প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডট বাংলার সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এটি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতা প্রদান করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত হলে সব ডোমেইনের নাম এবং সব ই-মেইল ঠিকানা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সঠিকভাবে কাজ করবে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশের গৌরবময় ডোমেইন নেম ডট (.) বাংলার সর্বজনগ্রাহ্যতার ওপর বিআইজিএফ (বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম) আয়োজিত অনলাইনে বাংলাদেশ কনসালটেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিআইজিএফ চেয়ারম্যান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ভাইস প্রেসিডেন্ট ফর স্টেকহোল্ডার এনগেজমেন্ট জিয়া-রং লো, এশিয়া-প্যাসিফিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সারমাদ হুসেন, আইডিএন-এর জ্যেষ্ঠ পরিচালক ড. অজয় ও বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এবং ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নম্বরের নেতৃত্বে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, তা আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন। তিনি বাংলায় টপ-লেভেল ডোমেইন (টিএলডি) এগিয়ে নেওয়ার জন্য ডট বাংলা টপ লেভেল ডোমেইন (টিএলডি) এর সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘এখনই সময় সর্বজনীন স্বীকৃতির জন্য সিস্টেম প্রস্তুত করার এবং ভবিষ্যতে সত্যিকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক ইন্টারনেট তৈরি করার।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কনসালটেশন অন ইউনিভার্সাল একসেপ্টেন্স অব ডট-বাংলাতে চারটি প্রস্তাবিত অ্যাকশন পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বৈশ্বিক স্টিয়ারিং কমিটির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ও পরামর্শ দেন। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিষয়টির প্রযুক্তিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
হাসানুল হক ইনু অনুষ্ঠানে প্রাপ্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন। মোস্তাফা জব্বার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দশ প্রদান করেন।
বিআইজিএফ-এর মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
বাংলাদেশ এনজিও নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি) প্রধান নির্বাহী এএইচএম বজলুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।