ঢাকা ১০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

ডর্টমুন্ডের মাঠে হেরেও সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনা

  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: নিজেদের আঙিনায় বড় জয়ের পর প্রতিপক্ষের মাঠে বেশিরভাগ সময় ম্রিয়মাণ হয়ে রইল বার্সেলোনা। সেগু গিগাসির হ্যাটট্রিকে অভাবনীয় কিছুর আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল হান্সি ফ্লিকের দল। কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাতে ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ গোলে হারলেও, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকেট পেয়েছে বার্সেলোনা। এই হারে কাতালান দলটির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় ছেদ পড়ল।

২০২৫ সালে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গোলের জন্য ১৮টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ডর্টমুন্ড। বার্সেলোনার সাত শটের কেবল দুটি লক্ষ্যে ছিল। প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জেতা বার্সেলোনার ওপর এবার শুরুতে চাপ বাড়ায় ডর্টমুন্ড। প্রথম ছয় মিনিটে তিনটি ‘হাফ চান্স’ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নবম মিনিটে বক্সে পাসকেল গ্রসকে অহেতুক ফাউল করে স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন গিগাসি। প্রথম আধা ঘন্টায় দুয়েকবার আক্রমণে উঠলেও ডর্টমুন্ডের রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। ৩৯তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। তবে বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ডিফেন্ডার জুল কুন্দে।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র একটি শট নিতে পারে বার্সেলোনা। যেখানে এই সময়ে ডর্টমুন্ডের ১০টি শটের সাতটি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চমৎকার ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্ট্যান্সনি। করিম আদেইয়েমির শট পা দিয়ে ঠেকানোর পর গ্রসের শট ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। পরক্ষণেই অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডর্টমুন্ড। ৪৯তম মিনিটে কর্নারে রামির হেড পাসে কাছ থেকে হেডেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গিগাসি। চার মিনিট পরই আত্মঘাতী হয়ে পড়ে গতবারের রানার্সআপ ডর্টমুন্ড। ডান দিক থেকে ফের্মিন লোপেসের পাস ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার রামি।

দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৫-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ৬৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে উড়িয়ে মারেন লোপেস। ৭৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার শট ঠেকান গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গিগাসি। বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কাছ থেকে শটে গোলটি করেন গিনির ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর ইউলিয়ান ব্রান্ডট বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে তারা।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডর্টমুন্ডের মাঠে হেরেও সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনা

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: নিজেদের আঙিনায় বড় জয়ের পর প্রতিপক্ষের মাঠে বেশিরভাগ সময় ম্রিয়মাণ হয়ে রইল বার্সেলোনা। সেগু গিগাসির হ্যাটট্রিকে অভাবনীয় কিছুর আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত পেরে উঠল না বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল হান্সি ফ্লিকের দল। কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে মঙ্গলবার রাতে ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ গোলে হারলেও, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারের টিকেট পেয়েছে বার্সেলোনা। এই হারে কাতালান দলটির সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রায় ছেদ পড়ল।

২০২৫ সালে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল তারা। ম্যাচে বল দখলে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও গোলের জন্য ১৮টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে ডর্টমুন্ড। বার্সেলোনার সাত শটের কেবল দুটি লক্ষ্যে ছিল। প্রথম লেগে ৪-০ গোলে জেতা বার্সেলোনার ওপর এবার শুরুতে চাপ বাড়ায় ডর্টমুন্ড। প্রথম ছয় মিনিটে তিনটি ‘হাফ চান্স’ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নবম মিনিটে বক্সে পাসকেল গ্রসকে অহেতুক ফাউল করে স্বাগতিকদের পেনাল্টি উপহার দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন গিগাসি। প্রথম আধা ঘন্টায় দুয়েকবার আক্রমণে উঠলেও ডর্টমুন্ডের রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে বার্সেলোনা। ৩৯তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা। তবে বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি ডিফেন্ডার জুল কুন্দে।

প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র একটি শট নিতে পারে বার্সেলোনা। যেখানে এই সময়ে ডর্টমুন্ডের ১০টি শটের সাতটি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চমৎকার ডাবল সেভে ব্যবধান বাড়তে দেননি স্ট্যান্সনি। করিম আদেইয়েমির শট পা দিয়ে ঠেকানোর পর গ্রসের শট ফিরিয়ে দেন পোলিশ গোলরক্ষক। পরক্ষণেই অবশ্য ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডর্টমুন্ড। ৪৯তম মিনিটে কর্নারে রামির হেড পাসে কাছ থেকে হেডেই নিজের দ্বিতীয় গোল করেন গিগাসি। চার মিনিট পরই আত্মঘাতী হয়ে পড়ে গতবারের রানার্সআপ ডর্টমুন্ড। ডান দিক থেকে ফের্মিন লোপেসের পাস ক্লিয়ারের চেষ্টায় নিজেদের জালে বল পাঠিয়ে দেন ডিফেন্ডার রামি।

দুই লেগ মিলিয়ে তখন ৫-২ গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ৬৪তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়ে উড়িয়ে মারেন লোপেস। ৭৩তম মিনিটে রাফিনিয়ার শট ঠেকান গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। দুই মিনিট পর হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গিগাসি। বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো বক্সে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কাছ থেকে শটে গোলটি করেন গিনির ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর ইউলিয়ান ব্রান্ডট বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠল বার্সেলোনা। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ অথবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে তারা।