঘণ্টারও কম রাখা উচিত।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গভীর সংস্কার না করলে স্বৈরাচার ফিরে আসবে

ডিজিটাল ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত শিশু-কিশোর

আপডেট সময় : ০৭:৩০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক: কখনো কাজ তো কখনো সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং, কখনো বা মুভি দেখা, কখনো আবার গেম খেলাÑ যে কারণেই হোক না কেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফোনে লেগে থাকার কারণে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। ফলে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। বিশেষ করে ডিজিটাল ডিভাইসের অত্যাধিক ব্যবহারের ফলে অল্পবয়সীদের আক্রান্ত করছে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া।
আসলে ফোনের অত্যধিক ব্যবহার এবং এর ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীলতার কারণে মানুষ শিশু-কিশোরদের এই রোগ হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মস্তিষ্কের সমস্যা বাড়ছে। আজকাল ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার সমস্ত লক্ষণ তরুণ সম্প্রদায় এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। যার কারণে তাদের নিত্য দিনের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যার ফলে লেখাপড়া আর কাজ করতেও ভালো লাগছে না।
সম্প্রতি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে, তরুণ সম্প্রদায়ের মস্তিষ্ক এবং মানসিকতার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে স্মার্টফোন। নিয়মিত ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা টানা মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে মনঃসংযোগের অভাব হচ্ছে। একই সঙ্গে ভুলে যাওয়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, স্ক্রিন টাইম দিনে তিন ঘণ্টার বেশি হলে তা আসক্তি হয়ে যায়। স্ক্রিন টাইম ১২-১৫ ঘণ্টা হলে বিপজ্জনক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীল আলো মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে এবং ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয় মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রা কমায়। তাই নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং স্ক্রিন টাইম ৩ ঘণ্টারও কম রাখা উচিত।