ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ঠিকাদারকে ডিএনসিসি প্রশাসকের ‘হুঁশিয়ারি’

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার বেরাইদ এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করতে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন এলাকা বেরাইদে নির্মাণকাজে ত্রুটি দেখতে পেয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করেছেন নগর সংস্থার প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেছেন, বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় চলমান কাজে কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি পেয়েছি। ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ খরচে মেরামত করার জন্য। ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব, প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেরাইদ এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ডিএনসিসির নতুন ও পুরাতন এলাকাগুলোর মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য রয়েছে। পুরোনো এলাকার রাস্তা ও ড্রেনসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে মাঠ, পার্ক ও ফুটপাত এসব দখল। আমরা এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করছি। আর ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নির্মাণ করতে হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা করে সাজানো হবে। কোনো ইনজাস্টিস হবে না নতুন ওয়ার্ডগুলোতে। নতুন আরবানাইজেশন করা হবে, কিন্তু পরিকল্পিত হবে।

প্রশাসক এজাজ বলেন, একসময় এগুলো ইউনিয়ন ছিল। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে প্রশস্থ রাস্তা নির্মাণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এসব আমরা করব, কিন্তু সময় লাগবে। বিশেষ করে দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নাই, জলাবদ্ধতা সমস্যা। আমি তাদের সাথে বসেছি। সমস্যাগুলো সমাধানে পরিকল্পনা করে কাজ করছি।

তিনি বলেন, বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে এসেছি। এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, এই এলাকা যেন দক্ষিণখান-উত্তরখানের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন না হয়ে যায়। এই এলাকার রাস্তা নির্মাণের অনেক আবেদন পেয়েছি। তাই আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি, আবেদন অনুযায়ী রাস্তাগুলোর যৌক্তিকতা আছে কি না, সেটি দেখছি। জনগণের জন্য লাভবান হলেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে, অন্যথায় হবে না।

ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিচার প্রক্রিয়া আরও সহজলভ্যের তাগিদ প্রধান বিচারপতির

ঠিকাদারকে ডিএনসিসি প্রশাসকের ‘হুঁশিয়ারি’

আপডেট সময় : ০৭:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন এলাকা বেরাইদে নির্মাণকাজে ত্রুটি দেখতে পেয়ে ঠিকাদারকে সতর্ক করেছেন নগর সংস্থার প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেছেন, বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় চলমান কাজে কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি পেয়েছি। ঠিকাদারকে ইতোমধ্যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে তাদের নিজ খরচে মেরামত করার জন্য। ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজ না করলে আমরা ব্যবস্থা নেব, প্রয়োজনে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বেরাইদ এলাকায় চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ডিএনসিসির নতুন ও পুরাতন এলাকাগুলোর মধ্যে কিছু বেসিক পার্থক্য রয়েছে। পুরোনো এলাকার রাস্তা ও ড্রেনসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেসব এলাকায় সমস্যা রয়েছে মাঠ, পার্ক ও ফুটপাত এসব দখল। আমরা এগুলো দখলমুক্ত করতে কাজ করছি। আর ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের রাস্তা, ড্রেন, ফুটপাত এগুলো নির্মাণ করতে হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোকে পরিকল্পনা করে সাজানো হবে। কোনো ইনজাস্টিস হবে না নতুন ওয়ার্ডগুলোতে। নতুন আরবানাইজেশন করা হবে, কিন্তু পরিকল্পিত হবে।

প্রশাসক এজাজ বলেন, একসময় এগুলো ইউনিয়ন ছিল। অনেক জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। এসব বাড়িঘর ভেঙে প্রশস্থ রাস্তা নির্মাণ করা বেশ সময়সাপেক্ষ। এসব আমরা করব, কিন্তু সময় লাগবে। বিশেষ করে দক্ষিণখান-উত্তরখানের মানুষ ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন। তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নাই, জলাবদ্ধতা সমস্যা। আমি তাদের সাথে বসেছি। সমস্যাগুলো সমাধানে পরিকল্পনা করে কাজ করছি।

তিনি বলেন, বেরাইদ ও আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে এসেছি। এই এলাকায় পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই, এই এলাকা যেন দক্ষিণখান-উত্তরখানের মতো অপরিকল্পিত নগরায়ন না হয়ে যায়। এই এলাকার রাস্তা নির্মাণের অনেক আবেদন পেয়েছি। তাই আমি নিজে সরেজমিনে পরিদর্শনে এসেছি, আবেদন অনুযায়ী রাস্তাগুলোর যৌক্তিকতা আছে কি না, সেটি দেখছি। জনগণের জন্য লাভবান হলেই রাস্তা নির্মাণ করা হবে, অন্যথায় হবে না।

ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-১০ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা, নির্বাহী প্রকৌশলী ইশতিয়াক মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ