ঢাকা ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

ডিজিটাল জরিপে বালুমহাল নির্ধারণ ছাড়া ইজারা নয়

  • আপডেট সময় : ০৩:০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে বালুমহালের স্থান ও পরিধি নির্ধারণ করার পর কেবল ইজারা দেওয়ার বিধান রেখে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন থেকে জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয় প্রত্যেকটি বালুমহালের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে রিকুজিশন নেবে। “তাদের জুরিসডিকশনে এবং তারা একটা ডিজিটাল সার্ভে করে প্রত্যেকটা জেলা প্রশাসককে বা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবে কোথায় বালুমহাল আছে, কতটুকু তার পরিধি, কী পরিমাণে বালু উত্তোলন করা যাবে। “তার উপর ভিত্তি করে বালুমহালগুলো এক বছরের জন্য লিজ নেওয়া যাবে, এটাই হলো আইনের মূল বিধান।” তবে উর্বর কৃষি জমি হলে কিংবা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত জায়গা থেকে বালু তোলা যাবে না বলে জানান তিনি।
আইনে শাস্তির কথা পরিষ্কার বলে দেওয়া আছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যারা বেআইনিভাবে বালু তুলবে, তাদের সব সরাসরি জব্দ করে নিয়ে তাদেরকে পুরো জীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে দিতে হবে, তারা আর এ ব্যবসায় থাকতে পারবে না।”
কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছরের কারাদ- এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানারও বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া রাতের বেলা কেউ বালু তুলতে পারবে না বলে নির্দেশনা থাকছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “দিনের বেলায় সূর্যাস্তের মধ্যেই বালু তোলা শেষ করতে হবে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিজিটাল জরিপে বালুমহাল নির্ধারণ ছাড়া ইজারা নয়

আপডেট সময় : ০৩:০১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে বালুমহালের স্থান ও পরিধি নির্ধারণ করার পর কেবল ইজারা দেওয়ার বিধান রেখে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এখন থেকে জেলা প্রশাসক ও ভূমি মন্ত্রণালয় প্রত্যেকটি বালুমহালের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অথবা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে রিকুজিশন নেবে। “তাদের জুরিসডিকশনে এবং তারা একটা ডিজিটাল সার্ভে করে প্রত্যেকটা জেলা প্রশাসককে বা মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেবে কোথায় বালুমহাল আছে, কতটুকু তার পরিধি, কী পরিমাণে বালু উত্তোলন করা যাবে। “তার উপর ভিত্তি করে বালুমহালগুলো এক বছরের জন্য লিজ নেওয়া যাবে, এটাই হলো আইনের মূল বিধান।” তবে উর্বর কৃষি জমি হলে কিংবা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত জায়গা থেকে বালু তোলা যাবে না বলে জানান তিনি।
আইনে শাস্তির কথা পরিষ্কার বলে দেওয়া আছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যারা বেআইনিভাবে বালু তুলবে, তাদের সব সরাসরি জব্দ করে নিয়ে তাদেরকে পুরো জীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে দিতে হবে, তারা আর এ ব্যবসায় থাকতে পারবে না।”
কারও বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দুই বছরের কারাদ- এবং পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানারও বিধান রয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া রাতের বেলা কেউ বালু তুলতে পারবে না বলে নির্দেশনা থাকছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “দিনের বেলায় সূর্যাস্তের মধ্যেই বালু তোলা শেষ করতে হবে।”