ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব হবে হাইটেক

  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামী দিনে হাই-টেক পার্কগুলো দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘হাই-টেক পার্কের চলমান কার্যক্রম: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত (সরাসরি ও জুম প্লাটফর্মে) উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আখতারুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলাম । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মশালার প্রধান আলোচক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। তিনি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন; মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৫ আগস্টের শহীদগণের আত্মার শান্তি কামনা করেন। আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সামগ্রিক চিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের দেশীয় চাহিদার ৭৫ শতাংশই আমরা নিজেরা পূরণ করছি। শিগগিরই দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশেও পুর্ণোদ্যমে রপ্তানি করবো। ইতোমধ্যে আমরা কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে উৎপাদিত আইওটি ডিভাইস বিদেশে রপ্তানি করেছি। খুব অল্প সময়েই সেখানে আরো বেশ কিছু কোম্পানি উৎপাদন শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক যে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব হবে হাইটেক

আপডেট সময় : ১০:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : আগামী দিনে হাই-টেক পার্কগুলো দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘হাই-টেক পার্কের চলমান কার্যক্রম: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত (সরাসরি ও জুম প্লাটফর্মে) উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আখতারুজ্জামানের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (যুগ্মসচিব) এ এন এম সফিকুল ইসলাম । মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর্মশালার প্রধান আলোচক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। তিনি জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন; মহান ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ১৫ আগস্টের শহীদগণের আত্মার শান্তি কামনা করেন। আলোচনায় তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সামগ্রিক চিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইসের দেশীয় চাহিদার ৭৫ শতাংশই আমরা নিজেরা পূরণ করছি। শিগগিরই দেশের ডিজিটাল ডিভাইসের শতভাগ চাহিদা পূরণ করে আমরা বিদেশেও পুর্ণোদ্যমে রপ্তানি করবো। ইতোমধ্যে আমরা কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে উৎপাদিত আইওটি ডিভাইস বিদেশে রপ্তানি করেছি। খুব অল্প সময়েই সেখানে আরো বেশ কিছু কোম্পানি উৎপাদন শুরু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাইটেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক যে মন্দার ঝুঁকি রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।