ঢাকা ০৫:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫

ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

  • আপডেট সময় : ০২:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর মামলার বিচারের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলির আদেশ দেন। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন এই চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস’এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করে অপরাধ করেছেন। অভিযোগে থেকে জানা যায়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। বর্তমানে তিমি কারাগারে রয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডা. সাবরিনা শারমিনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়ের করা প্রতারণার মামলায় চার্জশিট আমলে নিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। এরপর মামলার বিচারের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বদলির আদেশ দেন। সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক রিপন উদ্দিন এই চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ১৯৭৬ সালের ২ ডিসেম্বর ডা. সাবরিনার সঠিক জন্ম তারিখ। তিনি ২০১৬ সালে দ্বিতীয় এনআইডিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর জন্ম তারিখ সংক্রান্ত সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০০০ সালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। ১৯৮৩ সালে জন্ম তারিখ ধরলে তিনি মাত্র আট বছর বয়সে এসএসসি ও ১৭ বছরে এমবিবিএস পাস করেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বয়স কমিয়ে জালিয়াতির উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় টিআইএন নম্বর প্রাপ্ত হয়েছে এবং প্রতারণামূলকভাবে দ্বিতীয় এনআইডি খাঁটি দলিল হিসেবে তার অফিসে এইচআরআইএস’এ ব্যবহার করে পিআরএলের সময় বৃদ্ধি করে অপরাধ করেছেন। অভিযোগে থেকে জানা যায়, বর্তমান সাবরিনার দুটি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী। ২০২০ সালের ৩০ আগস্ট ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া। এ মামলায় ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জামিন পান সাবরিনা। বর্তমানে তিমি কারাগারে রয়েছেন।