ঢাকা ০৬:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনি সংকেত: ফখরুল

  • আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অর্থনীতির এখন যে অবস্থা, তার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতো আমাদের দেশও বিপদে পড়তে পারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে এ মন্তব্য করেন ফখরুল। গত সোমবার (১৬ মে) রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন যে অবস্থা, তার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনিসংকেত। অদূর ভবিষ্যতে দেশ নিয়ে আমরা শ্রীলঙ্কার মতো বিপদে পড়তে পারি, সেই আশঙ্কা আছে এবং সেই আশঙ্কা বাস্তবভিত্তিকই বলা যেতে পারে।’
পদ্মা সেতুতে বিএনপির লোকজন ক্ষমা চেয়ে চলাচল করতে পারবেন- তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনারা কি ওইটা (পদ্মা সেতু) উনাদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বানিয়েছেন, নাকি আমাদের সবার পকেটের টাকা দিয়ে বানিয়েছেন? আমাদের পকেটের টাকা কেটে নিয়েছেন এবং ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন চুরি করে। কাজেই এই সমস্ত কথাবার্তা তাদের মুখে শোভা পায় না।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়-ব্যয় তদন্তের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘স্যাটেলাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়োগ না দিয়ে দলবাজ কিংবা শীর্ষ নেতৃত্বের স্বজনতোষণের ফলে সরকার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেইল করেছে, যা দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’
বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবার স্মরণে আছে, উৎক্ষেপনের সময় বলা হয়েছিল, পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে এই অর্থ তুলে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোনো আয় করতে পারিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা আয় করতে শুরু করছি।’
স্যাটেলাইটের যখন এই হতাশার চিত্র তখন আবার নতুন করে আরেকটি স্যাটেলাইট প্রকল্প গ্রহণের পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্বেত-হস্তী রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটি আর্থিকভাবে অলাভজনক ও বিপদজনক হওয়া সত্ত্বেও নতুন করে দক্ষিণবঙ্গে আরেকটি আণবিক প্রকল্প গ্রহণের প্রাথমিক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনি সংকেত: ফখরুল

আপডেট সময় : ০২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অর্থনীতির এখন যে অবস্থা, তার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, অদূর ভবিষ্যতে শ্রীলঙ্কার মতো আমাদের দেশও বিপদে পড়তে পারে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে এ মন্তব্য করেন ফখরুল। গত সোমবার (১৬ মে) রাতে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির এখন যে অবস্থা, তার বিপরীতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি অশনিসংকেত। অদূর ভবিষ্যতে দেশ নিয়ে আমরা শ্রীলঙ্কার মতো বিপদে পড়তে পারি, সেই আশঙ্কা আছে এবং সেই আশঙ্কা বাস্তবভিত্তিকই বলা যেতে পারে।’
পদ্মা সেতুতে বিএনপির লোকজন ক্ষমা চেয়ে চলাচল করতে পারবেন- তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওনারা কি ওইটা (পদ্মা সেতু) উনাদের পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বানিয়েছেন, নাকি আমাদের সবার পকেটের টাকা দিয়ে বানিয়েছেন? আমাদের পকেটের টাকা কেটে নিয়েছেন এবং ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ৩০ হাজার কোটি টাকায় নিয়ে গেছেন চুরি করে। কাজেই এই সমস্ত কথাবার্তা তাদের মুখে শোভা পায় না।’
এ সময় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আয়-ব্যয় তদন্তের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘স্যাটেলাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের নিয়োগ না দিয়ে দলবাজ কিংবা শীর্ষ নেতৃত্বের স্বজনতোষণের ফলে সরকার আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ফেইল করেছে, যা দেশকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।’
বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘আমাদের সবার স্মরণে আছে, উৎক্ষেপনের সময় বলা হয়েছিল, পরবর্তী সাত বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মধ্যে এই অর্থ তুলে আনা সম্ভব হবে। কিন্তু স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের চার বছর পূর্তিতে এসে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে-চার বছরের মধ্যে প্রথম তিন বছরে আমরা নানা কারণে কোনো আয় করতে পারিনি। কিন্তু আস্তে আস্তে আমরা আয় করতে শুরু করছি।’
স্যাটেলাইটের যখন এই হতাশার চিত্র তখন আবার নতুন করে আরেকটি স্যাটেলাইট প্রকল্প গ্রহণের পাঁয়তারা চলছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শ্বেত-হস্তী রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পটি আর্থিকভাবে অলাভজনক ও বিপদজনক হওয়া সত্ত্বেও নতুন করে দক্ষিণবঙ্গে আরেকটি আণবিক প্রকল্প গ্রহণের প্রাথমিক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।’