ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তাকারী ৬ জন পুরস্কৃত

  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • ১০৩ বার পড়া হয়েছে

ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জন ও চার পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধানমন্ডিতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করায় ধানমন্ডি থানার চার পুলিশ সদস্য ও ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জনকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ধানমন্ডি থানার এএসআই মাসুদ পারভেজ, এএসআই আশরাফুল, কনস্টবল স্বপন মিয়া ও কনস্টেবল রিকন বড়ুয়া।

ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তাকারী পুরস্কারপ্রাপ্ত ছয়জন হলেন– ভবনের ড্রাইভার মো. বিজয়, ভবনের নিরাপত্তা কর্মী মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ঐ ভবনে অবস্থিত এসএম সোর্সিং নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. স্বপন ভূঁইয়া, মো.দেলোয়ার হোসেন, মো. সিয়াম ও মো. টনি।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার অপরাধীদের গ্রেফতারের পুরস্কার প্রাপ্তদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের এ অনন্য সাহসিকতাপূর্ণ কাজ অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ সফল হওয়া সম্ভব। এ সময় ডিএমপি কমিশনার ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জনকে পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ভিকারুন্নেসা স্কুলের ধানমন্ডি শাখার গলির একটি ছয়তলা ভবনে র‌্যাব পরিচয়ে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে থাকা ‘অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, এস এম সোর্সিং অফিস ও কনসালটেন্সি অফিস থেকে ডাকাতরা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ডাকাতরা ভবনের মালিক এম এ হান্নানকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ওই বাড়ির সামনে হাজির হয়ে ডাকাতদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। ডাকাতরা এসময় তাদের হাতে থাকা ছেনি ও রেঞ্জ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তখন আশপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে ধানমন্ডি থানায় মামলা রুজু করা হয়। এ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে চারজন ও বৃহস্পতিবার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত আবদুল্লাহ ও সুমনসহ সর্বমোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

অনেক বছর পর সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা

ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তাকারী ৬ জন পুরস্কৃত

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ধানমন্ডিতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করায় ধানমন্ডি থানার চার পুলিশ সদস্য ও ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জনকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ধানমন্ডি থানার এএসআই মাসুদ পারভেজ, এএসআই আশরাফুল, কনস্টবল স্বপন মিয়া ও কনস্টেবল রিকন বড়ুয়া।

ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তাকারী পুরস্কারপ্রাপ্ত ছয়জন হলেন– ভবনের ড্রাইভার মো. বিজয়, ভবনের নিরাপত্তা কর্মী মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ঐ ভবনে অবস্থিত এসএম সোর্সিং নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. স্বপন ভূঁইয়া, মো.দেলোয়ার হোসেন, মো. সিয়াম ও মো. টনি।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার অপরাধীদের গ্রেফতারের পুরস্কার প্রাপ্তদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের এ অনন্য সাহসিকতাপূর্ণ কাজ অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ সফল হওয়া সম্ভব। এ সময় ডিএমপি কমিশনার ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জনকে পুলিশের অক্সিলিয়ারি ফোর্সে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ভিকারুন্নেসা স্কুলের ধানমন্ডি শাখার গলির একটি ছয়তলা ভবনে র‌্যাব পরিচয়ে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে থাকা ‘অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, এস এম সোর্সিং অফিস ও কনসালটেন্সি অফিস থেকে ডাকাতরা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ডাকাতরা ভবনের মালিক এম এ হান্নানকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে। ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ওই বাড়ির সামনে হাজির হয়ে ডাকাতদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। ডাকাতরা এসময় তাদের হাতে থাকা ছেনি ও রেঞ্জ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তখন আশপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এ সংক্রান্তে ধানমন্ডি থানায় মামলা রুজু করা হয়। এ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে চারজন ও বৃহস্পতিবার হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত আবদুল্লাহ ও সুমনসহ সর্বমোট ছয়জনকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ