ঢাকা ১১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের ৫ বছর জেল

  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন গতকাল রোববার দুদকের করা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদ-ের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বজলুর রশীদকে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে। যে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য এ মামলায় এসেছে, তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারক। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদ- দেওয়া হয়েছে।“
মামলার রাষ্ট্র এবং আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর, সেদিন রায় ঘোষণার জন্য ২৩ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় সর্বশেষ কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার আগে ডিআইজি হিসেবে ছিলেন রাজশাহীতে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা স্থানান্তর করতে ডিআইজি প্রিজনস (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদ অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শতাধিক ধাপে তিনি পাঠিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। এজন্য প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে সিম তোলা হয়েছে এবং সরাসরি নিজে টাকা না পাঠিয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। এরপর এই কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের তলবে হাজির হলে ওই বছর ২০ অগাস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে। পরে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য রূপায়ন হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে বজলুর চুক্তি করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি তিন কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন নগদে। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসিরউদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় সেখানে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি। “এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। ফলে তার এই পরিশোধিত তিন কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।”
অভিযোগপত্র জমার প্রায় দুই মাস পর ২২ অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই কারা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ দেয়। দুবছর ধরে চলা বিচারে মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বজলুর রশীদকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
আয় ৫২ লাখ, ফ্ল্যাট কিনেছেন ৩ কোটিতে : ‘একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কারা বিভাগের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদ ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈধ আয় করেছেন ৫২ লাখ টাকা। কিন্তু তিনি ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।’ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন দুর্নীতি মামলায় বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদ- দেন। রায় ঘোষণার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিচারক বলেন, বজলুর রশিদের পিতা-মাতার কোনও সম্পত্তি ছিল না। নির্দিষ্ট বেতন পাওয়া বজলুর রশিদ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার বিশাল সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এই টাকা তিনি ২ মাসের মধ্যে নগদে পরিশোধ করেন। যা অনেকটা অদ্ভুত। বজলুর রশীদের অর্জিত অর্থ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও বিচারক তার রায়ে মন্তব্য করেন।
এদিকে, রায়ে বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদ-; ৫ লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। একই সাথে অবৈধভাবে অর্জিত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে বজলুর রশিদ আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের ৫ বছর জেল

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : তিন কোটি ১৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগে কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ইকবাল হোসেন গতকাল রোববার দুদকের করা এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদ-ের পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বজলুর রশীদকে। জরিমানার টাকা না দিলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে। যে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য এ মামলায় এসেছে, তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিচারক। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ কারাদ- দেওয়া হয়েছে।“
মামলার রাষ্ট্র এবং আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর, সেদিন রায় ঘোষণার জন্য ২৩ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৩ সালে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বজলুর রশীদ ঢাকায় সর্বশেষ কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার আগে ডিআইজি হিসেবে ছিলেন রাজশাহীতে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিপুল পরিমাণ ঘুষের টাকা স্থানান্তর করতে ডিআইজি প্রিজনস (হেডকোয়ার্টার্স) বজলুর রশীদ অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে শতাধিক ধাপে তিনি পাঠিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। এজন্য প্রকৃত ঠিকানা গোপন করে স্ত্রীর নামে সিম তোলা হয়েছে এবং সরাসরি নিজে টাকা না পাঠিয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তির মাধ্যমে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। এরপর এই কারা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের তলবে হাজির হলে ওই বছর ২০ অগাস্ট তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে। পরে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য রূপায়ন হাউজিং এস্টেটের সঙ্গে বজলুর চুক্তি করেন। এরপর ২০১৮ সালের ৭ জুন পর্যন্ত ৫৪ হাজার টাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যমে চেকে পরিশোধ করেন। আর বাকি তিন কোটি ৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন নগদে। ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসিরউদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। সব মিলিয়ে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয় সেখানে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঢাকার সিদ্বেশ্বরী রোডে রূপায়ন হাউজিংয়ের স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের দুই হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন বজলুর রশীদ। এর দাম হিসেবে পরিশোধ করা তিন কোটি ৮ লাখ টাকার কোনো বৈধ উৎস তিনি প্রদর্শন করতে পারেননি। “এমনকি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করেননি। ফলে তার এই পরিশোধিত তিন কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।”
অভিযোগপত্র জমার প্রায় দুই মাস পর ২২ অক্টোবর আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই কারা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ দেয়। দুবছর ধরে চলা বিচারে মোট ১৪ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত বজলুর রশীদকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিল।
আয় ৫২ লাখ, ফ্ল্যাট কিনেছেন ৩ কোটিতে : ‘একজন সরকারি কর্মচারী হিসেবে কারা বিভাগের বরখাস্তকৃত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশিদ ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৈধ আয় করেছেন ৫২ লাখ টাকা। কিন্তু তিনি ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন।’ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন দুর্নীতি মামলায় বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদ- দেন। রায় ঘোষণার আগে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিচারক বলেন, বজলুর রশিদের পিতা-মাতার কোনও সম্পত্তি ছিল না। নির্দিষ্ট বেতন পাওয়া বজলুর রশিদ ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার বিশাল সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা মূল্যে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। এই টাকা তিনি ২ মাসের মধ্যে নগদে পরিশোধ করেন। যা অনেকটা অদ্ভুত। বজলুর রশীদের অর্জিত অর্থ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে বেশ অসঙ্গতিপূর্ণ বলেও বিচারক তার রায়ে মন্তব্য করেন।
এদিকে, রায়ে বজলুর রশিদকে ৫ বছরের কারাদ-; ৫ লাখ টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাভোগ করতে হবে। একই সাথে অবৈধভাবে অর্জিত ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে বজলুর রশিদ আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে, গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেন। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন।