ঢাকা ১১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে না : আইসিডিডিআরবিতে রোগী আর রোগী

  • আপডেট সময় : ০১:৩১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২
  • ১০৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মহাখালী হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভর্তির সংখ্যা কমছেই না। গত মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছিল ৬৭৮ জন। আজ বুধবার বেলা একটা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৭১০ জন।
হাসপাতালের প্রধান বাহারুল আলম গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৩০০-এর বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার রোগী ভর্তির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে আইসিডিডিআরবির মহাখালী হাসপাতাল।
আইসিডিডিআরবির একটি সূত্র এর আগে বলেছিল, তাদের হাসপাতালে আসা রোগীদের ২৩ শতাংশ তীব্র ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কলেরার রোগীর শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায়। চোখ গর্তে চলে যায়। জিব শুকিয়ে যায়। রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা চলে যায়। অর্থাৎ চিমটি দিলে ত্বক কুঁচকে থাকে, অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে না। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পানিশূন্যতার কারণে এসব রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি আছে।
গত তিন মাসের হিসাবে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১৫। আট বিভাগের হিসাবে দেখা যায়, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ডায়রিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চ মাসে কমেছে। অন্য সব বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডায়রিয়ার প্রকোপ কমছে না : আইসিডিডিআরবিতে রোগী আর রোগী

আপডেট সময় : ০১:৩১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) মহাখালী হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর ভর্তির সংখ্যা কমছেই না। গত মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছিল ৬৭৮ জন। আজ বুধবার বেলা একটা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ৭১০ জন।
হাসপাতালের প্রধান বাহারুল আলম গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৩০০-এর বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার রোগী ভর্তির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে সংখ্যা ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে আইসিডিডিআরবির মহাখালী হাসপাতাল।
আইসিডিডিআরবির একটি সূত্র এর আগে বলেছিল, তাদের হাসপাতালে আসা রোগীদের ২৩ শতাংশ তীব্র ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কলেরার রোগীর শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায়। চোখ গর্তে চলে যায়। জিব শুকিয়ে যায়। রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা চলে যায়। অর্থাৎ চিমটি দিলে ত্বক কুঁচকে থাকে, অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে না। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পানিশূন্যতার কারণে এসব রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি আছে।
গত তিন মাসের হিসাবে দেখা যায়, ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১৫। আট বিভাগের হিসাবে দেখা যায়, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ডায়রিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চ মাসে কমেছে। অন্য সব বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।