ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ডার্ক চকলেট কতটা উপকারী

  • আপডেট সময় : ১০:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪
  • ১০৪ বার পড়া হয়েছে

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: মুখরোচক এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই চকলেট খেতে পছন্দ করে। কিছু ক্ষতিকর দিক থাকার কারণে অন্যান্য চকলেট খেতে নিষেধ করা হলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু ডার্ক চকলেট খাওয়া আসলে শরীরের জন্য কতটা উপকারী? জানব মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মীর কাছ থেকে। শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, চকলেট তৈরি করা হয় কোকোয়া বীজ দিয়ে। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকে বলা হয় ডার্ক চকলেট। অন্যান্য মিল্ক চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ সামান্য থাকে এবং চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ভালো মানের ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ কম এবং কোকোয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। এই ডার্ক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ডার্ক চকলেট কিনতে হবে। শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকলেট খাওয়া হলে বেশ কিছু উপকারিতা পেতে পারেন।
যেমন-
* ডার্ক চকলেটে প্রচুর সক্রিয় জৈব উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোষের ক্ষতি হওয়া রোধ এবং ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে।
* ডার্ক চকলেটের কোকোয়া বীজের ফ্ল্যাভানল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
* ডার্ক চকলেট খেলে মনের বিষণ্ণতা দূর হয়। এই চকলেটে থাকে ট্রিপটোফ্যান, যা বিষণ্ণতা রোধে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ডোপামিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে।
* ডার্ক চকলেট খেলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে গ্লুকোজ শোষণ হয়ে গ্লুকোজের মাত্রা ভালো থাকে।
* ডার্ক চকলেটের ফ্ল্যাভনয়েডর কারণে শরীরের রক্ত প্রবাহ উন্নত হয় ও এবং রক্তচাপ ও কমে। ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য এটি বেশ উপকারী।
* ডার্ক চকলেট শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
কতটুকু খাবেন
কিন্তু কেউ যদি নিয়মিত বেশি পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেতে থাকেন তখন শরীরের ক্ষতি হবে। ডার্ক চকলেটে বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ইত্যাদি থাকার সঙ্গে এটিতে ক্যালরির পরিমাণও বেশি। তাই অতিরিক্ত ডার্ক চকলেট খাওয়ার কারণে ওজন বাড়তে পারে এবং শরীরে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মধ্যকালীন নাশতা, বিকেলের নাশতা বা বাচ্চারা তাদের টিফিনের সময় এক বা দুই স্কয়ার ডার্ক চকলেট অনায়াসেই খেতে পারে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ১০০ গ্রামের বেশি ডার্ক চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, বরং ক্ষতিকর। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডার্ক চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন অবশ্যই।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

ডার্ক চকলেট কতটা উপকারী

আপডেট সময় : ১০:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

স্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক: মুখরোচক এবং মিষ্টি স্বাদের জন্য বাচ্চা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রায় সবাই চকলেট খেতে পছন্দ করে। কিছু ক্ষতিকর দিক থাকার কারণে অন্যান্য চকলেট খেতে নিষেধ করা হলেও ডার্ক চকলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু ডার্ক চকলেট খাওয়া আসলে শরীরের জন্য কতটা উপকারী? জানব মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সিনিয়র পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মীর কাছ থেকে। শরীফা আক্তার শাম্মী বলেন, চকলেট তৈরি করা হয় কোকোয়া বীজ দিয়ে। ৭০-৮৫ ভাগ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেটকে বলা হয় ডার্ক চকলেট। অন্যান্য মিল্ক চকলেটে কোকোয়ার পরিমাণ সামান্য থাকে এবং চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। কিন্তু ভালো মানের ডার্ক চকলেটে চিনির পরিমাণ কম এবং কোকোয়ার পরিমাণ বেশি থাকে। এই ডার্ক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ। তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের ডার্ক চকলেট কিনতে হবে। শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে পরিমিত পরিমাণে ডার্ক চকলেট খাওয়া হলে বেশ কিছু উপকারিতা পেতে পারেন।
যেমন-
* ডার্ক চকলেটে প্রচুর সক্রিয় জৈব উপাদান রয়েছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, কোষের ক্ষতি হওয়া রোধ এবং ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে।
* ডার্ক চকলেটের কোকোয়া বীজের ফ্ল্যাভানল মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়াতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্কের রোগ প্রতিরোধ করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
* ডার্ক চকলেট খেলে মনের বিষণ্ণতা দূর হয়। এই চকলেটে থাকে ট্রিপটোফ্যান, যা বিষণ্ণতা রোধে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ডোপামিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে।
* ডার্ক চকলেট খেলে শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে গ্লুকোজ শোষণ হয়ে গ্লুকোজের মাত্রা ভালো থাকে।
* ডার্ক চকলেটের ফ্ল্যাভনয়েডর কারণে শরীরের রক্ত প্রবাহ উন্নত হয় ও এবং রক্তচাপ ও কমে। ফলে কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য এটি বেশ উপকারী।
* ডার্ক চকলেট শরীরের ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে ভূমিকা রাখে।
কতটুকু খাবেন
কিন্তু কেউ যদি নিয়মিত বেশি পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেতে থাকেন তখন শরীরের ক্ষতি হবে। ডার্ক চকলেটে বিভিন্ন খনিজ উপাদান যেমন ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক ইত্যাদি থাকার সঙ্গে এটিতে ক্যালরির পরিমাণও বেশি। তাই অতিরিক্ত ডার্ক চকলেট খাওয়ার কারণে ওজন বাড়তে পারে এবং শরীরে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মধ্যকালীন নাশতা, বিকেলের নাশতা বা বাচ্চারা তাদের টিফিনের সময় এক বা দুই স্কয়ার ডার্ক চকলেট অনায়াসেই খেতে পারে। কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ১০০ গ্রামের বেশি ডার্ক চকলেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়, বরং ক্ষতিকর। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ডার্ক চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে নেবেন অবশ্যই।