ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

ডিএনসিসি হাসপাতালের কর্মীদের বিক্ষোভে সড়কে যানজট

  • আপডেট সময় : ০২:৪২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক বছর ধরে বেতন না পাওয়ার মধ্যে চাকরিচ্যুতির খবর শুনে তার প্রতিবাদে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর শ খানেক চিকিৎসাকর্মী মহাখালীতে হাসপাতালের সামনে সড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। পিপিই-গাউন পরে কয়েকজন আন্দোলনকারী সড়কে শুয়েও পড়েন। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছে সড়কের একপাশে তাদের অবস্থানের কারণে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমানবন্দর সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাফিক বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘণ্টা খানেক আলোচনার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীদের একজন মো. খালিদ বলেন, কোভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি ওয়ার্ড বয় হিসাবে চার মাসের চুক্তিতে এই হাসপাতালে যোগ দেন। পরে কয়েক দফায় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার অভিযোগ, মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ার পর তাদের দিকে আর ‘তাকাচ্ছে না’ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের বেতন বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে তাদের সবাইকে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে যে তাদের চাকরি আর নেই। এই তালিকায় ২০২ জন ওয়ার্ড বয়, আয়া ও অ্যাটেনডেন্ট রয়েছেন বলে জানান খালিদ। আন্দোলনকারী মো. মহসিন বলেন, বেতন বকেয়া রেখে চাকরিচ্যুত করায় ‘বাধ্য হয়ে’ তারা সড়কে নেমেছেন।
আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন-‘কোভিড যোদ্ধারা রাস্তায় কেন’, ‘চাকরি চাই, বেতন চাই’। মহাখালীতে সাত দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির বিপণিবিতানকে কোভিড মহামারী শুরুর পর হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এটি তৈরি করা হয়েছিল কারওয়ান বাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে। তবে ব্যবসায়ীরা না আসায় এটি খালি পড়েছিল। ২০২০ সালে সেখানে প্রথমে গড়ে তোলা হয় এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, পরে চিকিৎসাও দেওয়া হয় সেখানে। গত বছর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছিল এই হাসপাতালে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, এখানে দোকান বরাদ্দ থেকে বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে নগরবাসীকে সেবা দিতে এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। তখন জানানো হয়েছিল, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের জন্য সরকারের কাছে ৪০০ জন চিকিৎসক, ৭০০ জন নার্স এবং ৬০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর জনবল চাওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিএনসিসি হাসপাতালের কর্মীদের বিক্ষোভে সড়কে যানজট

আপডেট সময় : ০২:৪২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : এক বছর ধরে বেতন না পাওয়ার মধ্যে চাকরিচ্যুতির খবর শুনে তার প্রতিবাদে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর শ খানেক চিকিৎসাকর্মী মহাখালীতে হাসপাতালের সামনে সড়কে বিক্ষোভ শুরু করে। পিপিই-গাউন পরে কয়েকজন আন্দোলনকারী সড়কে শুয়েও পড়েন। মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের কাছে সড়কের একপাশে তাদের অবস্থানের কারণে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমানবন্দর সড়কেও ছড়িয়ে পড়ে। ট্রাফিক বিভাগ ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ ঘণ্টা খানেক আলোচনার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে তুলে দেয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনকারীদের একজন মো. খালিদ বলেন, কোভিড মহামারী শুরুর পর ২০২০ সালে তিনি ওয়ার্ড বয় হিসাবে চার মাসের চুক্তিতে এই হাসপাতালে যোগ দেন। পরে কয়েক দফায় তাদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার অভিযোগ, মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ার পর তাদের দিকে আর ‘তাকাচ্ছে না’ কর্তৃপক্ষ। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাদের বেতন বন্ধ। মঙ্গলবার সকালে তাদের সবাইকে ডেকে বলে দেওয়া হয়েছে যে তাদের চাকরি আর নেই। এই তালিকায় ২০২ জন ওয়ার্ড বয়, আয়া ও অ্যাটেনডেন্ট রয়েছেন বলে জানান খালিদ। আন্দোলনকারী মো. মহসিন বলেন, বেতন বকেয়া রেখে চাকরিচ্যুত করায় ‘বাধ্য হয়ে’ তারা সড়কে নেমেছেন।
আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন-‘কোভিড যোদ্ধারা রাস্তায় কেন’, ‘চাকরি চাই, বেতন চাই’। মহাখালীতে সাত দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির বিপণিবিতানকে কোভিড মহামারী শুরুর পর হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এটি তৈরি করা হয়েছিল কারওয়ান বাজারের আড়ত সরিয়ে আনতে। তবে ব্যবসায়ীরা না আসায় এটি খালি পড়েছিল। ২০২০ সালে সেখানে প্রথমে গড়ে তোলা হয় এক হাজার শয্যার আইসোলেশন সেন্টার, পরে চিকিৎসাও দেওয়া হয় সেখানে। গত বছর ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হচ্ছিল এই হাসপাতালে। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল চালুর সময় ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, এখানে দোকান বরাদ্দ থেকে বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে নগরবাসীকে সেবা দিতে এটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। তখন জানানো হয়েছিল, ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালের জন্য সরকারের কাছে ৪০০ জন চিকিৎসক, ৭০০ জন নার্স এবং ৬০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর জনবল চাওয়া হয়েছে।