ঢাকা ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ডিজিটাল আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন নূর

  • আপডেট সময় : ১২:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের মামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও অব্যাহতি পেয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইর প্রতিবেদন গ্রহণ করে গতকাল বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আসামি নূরকে অব্যাহতি দেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক ফরিদা পারভীন গত ৩ অক্টোবর আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেছিলেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে নুরের বক্তব্যে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।
শব্দের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেলেন নুর : নুরের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন তার সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নারী শিক্ষার্থী। ধর্ষণের মামলায় সহায়তাকারী হিসেবে নুরকেও আসামি করেছিলেন তিনি। সেই বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনে বসেছিলেন তিনি। তার অনশনের প্রতিক্রিয়ায় তাকে আক্রমণ করে গত বছরের ১১ অক্টোবর ফেইসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দিয়েছিলেন নূর, তার জবাবে ১৪ অক্টোবর মামলাটি করেছিলেন ওই ছাত্রী। মামলা তদন্ত করে পিবিআইর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাদীকে উদ্দেশ্য করে নুরের মন্তব্য করা দুশ্চরিত্রহীন শব্দের বিষয়ে বাংলা একাডেমির মতামত নেওয়া হয়।
“বাংলা একাডেমির অভিমতে বলা হয়, দুশ্চরিত্রহীন বলে কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় নেই। তথাপি দুশ্চরিত্রহীন শব্দটির অর্থ করা হলে দাঁড়ায় উন্নত চরিত্রের অধিকারী বা সদাচারী বা সৎ স্বভাব বিশিষ্ট।”
নূর লাইভে বলেছিলেন- “ছিঃ! আমরা ধিক্কার জানাই যে, এত নাটক করছে, যেই দুশ্চরিত্রাহীন!”
দৃশ্যত অভিযোগকারী ছাত্রীর চরিত্র নিয়ে কটূ কথা বলেছিলেন নুর। ‘দুশ্চরিত্র’ বলতে গিয়ে তিনি ‘দুশ্চরিত্রহীন’ বলেছিলেন বলেই সবাই ধরে নিয়েছিল।
লাইভের বক্তব্যের বিষয়ে একটি সংবাদসংস্থার প্রশ্নে নুর যে কথা বলেছিলেন, তাতেও সবার ধরে নেওয়া কথার সমর্থন মেলে। তিনি বলেছিলেন, “যেই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, সেই ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে যে আমার সম্মানহানি, আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, অবশ্যই তার ব্যক্তিত্ব, তার উদ্দেশ্য ও চরিত্র নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে পারি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী কোতোয়ালি ও লালবাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে যে দুটি মামলা করেছিলেন। ওই দুই মামলায় নুরের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: ফখরুল

ডিজিটাল আইনের মামলায় অব্যাহতি পেলেন নূর

আপডেট সময় : ১২:৫৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণের মামলার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায়ও অব্যাহতি পেয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইর প্রতিবেদন গ্রহণ করে গতকাল বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আসামি নূরকে অব্যাহতি দেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক ফরিদা পারভীন গত ৩ অক্টোবর আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলেছিলেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে নিয়ে নুরের বক্তব্যে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি।
শব্দের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেলেন নুর : নুরের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন তার সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নারী শিক্ষার্থী। ধর্ষণের মামলায় সহায়তাকারী হিসেবে নুরকেও আসামি করেছিলেন তিনি। সেই বিচার চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনশনে বসেছিলেন তিনি। তার অনশনের প্রতিক্রিয়ায় তাকে আক্রমণ করে গত বছরের ১১ অক্টোবর ফেইসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দিয়েছিলেন নূর, তার জবাবে ১৪ অক্টোবর মামলাটি করেছিলেন ওই ছাত্রী। মামলা তদন্ত করে পিবিআইর দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, “বাদীকে উদ্দেশ্য করে নুরের মন্তব্য করা দুশ্চরিত্রহীন শব্দের বিষয়ে বাংলা একাডেমির মতামত নেওয়া হয়।
“বাংলা একাডেমির অভিমতে বলা হয়, দুশ্চরিত্রহীন বলে কোনো শব্দ বাংলা ভাষায় নেই। তথাপি দুশ্চরিত্রহীন শব্দটির অর্থ করা হলে দাঁড়ায় উন্নত চরিত্রের অধিকারী বা সদাচারী বা সৎ স্বভাব বিশিষ্ট।”
নূর লাইভে বলেছিলেন- “ছিঃ! আমরা ধিক্কার জানাই যে, এত নাটক করছে, যেই দুশ্চরিত্রাহীন!”
দৃশ্যত অভিযোগকারী ছাত্রীর চরিত্র নিয়ে কটূ কথা বলেছিলেন নুর। ‘দুশ্চরিত্র’ বলতে গিয়ে তিনি ‘দুশ্চরিত্রহীন’ বলেছিলেন বলেই সবাই ধরে নিয়েছিল।
লাইভের বক্তব্যের বিষয়ে একটি সংবাদসংস্থার প্রশ্নে নুর যে কথা বলেছিলেন, তাতেও সবার ধরে নেওয়া কথার সমর্থন মেলে। তিনি বলেছিলেন, “যেই ঘটনার সাথে আমি জড়িত না, সেই ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে যে আমার সম্মানহানি, আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, অবশ্যই তার ব্যক্তিত্ব, তার উদ্দেশ্য ও চরিত্র নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে পারি।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী কোতোয়ালি ও লালবাগ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে যে দুটি মামলা করেছিলেন। ওই দুই মামলায় নুরের বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ।