ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ডায়নোসারের ১১ কোটি বছর আগের পায়ের ছাপ

  • আপডেট সময় : ১১:৪৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের কেন্ট শহরের একটি দুর্গম এলাকায় অন্তত ছয় প্রজাতির ডায়নোসারের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, এগুলি আনুমানিক ১১ কোটি বছর আগের। সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পদচিহ্নগুলি খুঁজতে কাজ করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের এক বিজ্ঞানী এবং হ্যাস্টিংস মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারির এক কিউরেটর।
উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কারণে পায়ের ছাপগুলি খুঁজে পেতে সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছে অধ্যাপক ডেভিড মারটিল। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো আঞ্চলিক এলাকায় আমরা পায়ের ছাপ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি বিস্ময়কর ঘটনা, হতে পারে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগে এরাই সর্বশেষ জাতি ছিল। বিশালাকার ডায়নোসারগুলি ওই এলাকার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত চষে বেড়াতো ভাবতেই কেমন শিহরন হচ্ছে!’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রজাতির পায়ের ছাপ পেয়েছি, যা প্রমাণ করে ১১ কোটি বছর আগে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বিচিত্র প্রজাতির ডায়নোসারের অস্তিত্ব ছিল।
অধ্যাপক মারটিল জানান, একই স্থানে এতো প্রজাতির ডায়নোসারের পায়ের ছাপ পাওয়া সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো একটি ব্যাপার। ডায়নোসারগুলি সম্ভবত উপকূলীয় এলাকার জোয়ার-ভাটার সুবিধা ভোগ করত। পাশাপাশি খাদ্য খুঁজতে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে হেঁটে পথ তৈরি করত।
হ্যাস্টিংস মিউজিয়ামের কালেকশন অ্যান্ড এঙ্গেজমেন্ট কিউরেটর ফিলিপ হ্যাডলেন্ড বলেন, ‘২০১১ সালের দিকে আমি যখন ওই অঞ্চলে ভ্রমণ করি তখন কিছু পাথরের গঠন আমার কাছে অস্বাভাবিক লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিলো, এগুলি কোন প্রাণির ফসিল হতে পারে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের কাছে প্রমাণের জন্য অধিকতর তদন্তের দরকার ছিল। তাই আমি পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের শরণাপন্ন হই। আগের ছাপগুলির সংখ্যা তখন অল্প মনে হয়েছিল। তবে এবারে আবিষ্কৃত পায়ের ছাপগুলি সংখ্যায় অনেক ও ভিন্ন প্রজাতির।
ফিলিপ জানান, ছাপগুলি বিশালাকার হাতির পায়ের আকারের কাছাকাছি। সবচেয়ে বড় পায়ের ছাপটি হচ্ছে ৬৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮০ সেন্টিমিটার প্রস্থ যা সম্ভবত ইগুয়ানোডন প্রজাতির কাছাকাছি ডায়নোসারের। ইগুয়ানোডন প্রজাতির ডায়নোসারগুলি উদ্ভিদভোজী হত এবং তারা ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বায় হত। তারা দুই পায়ে হাঁটত, কখনও কখনও চার পায়েও হেঁটে বেড়াতো। পুরো এলাকায় অনুসন্ধান করলে আরো অনেকপায়ের ছাপসহ ফসিল আবিষ্কার হতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডায়নোসারের ১১ কোটি বছর আগের পায়ের ছাপ

আপডেট সময় : ১১:৪৬:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইংল্যান্ডের কেন্ট শহরের একটি দুর্গম এলাকায় অন্তত ছয় প্রজাতির ডায়নোসারের পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে, এগুলি আনুমানিক ১১ কোটি বছর আগের। সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পদচিহ্নগুলি খুঁজতে কাজ করেছিলেন ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের এক বিজ্ঞানী এবং হ্যাস্টিংস মিউজিয়াম অ্যান্ড আর্ট গ্যালারির এক কিউরেটর।
উপকূলীয় অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় ঝড় ও ভারী বৃষ্টির কারণে পায়ের ছাপগুলি খুঁজে পেতে সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছে অধ্যাপক ডেভিড মারটিল। তিনি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো কোনো আঞ্চলিক এলাকায় আমরা পায়ের ছাপ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছি। এটি নিঃসন্দেহে একটি বিস্ময়কর ঘটনা, হতে পারে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগে এরাই সর্বশেষ জাতি ছিল। বিশালাকার ডায়নোসারগুলি ওই এলাকার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত চষে বেড়াতো ভাবতেই কেমন শিহরন হচ্ছে!’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন প্রজাতির পায়ের ছাপ পেয়েছি, যা প্রমাণ করে ১১ কোটি বছর আগে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে বিচিত্র প্রজাতির ডায়নোসারের অস্তিত্ব ছিল।
অধ্যাপক মারটিল জানান, একই স্থানে এতো প্রজাতির ডায়নোসারের পায়ের ছাপ পাওয়া সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মতো একটি ব্যাপার। ডায়নোসারগুলি সম্ভবত উপকূলীয় এলাকার জোয়ার-ভাটার সুবিধা ভোগ করত। পাশাপাশি খাদ্য খুঁজতে একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে যেতে হেঁটে পথ তৈরি করত।
হ্যাস্টিংস মিউজিয়ামের কালেকশন অ্যান্ড এঙ্গেজমেন্ট কিউরেটর ফিলিপ হ্যাডলেন্ড বলেন, ‘২০১১ সালের দিকে আমি যখন ওই অঞ্চলে ভ্রমণ করি তখন কিছু পাথরের গঠন আমার কাছে অস্বাভাবিক লেগেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিলো, এগুলি কোন প্রাণির ফসিল হতে পারে। তবে ভূতাত্ত্বিকদের কাছে প্রমাণের জন্য অধিকতর তদন্তের দরকার ছিল। তাই আমি পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের শরণাপন্ন হই। আগের ছাপগুলির সংখ্যা তখন অল্প মনে হয়েছিল। তবে এবারে আবিষ্কৃত পায়ের ছাপগুলি সংখ্যায় অনেক ও ভিন্ন প্রজাতির।
ফিলিপ জানান, ছাপগুলি বিশালাকার হাতির পায়ের আকারের কাছাকাছি। সবচেয়ে বড় পায়ের ছাপটি হচ্ছে ৬৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্য ও ৮০ সেন্টিমিটার প্রস্থ যা সম্ভবত ইগুয়ানোডন প্রজাতির কাছাকাছি ডায়নোসারের। ইগুয়ানোডন প্রজাতির ডায়নোসারগুলি উদ্ভিদভোজী হত এবং তারা ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বায় হত। তারা দুই পায়ে হাঁটত, কখনও কখনও চার পায়েও হেঁটে বেড়াতো। পুরো এলাকায় অনুসন্ধান করলে আরো অনেকপায়ের ছাপসহ ফসিল আবিষ্কার হতে পারে।