ঢাকা ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

ডলারের তেজ কমেছে, দর ১১০ টাকার নিচে

  • আপডেট সময় : ০২:২০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের তেজ বেশ খানিকটা কমেছে; বেশ কিছুদিন পর ১১০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা ৮০ পয়সা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা; রোববার নিয়েছিলেন ১১১ টাকা ৫০ পয়সা। তার আগে এক মাসের বেশি সময় ধরে এই বাজারে প্রতি ডলার ১১৪ টাকা থেকে ১১৬ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এদিকে রোববার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করেছে ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায়। এতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দরের ব্যবধান দেড়-দুই টাকার মধ্যে চলে এসেছে; অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে যেটাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষকরা।
বাজারে ডলার সংকট কাটাতে কোনো পদক্ষেপেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা গত ১১ সেপ্টেম্বর এক সভায় ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেন। তাতে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম ৯৯ টাকা, প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। আর ডলারের পাঁচ দিনের গড় খরচের চেয়ে এক টাকা বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয় ব্যাংকগুলোকে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। যেটাকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এর মধ্য দিয়ে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রবাসী আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়।
টাকা-মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পরও খোলাবাজারে ডলারের দর বাড়ছিল। ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের দরও বেড়ে যায়। তবে আন্তব্যাংক লেনদেন অবশ্য ১০৮ টাকার ওপরে ওঠেনি। রোববার আন্তব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ দর একই ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। রোববারের লেনদেনের দরই সোমবার আন্তব্যাংক লেনদেন দর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডলারের তেজ কমেছে, দর ১১০ টাকার নিচে

আপডেট সময় : ০২:২০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলারের তেজ বেশ খানিকটা কমেছে; বেশ কিছুদিন পর ১১০ টাকার নিচে নেমে এসেছে। সোমবার খোলাবাজারে প্রতি ডলারের জন্য ১০৯ টাকা ৮০ পয়সা নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা; রোববার নিয়েছিলেন ১১১ টাকা ৫০ পয়সা। তার আগে এক মাসের বেশি সময় ধরে এই বাজারে প্রতি ডলার ১১৪ টাকা থেকে ১১৬ টাকার মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এদিকে রোববার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। ব্যাংকগুলো নগদ ডলার বিক্রি করেছে ১০৬ থেকে ১০৮ টাকায়। এতে দেখা যাচ্ছে, ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দরের ব্যবধান দেড়-দুই টাকার মধ্যে চলে এসেছে; অতীতের অভিজ্ঞতার আলোকে যেটাকে ‘স্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষকরা।
বাজারে ডলার সংকট কাটাতে কোনো পদক্ষেপেই যখন কাজ হচ্ছিল না, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা গত ১১ সেপ্টেম্বর এক সভায় ডলারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেন। তাতে রপ্তানি আয়ে প্রতি ডলারের সর্বোচ্চ দাম ৯৯ টাকা, প্রবাসী আয়ে ১০৮ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। আর ডলারের পাঁচ দিনের গড় খরচের চেয়ে এক টাকা বেশি দামে আমদানি দায় শোধ করতে বলা হয় ব্যাংকগুলোকে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। যেটাকে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এর মধ্য দিয়ে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর প্রবাসী আয়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়।
টাকা-মুদ্রা বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়ার পরও খোলাবাজারে ডলারের দর বাড়ছিল। ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলারের দরও বেড়ে যায়। তবে আন্তব্যাংক লেনদেন অবশ্য ১০৮ টাকার ওপরে ওঠেনি। রোববার আন্তব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ দর একই ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। রোববারের লেনদেনের দরই সোমবার আন্তব্যাংক লেনদেন দর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।