ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

ডব্লিউএইচওর তদন্তে চীনকে সহযোগিতার আহ্বান জাতিসংঘের

  • আপডেট সময় : ১১:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

FILE PHOTO: A logo is pictured at the World Health Organization (WHO) building in Geneva, Switzerland, February 2, 2020. REUTERS/Denis Balibouse

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) সহযোগিতা করতে চীনসহ সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। করোনা কীভাবে চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, তা খুঁজতে সম্প্রতি দেশটিতে তদন্তের প্রস্তাব আনে ডব্লিউএইচও। ওই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে চীন। দেশটির এমন সিদ্ধান্তের পরই সহায়তার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ আহ্বান জানান বলে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা স্পুতনিকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে এএনআই। ফারহান হক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সাহায্য করতে আমরা চীনসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সংস্থাটি যদি মনে করে তাদের আরও তথ্য প্রয়োজন, তাহলে আশা করছি সদস্যদেশগুলো সহযোগিতা করবে।’
সম্প্রতি চীনে দ্বিতীয় দফায় বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তাঁর প্রস্তাবে করোনাভাইরাস প্রথম যে এলাকায় দেখা যায়, সে এলাকার ল্যাবরেটরি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই আহ্বান নাকচ করে চীন। গত বৃহস্পতিবার চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জেং ইশিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই প্রস্তাব ‘কা-জ্ঞানহীন এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাবের।’ প্রস্তাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চীন এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না।
চীনের এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চীনের অবস্থান দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং পরিষ্কারভাবে ভয়ংকর। সহায়তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার মতো সময় এটা নয়।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের পরীক্ষাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে গত বছরই সন্দেহের কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস কীভাবে মানুষের শরীরে এল, তা খুঁজতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনে যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল। তবে তাদের উহানের গবেষণাগারগুলো ঘুরে দেখতে দেওয়া হয়নি।
সে সময় উহানে চার সপ্তাহ অবস্থান করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারীরা। পরে মার্চে প্রকাশিত তাঁদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য পশুপাখির মাধ্যমে মানুষের শরীরে এসেছে। উহানের ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে সন্দেহ করা হয়, তাকে প্রায় ‘অসম্ভব’ বলেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ওই মন্তব্য মানতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ডব্লিউএইচওর তদন্তে চীনকে সহযোগিতার আহ্বান জাতিসংঘের

আপডেট সময় : ১১:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) সহযোগিতা করতে চীনসহ সদস্যদেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। করোনা কীভাবে চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল, তা খুঁজতে সম্প্রতি দেশটিতে তদন্তের প্রস্তাব আনে ডব্লিউএইচও। ওই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে চীন। দেশটির এমন সিদ্ধান্তের পরই সহায়তার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের উপমুখপাত্র ফারহান হক এ আহ্বান জানান বলে রাশিয়ান বার্তা সংস্থা স্পুতনিকের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে এএনআই। ফারহান হক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সাহায্য করতে আমরা চীনসহ সদস্য দেশগুলোর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। সংস্থাটি যদি মনে করে তাদের আরও তথ্য প্রয়োজন, তাহলে আশা করছি সদস্যদেশগুলো সহযোগিতা করবে।’
সম্প্রতি চীনে দ্বিতীয় দফায় বিশেষজ্ঞদের পাঠানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তাঁর প্রস্তাবে করোনাভাইরাস প্রথম যে এলাকায় দেখা যায়, সে এলাকার ল্যাবরেটরি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা বলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই আহ্বান নাকচ করে চীন। গত বৃহস্পতিবার চীনের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী জেং ইশিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই প্রস্তাব ‘কা-জ্ঞানহীন এবং বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রাসী মনোভাবের।’ প্রস্তাবকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, চীন এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে না।
চীনের এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘ভয়ংকর’ বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব জেন সাকি। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চীনের অবস্থান দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং পরিষ্কারভাবে ভয়ংকর। সহায়তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার মতো সময় এটা নয়।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। চীনের পরীক্ষাগার থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে বলে গত বছরই সন্দেহের কথা বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস কীভাবে মানুষের শরীরে এল, তা খুঁজতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনে যায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধিদল। তবে তাদের উহানের গবেষণাগারগুলো ঘুরে দেখতে দেওয়া হয়নি।
সে সময় উহানে চার সপ্তাহ অবস্থান করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তকারীরা। পরে মার্চে প্রকাশিত তাঁদের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভাইরাসটি সম্ভবত বাদুড় থেকে অন্য পশুপাখির মাধ্যমে মানুষের শরীরে এসেছে। উহানের ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর যে সন্দেহ করা হয়, তাকে প্রায় ‘অসম্ভব’ বলেছিলেন তাঁরা। তাঁদের ওই মন্তব্য মানতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা।