ঢাকা ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৪১%

  • আপডেট সময় : ১২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

পুঁজিবাজার ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৯ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট। খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৯.৪ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৯.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩২.৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২৪.৫ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১৩.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ২০.৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ৩২.৫ পয়েন্ট, পাট খাতে ৭৮৬.৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ২৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৪.৭ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ২৯.৬ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ২১.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৩১.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৩৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৯.৫ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ২৭.৭ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ১৭৩.১ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
রিটার্নে দর কমেছে ১৩ খাতে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৩ খাতে। অন্যদিকে দর বেড়েছে মাত্র ৭ খাতে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ভ্রমণ-অবকাশ খাতে। এই খাতে ৯.১ শতাংশ দর কমেছে। সেবা-আবাসন খাতে ৭ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর সিরামিকস খাতে ৫.৭ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতে ৫.৩ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ৩.৭ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৩.১ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.২ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.৯ শতাংশ, ফার্মা খাতে ১.৩ শতাংশ, বিবিধ খাতে দশমিক ১.২ শতাংশ, আইটি খাতে দশমিক ৭ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৬ শতাংশ ও বস্ত্র খাতে দশমিক ২ শতাংশ দর বেড়েছে। অন্যদিকে দর বেড়েছে ৭ খাতে। খাতগুলো হচ্ছে- ট্যানারি, কাগজ, খাদ্য, জীবন বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সাধারণ বিমা ও ব্যাংক খাত।
লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জহোলসিম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি শেয়ার হাতবদল করেছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৭৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৬৪ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪২১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড।
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ-রসায়ন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ-রসায়ন খাত। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৫.৬ শতাংশ অবদান রয়েছে এই খাতে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে বস্ত্র খাতে ১২.১ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১০.৩ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ২০.১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৮.৭ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৭.৪ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৫.৪ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৫.১ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ৪.২ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৩.৫ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৩.৩ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৩.২ শতাংশ, আইটি খাতে ২.৮ শতাংশ, সেবা-আবাসন খাতে ১.৮ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১.৭ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১.৫ শতাংশ, কাগজ ও সিরামিকস খাতে ১.২ শতাংশ ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক
দেশের শেয়ারবাজারে দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে চলে আসায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। শেয়ার দামে বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। টাকার অংকে বেড়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি চলতি বছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটি সর্বশেষ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) ব্যবসায় শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা মুনাফা হয়েছে। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। গেল সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর পরের স্থানটিতে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টের ১৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ফরচুন সুজের ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং আমান ফিডের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ দাম বেড়েছে।
লুজারের শীর্ষে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১২.৯৩ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১.৪৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ১২ কোটি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এনভয় টেক্সটাইল লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১.২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৫৭ লাখ ৮০০ টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এইচ.আর টেক্সটাইল, সিলভা ফার্মা, ফারইস্ট ফিন্যান্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, অ্যাক্টিভ ফাইন, মতিন স্পিনিং ও সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। –

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ৩.৪১%

আপডেট সময় : ১২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১

পুঁজিবাজার ডেস্ক : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও কমেছে দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৯ দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট। খাতভিত্তিক হিসেবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৯ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৯.৪ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৯.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩২.৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২৪.৫ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১৩.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ২০.৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ৩২.৫ পয়েন্ট, পাট খাতে ৭৮৬.৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ২৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৪.৭ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ২৯.৬ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ২১.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৩১.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৩৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৯.৫ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ২৭.৭ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ১৭৩.১ পয়েন্ট অবস্থান করছে।
রিটার্নে দর কমেছে ১৩ খাতে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৩ খাতে। অন্যদিকে দর বেড়েছে মাত্র ৭ খাতে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ভ্রমণ-অবকাশ খাতে। এই খাতে ৯.১ শতাংশ দর কমেছে। সেবা-আবাসন খাতে ৭ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আর সিরামিকস খাতে ৫.৭ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতে ৫.৩ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ৩.৭ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৩.১ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ২.২ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.৯ শতাংশ, ফার্মা খাতে ১.৩ শতাংশ, বিবিধ খাতে দশমিক ১.২ শতাংশ, আইটি খাতে দশমিক ৭ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৬ শতাংশ ও বস্ত্র খাতে দশমিক ২ শতাংশ দর বেড়েছে। অন্যদিকে দর বেড়েছে ৭ খাতে। খাতগুলো হচ্ছে- ট্যানারি, কাগজ, খাদ্য, জীবন বিমা, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সাধারণ বিমা ও ব্যাংক খাত।
লেনদেনের শীর্ষে লাফার্জহোলসিম
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি ৫ কোটি ৯২ লাখ ২৯ হাজার ৮৪টি শেয়ার হাতবদল করেছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির ৪ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ২৭৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪৬৪ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৪২১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফরচুন সুজ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল ও জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড।
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ওষুধ-রসায়ন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ওষুধ-রসায়ন খাত। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৫.৬ শতাংশ অবদান রয়েছে এই খাতে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে বস্ত্র খাতে ১২.১ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১০.৩ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে ব্যাংক খাতে ২০.১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৮.৭ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৭.৪ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৫.৪ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৫.১ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ৪.২ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৩.৫ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে ৩.৩ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৩.২ শতাংশ, আইটি খাতে ২.৮ শতাংশ, সেবা-আবাসন খাতে ১.৮ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১.৭ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ১.৫ শতাংশ, কাগজ ও সিরামিকস খাতে ১.২ শতাংশ ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
দরবৃদ্ধির শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক
দেশের শেয়ারবাজারে দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে চলে আসায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করেছে ব্যাংক খাতের এ প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। শেয়ার দামে বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে ১৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫৩ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, কোম্পানিটির শেয়ারের দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। টাকার অংকে বেড়েছে ৭ টাকা ২০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি চলতি বছরে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০২০ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। ডিএসইর মাধ্যমে কোম্পানিটি সর্বশেষ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের (জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত) ব্যবসায় শেয়ার প্রতি ১ টাকা ১১ পয়সা মুনাফা হয়েছে। ডিএসইর তথ্যানুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৭৩ দশমিক ৩২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। গেল সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এর পরের স্থানটিতে রয়েছে ফারইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টের ১৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, দেশবন্ধু পলিমারের ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, কাট্টালি টেক্সটাইলের ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ফরচুন সুজের ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইলের ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং আমান ফিডের ১২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ দাম বেড়েছে।
লুজারের শীর্ষে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার বা দরপতনের শীর্ষে রয়েছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১২.৯৩ শতাংশ। তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১ কোটি ১০ লাখ ৩৮ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ৭ হাজার ৬০০ টাকা। লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লিমিটেড। গত সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১.৪৯ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ১২ কোটি ৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। এনভয় টেক্সটাইল লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত সপ্তাহে শেয়ারটি সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১.২৮ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটি সর্বমোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ কোটি ৫৭ লাখ ৮০০ টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এইচ.আর টেক্সটাইল, সিলভা ফার্মা, ফারইস্ট ফিন্যান্স, সেন্ট্রাল ফার্মা, অ্যাক্টিভ ফাইন, মতিন স্পিনিং ও সিলকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। –